(মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প অবলম্বনে লিমেরিকে গল্প)
একদিন এক বৃদ্ধা এলো মোল্লা বাবুর বাড়ি,
আর্জি করে, "মোল্লা জি কে ডাকুন তাড়াতাড়ি।"
মোল্লা এলে বললে বুড়ি,
"বলুন বাবু কী যে করি?
নাতি আমার খায় যে চিনি শুধুই হাঁড়ি হাঁড়ি।"
নাসিরুদ্দিন মোল্লা বলে, "কী করব বলো?"
বুড়ি বলে, "নাতিকে আজ কড়কে দেবে চলো৷"
মোল্লা বলে "হপ্তা বাদে
এসো আবার আমার ছাদে,"
এসব শুনে শান্ত হয়ে বৃদ্ধা বাড়ি গেলো।
হপ্তা বাদে এলো বুড়ি সঙ্গে নিয়ে নাতি,
পাটকাঠি যে ছিলে আগে, হয়েছে এখন হাতি।
মোল্লা বলে "হপ্তা আর এক
দে বুড়ি মা, তারপরে দেখ,"
বুড়ি আবার নিজের গ্রামে ফিরল রাতারাতি।
ফের হপ্তা নাতি সমেত আসল বুড়ি চলে,
"চিনি খাওয়া বন্ধ করো" মোল্লা দিলেন বলে।
দারুণ খুশিই হল বুড়ি,
ভাবল নাতির কমবে ভুঁড়ি,
আনন্দেতে আত্মহারা, গেলই বুড়ি গলে।
বুড়ির নাতি বেরিয়ে গেলে, বলল বুড়ি কী যে—
"এই কথাটাই বললে সেদিন, যেতেন নাকি ভিজে?"
মোল্লা বলে, "না বুড়ি মা,
আমিও খেতাম, ধামা ধামা,
কেমন করে বলতাম ওকে, চিনি খেয়েই নিজে?"
লেখাঃ
প্রবাহনীল দাস,
ষষ্ঠ শ্রেণি,
একমি একাডেমি, কালনা, পূর্ব বর্ধমান
ছবিঃ শিল্পী ঘোষ