সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
মিমির ছুটি

গরমের ছুটি হবে ইস্কুলে কবে?
কোয়েল আর মিমি বসে একসাথে ভাবে।
দুপুরেতে লুডোখেলা, বিকেলে সাঁতার,
তার সাথে কার্টুন যত মজাদার।
দুজনের বাবা-মাও ঠিক করেছেন,
একসাথে সবে মিলে সিকিম যাবেন।
শেষদিনে ছুটি হলে মিমি ফেরে বাড়ি
চোখদুটি ছলোছলো, মুখ করে হাঁড়ি।
কোয়েলের চোখেতেও জল থৈ থৈ
চোখ ফেটে বেরুবে যে এক্ষুনি ঐ !
মেয়েদের দশা দেখে মায়েদের মনে
চিন্তার শেষ নেই, কি হল কে জানে?
মিমি বলে "দেখো মাগো এত হোমওয়ার্ক
কবে বলো শেষ হবে, ঘোরা দূরে থাক"।
কোয়েলের মা তো দেখে রেগেই ফায়ার
সিকিম কি মিরিকের আশা নেই আর।
গোটা বারো হোমটাস্ক, দশটা প্রোজেক্ট
সারা ছুটি ঘরময় তাদেরই এফেক্ট।
দাদা বাড়ি ফিরে শুধু কাটেন কাগজ
দিদি বসে ডিজাইনে ঘামায় মগজ।
কোয়েল আর মিমি শুধু লিখে লিখে সারা
খাতাতে মলাট দেন বসে বাবা-মারা।
ছবি আর লেখা খোঁজে ইনটারনেটে
সকাল থেকে যে কিছু পড়েনিকো পেটে।
দুপুর গড়িয়ে সাঁঝ, রাত নিঃঝুম —
জেগে আছে সকলেই, চোখে নেই ঘুম।
সাতদিন ছুটি বাকি, বিস্তর কাজ,
টেনশনে মায়েদের গরম মেজাজ।
নাওয়া খাওয়া সকলের উঠেছে মাথায়,
পাঁউরুটি খেয়ে বাবা অফিসেতে যায়।
ঘুম চোখে দাদা-দিদি যায় কলেজেতে,
বাড়ি ফিরে বসে যায় বোনের কাজেতে।
ছুটি হয়ে এল শেষ, প্রোজেক্ট যে বাকি
হিন্দীতে দশ মার্কস বাদ যাবে নাকি?
কাবাডির খেলা নিয়ে হিন্দী রচনা
উইকি-পিডিয়া ঘেঁটে লেখে মিমি সোনা।
কটা গেম জিতেছিল মির্জা সানিয়া?
ভারতের জনগণ ক’টি জাতি নিয়া?
পৃথিবীর নানা দেশে সময়ের মাপ
কোন কোন জায়গাতে কত বায়ুচাপ।
কি কি খানা খেলে বাড়ে কতটা ওজন,
বহুভুজ ক্ষেত্রের কত আয়তন,
তথ্যটা থাকে কোথা কম্পিউটারে,
কি উপায়ে কথা-ছবি ছড়ায় বেতারে?
এছাড়াও বানিয়েছে ক্যামেরা, কোলাজ,
এম্বস-পেন্টিং, আরও কত কাজ।
সবশেষে মজাদার ইংরেজী 'এসে' —
লেখে মিমি "কেমন এল ছুটি কাটিয়ে সে"।


ছবিঃ সোমসুতা মন্ডল

নবারুণ ঘোষাল পেশায় চিকিৎসক। ছোটবেলা ধানবাদে কেটেছে, বর্তমানে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শ্রমিকদের দ্বারা পরিচালিত একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত । চিকিৎসার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সেবামূলক কাজকর্মের সাথে যুক্ত আছেন।

More articles from this author

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা