আমি বাংলা ও ইংরাজি দুই রকম বইই পড়ি, কাহিনী আমার মনের মত হলেই হল৷ তবে, আমার সবচেয়ে প্রিয় বইটি হল ‘জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ (Journey to the Centre of the Earth)’। জুলে ভার্নের লেখা এই বইটির একটি ছোট্ট অংশ আমি পড়েছিলাম আমাদের পাঠ্যবইয়ে। সেখানে ছিল এক্সেল ও কাকার আগ্নেয়গিরিতে অবতরণের কথা। এই বিশাল গল্পের ওইটুকু অংশ পড়ার পরই আমি ঠিক করি, পুরো বইটা আমাকে পড়তেই হবে। আমার মামা আমায় বইটি দেওয়ার পর আমি প্রচণ্ড উৎসাহের সাথে কিছুদিনের মধ্যেই গল্পটা পড়ে শেষ করে ফেলি।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাবলিকেশানের যে বইটি আমি পড়েছি, তাতে প্রচ্ছদশিল্পীর নাম খুঁজে পাইনি। তবে ভাবতে অবাক লাগে, ২০০ বছর আগে, যখন মানুষ না পারত আকাশে উড়তে, না পারত জলের গভীরে যেতে, তখনও জুলে ভার্নের মতো মানুষ তাদের কল্পনার দিয়ে ভবিষ্যৎ বলে দিয়ে যেতেন৷ আমার কাছে এই গল্পের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অংশ আছে দুটো। এক, যখন এক্সেলের কাকা প্রোফেসর লিডেনব্রক সেই অদ্ভুত সঙ্কেত খুঁজে পাবে, আর দুই হল তখন যখন ওরা তিনজন মাটির কত গভীরে আবিষ্কার করবে প্রাচীন দুনিয়া। তবে দ্বিতীয় অংশটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। আর এই ধারণাটাই খুব অদ্ভুত যে ডাইনোসের যুগের প্রাণীরা এখনও মাটির তলায় বহাল তবিয়তে আছে, আর পৃথিবীর তলাটা পুরোটাই একটা অন্য দুনিয়ায়!
আমার খুব ইচ্ছা করে, এই স্বপ্নের দুনিয়াতে একবার যেতে। এবং ঘুরে আসতে সেই অদ্ভুত দুনিয়ায়, যেখানে ২০০ বছর আগেই পৌঁছেছিলেন মহান লেখক।
লেখাঃ
প্রবাহনীল দাস
ষষ্ঠ শ্রেণি
একমি একাডেমি, কালনা, পূর্ব বর্ধমান
ছবিঃ ইন্টারনেট