একদিন ভোরবেলা উঠে দেখি, ছোটকা তার কাঁধে একটা কোদাল নিয়ে সাইকেলে করে কোথায় যেন যাচ্ছে৷ ঘুমকাতুরে মানুষটি এত ভোরে কোথায় যাচ্ছে? লক্ষ্য করলাম, সাইকেল ঝুড়ি-ক্যারিয়ারটায় একটা টব—তাতে বেশ কিছু প্যানসি ফুলের গাছ৷ আমার বিড়াল গুল্লু দুধ খাচ্ছিল৷ সে বলল, 'যাবে না কি ছোটকার পিছন পিছন?' বললাম, 'চল দেখি'৷
ছুটতে ছুটতে গিয়ে দেখলাম ছোটকা পদ্মপুকুরের ঘাটে এসে দাঁড়ালো৷ সেখানে একটা আম গাছের ওপর আছে একটা বিশাল মৌমাছিদের চাক৷ তার থেকে উড়ে এল এক ঝাঁক মৌমাছি৷ শুনতে পেলাম তারা বলল, 'কোথায় পুঁতবে গো গাছগুলো?' ছোটকা বলল, 'কোথায় আবার? তোদের বাসা আমগাছের তলাতেই পুঁতে দি?' একটা মৌমাছি বলল, 'যাই বল, তোমার মত ভাল বন্ধু আমরা আগে কখনও পাই নি৷ তা তুমি যে আমাদের মধু খাবার জন্য ফুলগাছ উপহার দিলে; আমাদেরকেও তো কিছু তোমাকে কিছু দিতে হয়!' এই বলে তারা ছোটকাকে একটা বিশাল কুমড়ো এনে দিল৷
সেদিন ছোটকা বাড়ি এসে বলল, 'আজ রাস্তায় একটা কুমড়ো পেয়েছি৷ আজ তো কুমড়ি খেতেই হচ্ছে!' কেউই ছোটকার পেট থেকে বার করতে পারল না যে সে কোথা থেকে কুমড়োটা এনেছে৷ সবাই না জেনেই সেদিন কুমড়ি খেল — আমি আর গুল্লু ছাড়া৷
গল্প লিখেছেঃ
প্রবাহনীল দাস ষষ্ঠ শ্রেণী, একমি একাডেমি, কালনা, পূর্ব বর্ধমান
গ্রাফিকঃ মিতিল