একটি গ্রামে একটা জবাগাছে একটা শুঁয়োপোকা থাকত। সে জবাফুলের পাপড়িগুলো কুরে কুরে খেতো আর চুপ করে বসে থাকত । মায়ের কাছে সে চাঁদের গল্প শুনেছিল, সেই থেকে তার খুব চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু সেটা তো আর কোন ভাবে সম্ভব নয় ।
একদিন সে শুনতে পেল গ্রামের হরিশ বিজ্ঞানী নাকি রকেটে চেপে চাঁদে যাবে ।সে ভাবল এই সুযোগ । জবা গাছ থেকে নেমে সে গুটি গুটি পায়ে চলে গেল বিজ্ঞানীর বাড়ি । বিজ্ঞানী তখন তার রকিং চেয়ারে বসে দুলছিল। শুঁয়োপোকা বিজ্ঞানীর নজর এড়িয়ে তার তোয়ালের মধ্যে ঢুকে পড়ল। একদিনের মধ্যেই বিজ্ঞানী বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল কিন্তু কী অবাক কাণ্ড ,সে নিজেও জানে না যে তার সাথে ছোট্ট শুঁয়োপোকাও চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। শুঁয়োপোকা তো খুব খুশি । কিছু সময় বাদেই রকেট রওনা দিল। শুঁয়োপোকা তো আনন্দে আত্মহারা । কিছু সময় বাদে তারা পৃথিবী থেকে বেড়িয়ে পরল। কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ বলের অভাবে সব জিনিসপত্র বাতাসে ভাসতে লাগলো, রকেটের ভিতরে বিজ্ঞানীর তোয়ালেটাও ভাসতে লাগলো, তখন শুঁয়োপোকা ভয়ে বিজ্ঞানীর জুতোর পিছনে লুকিয়ে পরল। দু তিন দিনের মধ্যেই তারা চাঁদে পা রাখল। বিজ্ঞানী যখন চাঁদে নামল তখন শুঁয়োপোকা তার জুতো থেকে চাঁদে নেমে পড়ল। চাঁদে নেমে ছোট্ট শুঁয়োপোকা তো খুব খুশি। বিজ্ঞানীরা চাঁদে ভারতের পতাকা ওড়চ্ছিল। শুঁয়োপোকা তো আনন্দে সেই পতাকায় উঠে নাচতে শুরু করে দিল। তারপর সে কোনো সময় নষ্ট না করে বিজ্ঞানীর জুতোর পিছনে আবার লুকিয়ে পড়ল তারপরে সে একই ভাবে ফিরে গেল ।
গল্প লিখেছেঃ
প্রার্থিতা সরকার,
পঞ্চম শ্রেণি, হোলি এঞ্জেল্স্ স্কুল, কাটোয়া
গ্রাফিকঃ মিতিল