কবে বোলতা ভাবল একটা পান খাই। বাক্স ভাবল ধান খাই। সাইকেল ভাবল চলো শহর ঘুরে আসি। ফুলের টব বলল, এসো প্রচুর হাওয়া আনি আমাদের বারান্দায়। আর বেড়ালটা ভাবল যাই শুয়ে থাকি অর্হণ এর বিছানায়। সময় ভালই কাটছিল গড়িয়ে গড়িয়ে।
হটাৎ বেড়াল দেখতে পেল বোলতা কে। ভাবল কদিন ধরে শুধু সব্জি ডাল খেয়ে পেট শুকিয়ে গেছে। এইটা কে খেয়ে একটু পেট কে খুশি করি। ব্যাস যেই ভাবল সেই কাজ। কপাৎ করে গিলে ফেলল বোলতা কে। পেট ফুলে গেল বেলুনের মত, বোলতা আর ওর পেট এর বোঝাই মধুতে।
বোলতা এবার পড়ল মুশকিলে। বুদ্ধি করে ছুঁচলো হুল ফুটিয়ে দিল বেড়ালের পেটে। বাবারে! বোলতার কামড় খেয়ে এত্ত বড় হা করে কেঁদে উঠল বেড়াল। আর সেই সুযোগে মুখ দিয়ে সাঁ করে বেরিয়ে গেল বোলতা বাবাজি। এক লাফে সাইকেল চড়ে বেড়াল দৌড়ল বাড়ি।
ফিরে মা কে বলল সব ঘটনা।
মা তো শুনেই বলল চল, তোকে এখুনি নিয়ে যাই ডাক্তার কাকুর কাছে। মনে হচ্ছে পেটটা কেটে দেখতে হবে ব্যাপারটা কি।
ওরে বাবা!
ভয় পেয়ে বেড়াল পালিয়ে গেল বন্ধু বাক্সর বাড়ি। গিয়ে বলল সব কথা। বাক্স তখন একটা বুদ্ধি ভাবল।
খুব আদর করে নিজের বাড়ি ডেকে আনল বোলতা কে।
বলল "ভাই থাকবে তুমি আমার বাড়ি?"
বোলতা মনে মনে ভাবল বাঃ এতো দারুন সুযোগ!
বিনা ভাড়ায় থাকার জায়গা পেয়ে গেলাম! আনন্দে নাচতে নাচতে বোলতা যেই না ঢুকল বাক্সে, অমনি দুম করে বাক্স বন্ধ করে দিল দরজা। বোলতা অনেক কাঁদল, বলল ভুল করে ফেলেছি, ক্ষমা করে দাও আমায়। কিন্তু দরজা আর খুলল না।
বেড়াল আর বাক্স দুই বন্ধু মনের সুখে লুকোচুরি খেলতে লাগলো।
গল্প লিখেছেঃ
অর্হণ খাঁ
প্রথম শ্রেণী, সমরভিলে স্কুল, গ্রেটার নয়ডা
গ্রাফিকঃ মিতিল