সেবার তিতলি ওর মা বাবার সাথে দার্জিলিং বেড়াতে গেল । ওখানে পাহাড় দেখা ছাড়াও এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিলো তিতলির । একদিন বিকেলে শুনলো চা বাগানে একদল হাতি আটকে পড়েছে । একটা বাচ্চা হাতিও সেই দলে আছে । বাচ্চা হাতিটাকে দেখতে খুব ইচ্ছে হলো ওর ।স্কুলে কম্পিউটারে সেই একবার বাচ্চা হাতির ছবি দেখিয়ে ছিল , তাছাড়া তো কখনো বাচ্চা হাতি দেখেনি । তাই পরদিন বাবার সাথে হাতি দেখতে গেল, কিন্তু ততক্ষণে সব হাতি চলে গেছে । তবে বাচ্চাটা দলছুট হয়ে গিয়ে আর বনে ফিরতে পারেনি । বাচ্চাটাকে দেখে তিতলি খুব দুঃখ পেলো । হাতিটা চুপচাপ একা বসেছিল, কোত্থেকে একটা হরিণ ওর কাছে এলো, বোধহয় পাশের জঙ্গল থেকে এসেছে ।এ বাবা , ও হাতিটাকে মারবে নাকি ! না না, হরিণটা এসেই এমন বন্ধুত্ব করলো যে ওই বাচ্চা হাতিটার কী আনন্দ ! দুটো আলাদা জীবনের মধ্যে যে এমন ঘনিষ্ঠতা থাকতে পারে তা কে জানত আর এমন দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য তো সবার হয় না ।বাচ্চা হাতিটাকে খুশিতে দেখে তিতলিও খুব আনন্দ পেয়েছিল ।
যাইহোক দার্জিলিং থেকে ফিরে তাদের জেলার বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় ক্রেয়ন্স্ দিয়ে ওই মধুর দৃশ্যের ছবি ফুটিয়ে তুলেছিল তিতলি , ফলাফল যখন জানতে পারলো তখন নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি ------ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সে ।
গল্প লিখেছেঃ
মৃন্ময়ী ঘোষ
অষ্টম শ্রেণি, তালডাংরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তালডাংরা, বাঁকুড়া
গ্রাফিকঃ মিতিল