একটি গ্রামে, একটি মেয়ে ও তার ভাই তাদেরপরিবারের সাথে খুব সুখে শান্তিতে থাকত। মেয়েটির নাম ছিল সুপ্রিয়া এবং তার ভাইয়ের নাম শুভম। তারা যমজছিল। সুপ্রিয়া বই পড়তে খুব ভালোবাসত আর শুভম খেলা করতে ভালোবাসত।
একদিন তারা বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল, হঠাৎ কীসের যেন কান্নার শব্দ শুনতে পেল। তারা চারপাশে তালাক, একটি পাখি মাটিতে আহত পড়ে ছিল।তাই দেখে, সুপ্রিয়ার খুব মায়া হল, সে পাখিটিকে তার হাতে নিয়ে সামনের রাস্তায় চলতে শুরু করল।
হঠাৎ কিছুক্ষণ পরে আবার কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া গেল। এবারে সামনে একটা ছোট্ট মতন কুকুরের বাচ্চা কাঁদছিল। সে আহত ছিল। শুভমের দেখে খুব দয়া হল, সে তাকে কিছু দিনের জন্য তার সাথে কুকুরের বাচ্চাটিকে নিয়ে গেল।
কিছুদিন পর, পাখিটা এবং কুকুরের বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে গেল, তারা আবার চলে গেল।
আস্তে আস্তে দিন কাটতে লাগল, সুপ্রিয়া এবং শুভমের জন্মদিন কাছে আসতে লাগল। তারা খুব খুশি ছিল।
কিছুদিন পর তাদের জন্মদিন চলে গেল। তারা খুব খুশি হয়ে বিদ্যালয়ে গেল এবং ফেরার সময় একটি বড় মত গর্তের ভিতর পড়ে গেল। তারা দুজনে কাঁদতে শুরু করল। হঠাৎ তাদের সামনে একটা খুব জোরে আলোর ছটা আসতে শুরু করল। তারপরে আলোর ছটা হঠাৎ থেমে গেল। একটি ছোট্ট পরী বাইরে এল, তার সাথে একটি ছোট্ট উড়ন্ত কুকুরছানা।তারা বলল, "তোমরা ভয় পেও না, আমি সেই পাখি, যাকে তুমি বাঁচিয়েছিল, সুপ্রিয়া! আর কুকুরটা আমার বন্ধু!" পরী জিজ্ঞেস করল, "তোমাদের কি আজ জন্মদিন?" সুপ্রিয়া বলল, "হ্যাঁ"। পরী বলল, "তোমাদের জন্য একটা উপহার আছে!" এই বলে পরী জাদু করে একটা চেয়ার আনল, আর বলল, "এটা একটা জাদুর চেয়ার, এর মধ্যে যে বসবে সে উড়তে পারবে!" পরী চেয়ারটা সুপ্রিয়া এবং শুভমকে দিল আর বলল, "শুভ জন্মদিন..."।
গল্প লিখেছেঃ
প্রার্থিতা সরকার
পঞ্চ শ্রেণি, হোলি এঞ্জেল'স স্কুল
গ্রাফিকঃ মিতিল