হারিয়ে গেছে খেলনা ঘোড়া, সাথে সেদিনগুলিও
ছোঁয়াছুঁয়ি, ধূলি খেলা, ফোকলা হাসির বুলিও।
পুতুল বিয়ের আয়োজনে ভাই-বেরাদর ডেকে
লালমাটিতে রঙ বানিয়ে গায়ে গায়ে মেখে
মিছেমিছির রান্না শেষে মিছেই খাবার খাওয়া
কাগজের নীল নৌকা দিয়ে বউকে নিয়ে যাওয়া
সে নৌকাতেই বৈঠা মেরে মাঝি-মাল্লা ঘামে
স্রোতের টানে পারি দিয়ে বাড়ির ঘাটে থামে,
সেই খুশিতে মা-ও মেতে বউ নিয়ে যায় ঘরে
তুর্কি নাচ আর কলাপাতার বাঁশির স্বরে স্বরে।
বলো কেনো আজকে সেদিন আসতে দেখি না
বৈশাখে বা ঈদে ডাকলে ফিরতে পারে কিনা ?
হারিয়ে গেছে ডাংগুলি আর গোল্লাছুটের গোল
হা-ঢু-ঢুতে জেতলে যেমন বাজতো বাংলা-ঢোল।
চলতো মেলায় মোরগ লড়াই বা লাঠিয়াবারি
চাচা আপন জান বাঁচিয়ে ভাঙতো কতো হাঁড়ি;
ঘোড়ার খুড়ের শব্দ হতো, চলতো গরুর নাড়াই
ঐ কাঁচাকাল ফিরে পেতে কার কাছে হাত বাড়াই ?
খুকি খেলতো এক্কা-দোক্কা আমরা মার্বেল দিয়ে,
বৃষ্টি-রোদে চলতো তখন খেকশিয়ালের বিয়ে।
এরই মাঝে হাওয়া হলে প্রতিযোগী মেঘ
কেটে যেতো শিশু মনের অজানা উদ্বেগ;
পাল্লা দিয়ে উড়তো ঘুড়ি সাপের ফণা তুলে
তুমিই বলো সেদিনগুলো কীভাবে যাই ভুলে ?
ছবিঃমহাশ্বেতা রায়