সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
দুগ্‌গা ঠাকুরকে নিয়ে গপ্পো

আবার হৈ হৈ করে এসে গেল শরৎকাল। বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে আকাশের সব কালিমা। নীল আকাশে সাদা হাল্কা মেঘগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে; বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। তোমরা তো প্রতি বছর পুজোর ইতিহাস নিয়ে কত কথাই শোন। আজ তোমাদের বলি দুগ্‌গা ঠাকুরকে নিয়ে কিছু খুচ্‌রো গল্প।

দুগ্‌গা ঠাকুর তখনো মা দুগ্‌গা হন নি। কিছুদিন হল বিয়ে হয়ে কৈলাসে এসেছেন। অত বড় রাজপুরী ছেড়ে শিবের বাড়ি এসে মনটা একটু কেমন করে বৈকি, কারণ এখানে তো একা থাকতে হয়, কথা বলার লোকই নেই। চারপাশে শিবের অনুচরেরা সারাদিন তাদের আদরের প্রভুপত্নীর জন্য কত কিছুই না করছে, কিন্তু তাদের কথা দুর্গা বুঝতেই পারেন না। তাই কোন গল্পই হয় না। বাপের বাড়ি থেকে অবশ্য জনা দুই-চার সখি এসেছে, কিন্তু তিনি চান এদের কথাও জানতে, বুঝতে। শিব সারাদিন পৃথিবীর কত সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন; বেশি সময় দিতে পারেন না পার্বতীকে, তাই পার্বতীও তাঁকে নিজের একাকিত্বের কথা শুনিয়ে বিব্রত করেন না।

সেদিন পার্বতী আনমনে বসেছিলেন বাড়ির ভিতর-বারান্দাতে। বেলা গড়িয়ে যায়, স্নান হয়নি, তেমন গরজও নেই। ব্যাপার দেখে সখিরা তাঁকে তেল মাখাতে বসল, আর শুরু হল নানা হাসি-মজার গল্প। নরম মাটির সঙ্গে সুগন্ধ তেল মিশিয়ে যখন তারা পার্বতীর গায়ে ঘসে ঘসে মাখিয়ে দিচ্ছিল, তাঁর গা থেকে প্রচুর ময়লা বের হয়ে মাটির মত ঝরে পড়ল। পার্বতী কিছুটা মজা করেই সেই মাটি দিয়ে একটা ছোট্ট পুতুল বানালেন আর সখিদের দেখিয়ে বললেন, " দেখ, দেখ, এই হল আমার ছেলে।" সেই পুতুল-ছেলেকে দেখে সখিরা খুব মজা পেল আর একজন বলল, " ওমা, কি সুন্দর হয়েছে! তা পার্বতী, ওকি পুতুলই হয়ে থাকবে নাকি? ওকে জ্যান্ত করে দাও না। তবেই তো ও একেবারে তোমার নিজের ছেলে হয়ে যাবে।"

পার্বতী ভাবলেন, ব্যাপারটা তো মন্দ নয়। তিনি মন্ত্র পড়ে পুতুলের মাথায় হাত রাখতেই, পুতুলের বদলে একটি কিশোর গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পার্বতীকে প্রণাম করে বলল, "মা, আমি তোমার পুত্র, আমার নাম কি? আমি তোমায় কিভাবে সেবা করব, বলে দাও। "

পার্বতী তো এই ঘটনায় যুগপৎ বিস্মিত ও আনন্দিত হলেন। চারপাশের সখিরা হৈ হৈ করে হাততালি দিয়ে উঠল। "হ্যাঁ হ্যাঁ, নাম চাই, খুব সুন্দর নাম হতে হবে কিন্তু।" একজন তাকে গাল টিপে আদর করে বলল,"তুমি হলে আমাদের সখি পার্বতীর পুত্র। মার আদর ভোগ করা ছাড়া তোমার আর কাজ কি?"

পার্বতী তাড়াহুড়ো করলেন না। এই বিশাল বাড়িতে ছেলেটি যে একান্তভাবে তাঁরই, এই চিন্তাটা তিনি ধীরে সুস্থে উপভোগ করতে চাইলেন। তিনি বললেন, " পুত্র আমার, এখন আমি স্নানে যাচ্ছি। যতক্ষণ আমি ফিরে না আসি, তুমি এই ভবন পাহারা দাও। কাউকে ঢুকতে দিও না যেন।"

