ও বৃষ্টি;ধুয়ে দিলি যত গভীর ক্ষত
ও বৃষ্টি;ভিজিয়ে দিলি ছেলেবেলার মতো।
বৃষ্টিভেজা ছেলেবেলা,উঠোন মাখে কাদা
ভাই বলত "রাস্তায় জল,নৌকা ছাড়ব দাদা।"
আম্মা দিতো কাগজ মুড়ে,নৌকা ভাসত জলে
একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকি,অবাক কৌতূহলে।
কুয়োতলায় জল জমত,মাছ আসতো রাতে
এমনি চালাক,দেয়না ধরা ছোটকাকার হাতে।
চিলেকোঠার টিনের চালের বৃষ্টিফোঁটায় স্নান
ওরই মাঝে লুকিয়ে আছে ছেলেবেলার গান।
সেদিনগুলোয় দিতেম পাড়ি,মেঘ নৌকোয় চেপে
তাই তো বলি,আয় বৃষ্টি;আয় বৃষ্টি ঝেঁপে।
সারা সকাল বৃষ্টি হলো,জল জমল খুব
দুপুর বেলা থেমেছে,সব নির্বাক-নিশ্চুপ।
বাড়ির সবাই ঘুমের দেশে,কেউ জানবে না
আমি আর ভাই চুপিচুপি,ডুবিয়ে দিলাম পা।
এখন এগোই জল ডিঙিয়ে,শুকনো রাস্তা খুঁজি
স্বপ্নে ভেজে পায়ের পাতা,যখনই চোখ বুজি।
আম্মাও নেই;নৌকাও তাই আর ভাসেনা জলে
হয়না এখন তাকিয়ে থাকা,অবাক কৌতূহলে।
তাই তো বলি,আয় বৃষ্টি;আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
ছেলেবেলায় পাড়ি দেব,মেঘ নৌকোয় চেপে।
ছবিঃ মহাশ্বেতা রায়