এসো, বোসো, রাস্তা চেনাই।
আমার বাড়ির ছাতের থেকে দেখবে পথটা গেছে বেঁকে
ঠিক দু’দিকে
ডাঁয়ের পথটা আলতো ছেড়ে বাঁয়ের পথে মাইল দেড়েক
পূর্ব দিকে-
মাঠের শেষে আখড়া বাড়ি ভিম পালোয়ান, বদের ধাড়ি!
সামলে চোলো!
নেহাত যদি ধরতে আসে বুক কেঁপে যায় খুব তরাসে
নামতা বোলো!
সেই আখাড়ার বাঁদিক ঘেঁষে নদীর পাড়ে দু’বার কেশে
ডাক শুনিয়ো
তেনার যদি জবাব মেলে নজরানা যা এনেছিলে
সাজিয়ে দিয়ো।
তাইতে যদি তালের ডগায় টপ্পা ধরেন সাধা গলায়
মশাই র্যাভেন,
কুচকুচে তার ন্যাজের পালক একটি চেয়ো, বুঝলে বালক?
হয়তো দেবেন!
সেইটে নিয়ে কানের পাশে সুড়সুড়ি চাই ফাগুন মাসের
দুপুরবেলা
দেখবে কত ‘কাকা’ ধ্বনি বলবে তোমায়, নামটা শুনি!
কাদের পোলা?
যা বলবে,তা গুছিয়ে বোলো ভুল হলে ভাই মাথার বেলও
চিমনি ছ্যাঁদা
আর যদি ভাই মনে ধরে দেখবে কেমন আদর করে
ডাকবে- দাদা!
ডানায় তুলে সবাই মিলে সাতসমুদ্দুর তেরো টিলে
পার্টি হবে
বাসায় রাজার তিনটি ছানা চ্যাঁ ভ্যাঁ আর কষ্টিসোনা
গান শোনাবে
গপ্প সেরে ফিরবে যখন যা পেলে ভাই মানিকরতন
তুমিই রেখো।
আমায় দিয়ো পালকখানা কী বললে ভাই? তাও দেবেনা?
বেশ!মনে রেখো!
গ্রাফিক্সঃ মহাশ্বেতা রায়