পার্বতী স্নানে গেছেন। তাঁর পুত্র তো ঘুরে ঘুরে ভবন পাহারা দিচ্ছে। মা বলেছেন কেউ যেন ঢুকতে না পারে। চারদিকে শান্ত অনুকূল পরিবেশ। কিন্তু এই অবস্থা বেশিক্ষণ চলল না। হন্তদন্ত হয়ে শিব বাড়িতে ফিরলেন। মধ্যাহ্নভোজের সময় হয়েছে, সূর্য মাথার উপর গন্‌গনে আগুন ঢালছে। শিবের খুব খিদে পেয়েছে। এমনিতে শিব খুব শান্ত, আপনভোলা স্বভাবের মানুষ। কিন্তু খিদে পেলে তাঁর আর কিছু মনে থাকে না। আগে তো যেমন তেমন ছিল; পার্বতী আসার পর থেকে তাঁর হাতের তৈরি নানা রকম সুস্বাদু অন্নব্যঞ্জন খেতে খেতে তাঁর অভ্যাস পালটে গেছে।

শিব ভাবেননি যে তাঁর নিজের বাড়িতে তাঁকে কেউ ঢুকতে বাধা দিতে পারে। তার উপর এরকম একটা পুঁচ্‌কে ছেলে তাঁকে আট্‌কাচ্ছে! তাঁর খুব রাগ হল। কিন্তু ছেলেটি ছোট বলে তিনি রাগ চেপে শান্তভাবে আদর করে কোলে তুলে নিলেন, আর তাকে নিয়েই ভিতর দিকে রওনা হলেন। কিন্তু পার্বতীপুত্র তো ছাড়ার পাত্র নয়। সে ছেঁচড়ে কোল থেকে নেমে পড়ে পথ আটকে দাঁড়াল। প্রণাম করে বলল, "আর্য, আমার মা স্নানে গেছেন। দয়া করে তাঁর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মা বলেছেন,তাঁর স্নানের সময় আমি যেন কাউকে ঢুকতে না দেই।" শিব ভাবছেন, "পার্বতীকে মা বলছে? তবে তো ছেলেটি তাঁরই। কি কাণ্ড, তিনি তো জানেন না তাঁর এরকম একটি ছেলে আছে!" তিনি বুঝলেন, পার্বতী একটি বাচ্চা ছেলেকে পরিচারক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন, সেই তাকে মা বলে সম্বোধন করছে। তিনি বললেন, "বৎস, কর্তব্যের প্রতি তোমার নিষ্ঠা দেখে আমি খুশি হয়েছি। তুমি ঠিকই করেছ। কিন্তু এটা তো আমার বাড়ি। তাই তোমার মায়ের এই আদেশ আমার জন্য নয়। আমি এখানে এমনিই ঢুকতে পারি।"

ছেলেটি কিন্তু কোন কথাই শুনবার পাত্র নয়। তার এক কথা, মা স্নানে গেছেন, তিনি এসে অনুমতি দিলেই শিবকে সে ঢুকতে দিতে পারে। ভাল কথায় কাজ হচ্ছে না দেখে শিব আস্তে আস্তে রেগে উঠছেন। শুরু হল তর্ক-বিতর্ক; একপাশে একা একটি ছোট ছেলে, অন্যদিকে সমস্ত গণ অর্থাৎ অনুচরসহ শিব দাঁড়িয়ে, কয়েকজন দেবতাও ব্যাপার দেখতে দাঁড়িয়ে গেছেন। রৈ রৈ করে গণেরা ঝাঁপিয়ে পড়ল পুঁচ্‌কে ছেলেটিকে দরজা থেকে হঠিয়ে দিতে। কিন্তু কি অবাক কাণ্ড! অদ্ভুত ক্ষিপ্রতায় কেবলমাত্র একটি লাঠি সম্বল করে ওইটুকু ছেলে সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করল, কেউ দরজা দিয়ে ঢুকতে পেল না।

সমস্ত বাহিনীকে কেবলই হেরে যেতে দেখে শিব তো ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন। দীর্ঘ ত্রিশূল হাতে তিনি এগিয়ে এলেন। যতই বীরত্ব দেখাক না কেন, আসলে তো ছোট ছেলে। তাই তার জন্য সব দর্শক মনেই একটা হায় হায় ভাব উঠল। এবার তো শিবের হাতে আর রক্ষা নেই। ব্রহ্মা আর বিষ্ণু মৃদুভাবে শিবকে নিরস্ত করতে চাইলেন। কিন্তু তখন কে কার কথা শোনে। ক্রোধান্ধ শিব এক আঘাতে ছেলেটির শরীর থেকে মাথাটি বিচ্যুত করে দিলেন। সারা বিশ্ব হাহাকার করে উঠল।

