পাখিটাকেও মারতে হলে ভিতর একটু কাঁপে,
জেল বা জরিমানায় গড়ায় শোধরাতে সে ভুল-
খেসারতের ক্ষোভে কেউবা ছিঁড়ে আপন চুল –
কিন্তু ওরা কী ভায়ানক এইটুকুন নেই চাপে!
বিজলি চমক দিয়ে নামে বোমা আকাশ থেকে-
গুঁড়িয়ে দেয়, মিশিয়ে দেয় দাঁড়িয়ে থাকা ঘর !
নিদ্রা ও জান ছিনিযে নেয় সেজে বারুদ-ঝড়
পেশী-বলের পাহাড় হয়ে গাজায় বসে ঝেঁকে।
ট্যাঙ্কগুলোকে নামায় পথে জ্যান্ত খিদের কুমির,
হামলে পড়ে লেজ বিঁধিয়ে নিরাপত্তা গিলে,
নৃশংসতায় নাড়িয়ে দিয়ে অধিবাসীর পিলে,
শিকড় তুলে, শিকড় গাড়ে স্থায়ী হতে ভূমির।
মানবতার ধ্বজাধারী, কুলুপ কেনো মুখে?
ফিনকি কেনো দেয় না এখন প্রতিবাদী রক্ত?
রসুন কোয়ার ঐক্যে এরাও নাকি নিরব ভক্ত?
তা না হলে আগুন কেনো জ্বলছে গাজার বুকে ?
ছবিঃ উপাসনা মুখার্জি
(ইচ্ছামতীর বন্ধু উপাসনা মুখার্জি আহমেদাবাদের উদ্গম স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। উপাসনাকে আমরা বলেছিলাম এই ছড়ার সাথে একটা ছবি এঁকে দিতে। আঁকার আগে সে মা-বাবার কাছে শুনেছে গাজার সম্পর্কে অনেক কথা। তারপরে সে এই ছবি এঁকে দিয়েছে । তবে আমাদের জানিয়েছে, এরকম মনখারাপ করা ছবি আঁকতে তার মোটেও ভাল লাগেনি। এরকম মনখারাপ করা ছবি আঁকতে বা কথা জানতে কি আমাদের কারোরই ভাল লাগে?)