খুকি গেছে রান্নাঘরে, রাঁধবে নাকি আজ,
তাই না শুনে মায়ের মাথায় পড়ল ভেঙে বাজ।
ঝনাৎ ঝনাৎ বাসন পড়ে,
আটা-ময়দা মাখল ঘরে,
রান্নাঘরে কালবোশেখী, বাড়ল মায়ের কাজ।
পায়েস রাঁধতে চিনির বদল দিচ্ছে খুকি নুন-
তাই না খেয়েও বলছে সবাই- খুকির কী যে গুণ!
বাবা বলেন, দারুণ খেতে-
প্রশংসাতে মা-ও মেতে,
কী আর করার? কাঁদবে খুকি খসলে পানের চুন ।
মা বলেন, খুকি তোকে বলছি অনেকবার,
হাত পুড়বে, ঘাম ঝরবে, রান্নাঘরটা ছাড়।
অমন সুন্দর মেয়ে-
রান্নাঘরে যেয়ে-
কালিঝুলি মেখে তাকে যায় না চেনা আর।
তবু খুকি শুনবে নাকি? করবে অনেক রান্না,
কীভাবে যায় ঠেকানো তা- ভেবেই যে মা পান না!
রান্নাবান্না শেষে,
খাবার খেতে এসে,
নিজের রান্না মুখে দিয়ে জুড়ল খুকি কান্না।
একটুখানি মুখে দিয়ে আর যে খুকি খায় না,
এরপরে আর বললেও সে রাঁধতে মোটে যায় না।
খুকির এ শখ শেষ,
শিক্ষা হলো বেশ,
এমন করেই বন্ধ হলো রান্না করার বায়না।
ছবিঃ শিল্পী ঘোষ