পার্বতী তখন সদ্য স্নান সেরে বেরিয়েছেন। বাইরের কোলাহল শুনে ঈষৎ বিস্মিত হয়ে এক সখিকে ডাকলেন কারণ জানবার জন্য। তখনি সখিরা একসঙ্গে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে এল, "সখি, ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গেল। মহাদেব তোমার পুত্রের শিরশ্ছেদ করেছেন।" পার্বতী শুনে আর্তনাদ করে উঠলেন, "কেন?" সখিরা জানাল যে মহাদেব ক্ষুধার্ত হয়ে বাড়িতে ঢুকছিলেন। পার্বতীর আদেশ অনুসারে শুধু তাঁকে কেন, কাউকেই ঢুকতে দেয়নি ছেলেটি। দু-এক কথার পর শিব রেগে গিয়ে এই কাণ্ড করেছেন।

পার্বতী দৌড়ে বাইরে এলেন। শিব ঈষৎ বিব্রত মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন। কাণ্ডটা ঘটে যাবার পর এর গুরুত্বটা বোধহয় তাঁর মাথায় ঢুকেছে। পার্বতী এসে সব দেখে হাহাকার করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর ছেলের মুণ্ডহীন দেহের উপর। দেবতারা সব মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে, তীক্ষ্ণকন্ঠে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনারা কি করছিলেন এই ঘটনার সময়?" বিষ্ণু এগিয়ে এসে নম্র কন্ঠে বললেন, "ভগ্নী, এক প্রবল উত্তেজনার মূহুর্তে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে। তবে বাদানুবাদে নষ্ট করার মত সময় নেই। যদি কোনভাবে ব্যাপারটাকে সামলানো যায়। সেটা এখুনি করতে হবে। এখানে একমাত্র তোমারত স্বামীরই ক্ষমতা আছে, ছেলেটিকে প্রাণ দান করার। তুমি এ বিষয়ে শিবকে অনুরোধ কর।"

পার্বতী জলে ভেজা ক্রুদ্ধ চোখ তুলে বললেন, "আমার অনুরোধ করার কথা নয়। আমার স্বামী কি জানেন না তাঁর কর্তব্য কি"?

দেবতাদের সমবেত অনুরোধে শিব বললেন, " যদি উত্তরদিকে মাথা করে শুয়ে আছে এমন কোন মানুষকে পাও, তার মাথা নিয়ে আসলে সেই মাথা আমি এর ঘাড়ে জুড়ে দিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারি। তবে শুভ সময় চলে যাচ্ছে; যত তাড়াতাড়ি মাথা পাওয়া যায় ততই মঙ্গল।"

গণেরা ছুটল মাথার খোঁজে। যে সে ব্যাপার নয়, কেবলমাত্র উত্তরশিয়রের মাথা হতে হবে। কি মুস্কিল ! এমন মাথা তো কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। কি হবে তবে? গণেদের নেতা নন্দীও মাথার খোঁজে বেড়িয়েছিল। সে দেখল, একটি ছোট হস্তিশিশু বনের মধ্যে একা শুয়ে ঘুমাচ্ছে। তার মাথা উত্তরদিকে রয়েছে। সে চিন্তায় পড়ল। মহাদেব বলেছেন একটা মাথা চাই ; মানুষ কি পশু বলেননি। সময় চলে যাচ্ছে। সে দ্রুত ফিরে এসে শিবকে অবস্থাটা জানাল। শিব বললেন, "এই গজশিশু আর কেউ নয়, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবতের শিশুপুত্র। পুত্রটি সুলক্ষণযুক্ত কিন্তু শাপগ্রস্ত তাই এর মস্তকই উপযুক্ত হবে। আর বিশেষতঃ উত্তরশিয়রের কোন মনুষ্যের মস্তক যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন এই মস্তকটাই নিয়ে আসা হোক ।" বলে তিনি বিষ্ণুর দিকে তাকাতেই ইঙ্গিত বুঝে তিনি সুদর্শন চক্রের সাহায্যে সেই গজশিশুর মস্তক ছিন্ন করে শিবের হাতে এনে দিলেন। শিবও মন্ত্র পড়ে সেই মাথা পার্বতীর ছেলের ঘাড়ে বসিয়ে দিতেই সে তৎক্ষণাৎ গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পিট্‌পিট্‌ করে চারদিক দেখল; তারপর পার্বতীর কাছে গিয়ে প্রণাম করে দাঁড়াল।

পার্বতী তো ছেলেকে ফিরে পেয়ে তাকে হেসে কেঁদে জড়িয়ে ধরলেন। কিন্তু তাঁর এতে সন্তুষ্টি হল না। তিনি মহাদেবকে ডেকে বললেন, "এ কেমন ব্যাপার হল? সকলের ঘাড়ে নরমুণ্ড, আর আমার ছেলের ঘাড়ে অন্যরকম? তাবৎ বিশ্ব তো ওকে নিয়ে কেবলই পরিহাস করবে, কেউ ওকে দেবতা বলে মানবেই না। "

