সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

কাগজে তুলি দিয়ে রঙ লাগিয়ে আমরা তো কতই ছবি আঁকি। কিন্তু ধর যদি তুলি না থাকে, তাহলে কি আমরা ছবি আঁকব না? মোটেও না, আমরা তাও ছবি আঁকব। আমরা আমাদের হাতের কয়েকটা বা সবক'টা আঙুল, বা পুরোপাঞ্জা ব্যবহার করেই দারুণ সব ছবি আঁকতে পারি। এমনকি তোমার পায়ের পাতা ব্যবহার করেও তুমি কিন্তু ছবি আঁকতে পার।

নিচের ছবিটাই দেখ না, কিরকম হাতের ছাপ দিয়েই সুন্দর ফুল বানিয়েছি আমি। আরো কত কিছু যে বানানো যায়- পাখি, প্যাঁচা, কাঁকড়া, সিংহ, ময়ূর, অক্টোপাস, গাছ...

তাহলে হ্যাণ্ড পেইন্টিং করতে আমাদের যা যা লাগবে, তার একটা ছোট্ট তালিকা দিই এখানেঃ

১। নানা রঙের পোস্টার কালার
২। একটু মোটা কাগজ, যেমন পুরু আর্ট পেপার, বা হ্যান্ডমেড পেপার, যেগুলি একটু খসখসে হয় আর পুরু হয়
৩। তুলি - একটু মোটা একটা তুলি। না, এটা ছবি আঁকতে লাগবে না, তার বদলে তোমার হাতের তালুতে রঙ লাগাতে লাগবে
৪। কল্পণা শক্তি - এটা অনেক, অনেক চাই !

আমি তোমার জন্য তৈরি করেছি দুটো ফুলের ছবি আর আরেকটা বিশেষ ছবি। আগে বলি ফুলের ছবিটা কিভাবে বানালামঃ

১। প্রথমে তোমার একটা হাতের তালুতে তুলি দিয়ে মোটা করে রঙ-এর পরত লাগাও। ( যে হাত দিয়ে লেখ, সেই হাত দিয়ে তো তুলি ধরবে, তাই অন্য হাতে রঙ লাগাও)। রঙে যতটা কম জল দেওয়া যায় ততই ভাল। তোমার পোস্টার রঙ খুব বেশি আঁটো হলে একটু জল মেশাতে পার।
২। তোমার হাতের তালু খুব সাবধানে উলটে চাপ দাও তোমার পছন্দসই কাগজের ওপরে। হাতটা খানিক্ষণ চেপে রেখে, তারপরে সাবধানে তুলে আনো। দেখ, যেন তোলার সময়ে কাগজ সরে গিয়ে রঙ ধেবড়ে না যায়।
৩। এবার হাত ভাল করে ধুয়ে মুছে নাও। তারপরে অন্য রঙ টা লাগাও আবার আগের মত করে। এর পরে হাতটাকে একটু ঘুরিয়ে আবার কাগজে চাপো। আগে থেকে দেখে নাও, আগের রংটা শুকিয়েছে কিনা।
৪। আবার হাত মুছে নিয়ে সবুজ রঙ আঙুলে লাগাও, আর ফুলের ডাল আর পাতা তৈরি কর।

কত সহজেই হয়ে গেল, তাই না?

এবার নিচের ছবিটা ভাল করে দেখ ।

বল দেখি, এটা কার ছবি বানিয়েছি আমি? এটা কিন্তু আগেরটার থেকে একটু কঠিণ, কারণ, খুব ধৈর্য্য ধরে করতে হবে। তুমি চাইলে সুক্ষ্ম জায়গাগুলিকে করার সময়ে তুলির ডাঁটির পেছন দিকে রঙ লাগিয়ে ব্যবহার করতে পার।

এই ছুটিতে বসে বসে বানিয়ে ফেলবে নাকি নতুন কিছু ছবি? সিংহ মশাই, বা রাজহাঁস, অথবা ইঁদুর বা প্যাঁচা, বা ময়ুরের ছবি? এইভাবে হ্যান্ড -পেইন্টিং করে? করলে আমাকে দেখিও কিন্তু !

এর পর থেকে নিয়মিত চোখ রাখ ইচ্ছামতীর এই নতুন বিভাগ সৃজনীতে।নিজে নিজে সহজে নানারকমের সুন্দর জিনিষ তৈরি করার হদিশ পাবে এখানে।

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা