আজকাল খুব গরম পড়েছে। গরমে হাঁসফাঁস করছি সবাই। পাশে টেবিল ফ্যান বন-বন করে ঘুরছে। তাও যেন গরম যায় না৷ আমি সময় কাটানোর জন্য ছাদ থেকে কয়েকটা জবাফুল তুলে এনে একবাটি জলে রাখলাম, তারপর মোবাইলের ক্যামেরায় সব এঙ্গেল থেকে ছবি তুলে তুলে দেখছি, কোন এঙ্গেল থেকে ফুলগুলো সবচেয়ে সুন্দর লাগছে। পাশ থেকে আমার রুমমেট বাথরুম থেকে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো। গরমের চোটে এই নিয়ে দু-বার হলো ও স্নান করল। আমিও এর আগে একবার স্নান করেছিলাম।
যাই হোক, ও এসে আমাদের নতুন কেনা গোলাপি আর্মচেয়ারে বসেই জানলার দিকে তাকাল। তারপর হঠাৎ বলে উঠল, 'এই দেখ না, বৃষ্টি পড়ছে, অবশেষে একটু গরমের থেকে মুক্তি পাবো, কী বলিস?'
আমি বললাম, 'ধ্যাত! কী যে বলিস না, বাইরে কী রোদ! এই তো রোদের আলো জবাফুলগুলোর উপর এসে পড়ছে।'
উত্তরে রুমমেট বলে, 'তাই তো বলছি। রোদের মধ্যে বৃষ্টি হলে কী হয় বল তো? রেনবো -- রামধনু! চল বারান্দায়, কী সুন্দর রামধনু হয়েছে দেখবি চল!'
বারান্দায় গিয়ে দেখলাম, সত্যিই খুব সুন্দর একটা রামধনু আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। যদিও খুব হাল্কা করে দেখা যাচ্ছিল, তাও, কিছু ছবি তুললাম মোবাইলে। জীবনে প্রথমবার রামধনু দেখার অভিজ্ঞতা গরমের সব বিরক্তি কাটিয়ে দিল।
গল্প লিখেছেঃ
আনন্দী ব্যানার্জী,
ষষ্ঠ শ্রেণি, ভারতীয় বিদ্যাভবন, সল্টলেক
গ্রাফিকঃ মিতিল