উপস্থিত দেবতারা তো কেউ কেউ মুখ টিপে মুচ্‌কি হাসছিলেন। তবে এই কথা শুনে তাঁরা মুখ গম্ভীর করে দাঁড়ালেন। শিবও একটু চিন্তা করে বললেন, "না, আমি ওকে নিজের ছেলে বলে স্বীকার করে নিয়েছি। কার সাহস হবে ওকে নিয়ে পরিহাস করার? আমি ওর বীরত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছি। শুধু তাই নয়, ওর দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা, কর্তব্যপালনের জন্য প্রাণপণ করা – এই গুণগুলি অকে মহান করেছে।পার্বতী, তুমি তো ওকে কোন নাম এখন পর্যন্ত দিতে পারোনি। আজ আমি ওর নাম দিলাম গণেশ, কারণ ও হবে আমার গণেদের অধিনায়ক। " শুনে গণেরা আনন্দে হৈ হৈ করে উঠল। এতটুকু ছেলের এত সাহস, দেখতেও কি সুন্দর, গণেরা তো আগেই ওকে ভালবেসে ফেলেছিল। তাই নিজেদের নেতা বলে মেনে নিতে তাদের একটুও অসুবিধা হল না। শিব হাত তুলে গণেদের থামিয়ে দিয়ে বললেন, "অনেক বিঘ্নের মধ্য দিয়ে ওর নবজন্ম হল। তাই বিঘ্নেশ্বর বলেও মানুষ ওকে জানবে। যেকোন কাজের আগে গণেশকে স্মরণ করলে সেই কাজের সমস্ত বাধা দূর হবে। "

পার্বতীর মনের ভার তবুও দূর হয় না। তিনি আক্ষেপ করতে লাগলেন, এরকম অদ্ভুত-দর্শনধারী দেবতাকে কেউ পূজা করবে না। শুনে শিব নির্দেশ দিলেন, এখন থেকে সর্বরকম পূজার প্রথমেই গণেশের পূজা করতে হবে। এমন কি তাঁর পূজার আগেও গণেশবন্দনা অবশ্যকর্তব্য বলে স্থির হল। এবার পার্বতীর মুখে হাসি ফুটল। শিব গণেশকে সব রকমের শাশ্ত্রবিদ্যা অধিগত হবে বলে আশীর্বাদ করলেন। তিনি হলেন সর্ববিদ্যাবিশারদ। আকাশ থেকে দেবতারা ফুল ছড়িয়ে তাঁকে বরণ করে নিলেন। পার্বতী হলেন গণেশজননী।

এই গল্পটি কিঞ্চিৎ অন্যভাবেও পাওয়া যায়। ছোট্ট শিশু গণেশকে নিয়ে পার্বতী বসে আছেন। সমস্ত দেবতা, মানুষেরা শিশুকে দেখার জন্য ভীড় করেছে। পার্বতী লক্ষ্য করলেন এই ভীড়ে শনিদেব নেই। শনিকে তিনি ভাই বলে মানতেন। কাজেই তিনি অভিমান করে কথাটা সবার সামনে বলেই ফেললেন। শনি জানতেন, তিনি দেখতে আসলেই কিছু অঘটন ঘটবে। তাই তিনি সরে ছিলেন। এখন পার্বতীর পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে আসলেন শিশুকে আশীর্বাদ করতে। কিন্তু জানোতো, যাকে বলে শনির দৃষ্টি ! শিশুর দিকে দৃষ্টিপাত করা মাত্রই তার মুণ্ডুটি বেমালুম উধাও হয়ে গেল। হৈ হৈ পড়ে গেল চারদিকে। পার্বতী তো কেঁদে আকুল। তারপর শ্রীবিষ্ণুর পরামর্শে যা যা ঘটল, তা তো তোমাদের আগেই বলে দিয়েছি। এভাবেই গজানন গণেশের মা হয়ে উঠলেন পার্বতী, আমাদের মা দুর্গা।


উৎসঃ বাংলার লোককাহিনী


ছবিঃ চন্দ্রিমা ঘোষ

শুক্তি দত্ত ভালবেসে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। রূপকথা, প্রাচীন সাহিত্য, দেশবিদেশের লোকসাহিত্য, গল্পকথা পড়তে ভালবাসেন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা বা শিশুদের সেই গল্প শোনাতেও ভালবাসেন। প্রধানতঃ শিশুমনস্তত্ত্ব ও তাদের শিক্ষাসংক্রান্ত কাজে দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন। সেটা শুধু পড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি শিশু সাহিত্য, লোকসাহিত্য প্রভৃতিকে তাদের মূল্যবোধ বিকাশে কাজে লাগাতে চান।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা