সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
উপমন্যু ও আরুণি

আমাদের দেশের মহাকাব্যগুলি হল গল্পের খনি। মহার্ঘ সব রত্ন ছড়িয়ে আছে গল্পের রূপ নিয়ে। সেগুলি সবাইকে যেমন নির্মল আনন্দ দেয়, তেমনি জীবনের পথে চলার জন্য অনেক শিক্ষাও দিতে থাকে। তা থেকেই তুলে আনলাম এবারের গল্পটি।

তুমি যেমন লেখাপড়া শেখার জন্য রোজ স্কুলে যাও, তেমনি আগের দিনেও বাচ্চারা স্কুলে যেত। কিন্তু তোমার সঙ্গে তাদের একটা মস্ত তফাৎ ছিল। তুমি রোজ বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে যেতে বড় হয়ে যাও; আর সেকালের বাচ্চারা কো—ন ছোটবেলায় নিজেদের বাড়ি, মা-বাবা, বন্ধুদের ছেড়ে চলে যেত গুরুগৃহে পড়াশোনার জন্য। সেখানে বনের মধ্যে গুরুমশাই-এর বাড়িই ছিল স্কুল। সকালে উঠে তারা বনে বনে ফল কুড়াতো, রান্নার জন্য কাঠ জোগাড় করত, তারপর নদীর জলে স্নান করে পড়তে বসত। ঘরে গুরুমা তাদের জন্য রান্না করতেন, খেতে দিতেন, আর রাতের বেলা গান গেয়ে, গল্প বলে মাতৃস্নেহে গায়ে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেন। তাঁর স্নেহের স্পর্শে বাচ্চারা ঘর ছেড়ে আসার দুঃখ ভুলে যেত।এইভাবে বহুবছর গুরুগৃহে থেকে পড়াশোনা করতে করতে তারা বালক থেকে তরুণ হয়ে উঠত। পড়াশোনা পুরোপুরি সমাপ্ত করে তবেই তারা বাড়ি ফিরে যেত।

তখনকার দিনের এক নামকরা গুরুমশাই, আচার্য আয়োদধৌম্যের পাঠশালাতে শাস্ত্রশিক্ষা নেওয়ার জন্য এল এরকমই দুটি ছেলে - নাম উপমন্যু এবং আরুণি শ্যামলা চেহারা, নম্র মুখশ্রী আর ভাসাভাসা চোখদুটিতে এত মায়া জড়ানো যে প্রথম দেখাতেই গুরুর মন পড়ে গেল তাদের উপর। গুরুগৃহে সবাইকেই সংসারের নানা কাজে হাত লাগাতে হয়। এর মধ্য দিয়ে তারা শিক্ষা পায় সংসারজীবনে কিভাবে থাকা উচিত। তাই কিছুদিন পর এই দুটি ছেলেও কিছু কাজের ভার পেল। আচার্যের কিছু গরু ছিল, বিভিন্ন যজ্ঞে দান হিসেবে পেয়েছিলেন। উপমন্যুকে গুরু ভার দিলেন তাঁর গরুগুলিকে পরিচর্যার করার। আর আরুণি ভার পেল আচার্য ধৌম্যের শস্যক্ষেতে কাজ করার।

রোজ সকালে উপমন্যু এক পাল গরুকে সঙ্গে নিয়ে বনে চলে যেত। সারাদিন গরুগুলি ঘুরে ঘুরে ঘাস খায়, উপমন্যু তাদের পিছনে ঘোরে, তাদের স্নান করায়, বাচ্চা গরুগুলিকে আদর করে, কোন বিপদ যাতে না আসে সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে লক্ষ্য রাখে। সন্ধ্যে হলে সবাইকে গুছিয়ে আশ্রমে ফিরে হাত-পা ধুয়ে পড়তে বসত। উপমন্যুর পরিচর্যার গুণে গরুরা শীঘ্রই নধরকান্তি এবং অধিক দুগ্ধবতী হয়ে উঠল।

একদিন আচার্য উপমন্যুকে ডেকে পাঠালেন তার কাজের খবর নিতে। উপমন্যু এসে প্রণাম করে দাঁড়ালে তিনি বললেন, "কেমন আছ উপমন্যু, কাজটা তোমার পছন্দ হয়েছে তো?" উৎসাহিত হয়ে সে ঘাড় কাত করে বলল, " হ্যাঁ গুরুদেব, আমি গরুদের খুব যত্ন করি। ওরাও আমাকে কত ভালবাসে।" "ভাল,ভাল, তবে এতে তোমার তো অনেক পরিশ্রম হয়। তুমি ঠিক মত খাওয়া দাওয়া কর তো", গুরু তার গায়ে হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। "হ্যাঁ গুরুদেব, আমার খাবার কোন কষ্ট নেই। গাভীদের দুধ কিছুটা প্রথমবার দোহন করে তা আপনার ঘরে পাঠানো হয়। দ্বিতীয়বারে তাদের বাচ্চারা উদরপূর্তি করে। অবশিষ্টাংশ আমি খেয়ে থাকি।" আচার্য দুঃখিত মুখে বললেন, " ও, এইজন্যই গোবৎসেরা দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রিয় উপমন্যু, গোবৎসেরা তোমায় অত্যন্ত স্নেহ করে। তাই তারা নিজেরা পেট ভরে দুধ না খেয়ে তোমার জন্য কিছুটা রেখে দেয়। তুমি তবে গোশিশুগুলির খাবারে ভাগ বসাচ্ছ? এটি যে অত্যন্ত লজ্জাকর কাজ, বৎস।"

উপমন্যু লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে চলে গেল। সে লজ্জায় জিজ্ঞাসা করতে পারল না, আচার্যও কিছু বললেন না যে তবে সে সারাদিনে কি খাবে। দিন কাটতে লাগল। আবার একদিন তার ডাক পড়ল আচার্যের কাছে। সেদিনও আচার্য তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তার সারাদিনের খবর, কিভাবে সে ক্ষুধাশান্তি করে থাকে। নম্র স্বরে উপমন্যু জানাল, গরুদের অল্পকালের জন্য অন্য রাখালদের তত্ত্বাবধানে রেখে সে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ভিক্ষান্ন সংগ্রহ করে উদরপূর্তি করে থাকে। আচার্য বললেন, "সেকি! আমার ছাত্ররা সকলেই ভিক্ষা সংগ্রহ করে ঘরে নিয়ে আসে। তুমি তা নিজেই খেয়ে নাও? এটা তো অনুচিত। উপমন্যু, আজ থেকে তুমি ভিক্ষাসংগ্রহ অন্যদের মত ঘরে নিয়ে আসবে।"

নিঃশব্দে সম্মতি জানিয়ে উপমন্যু চলে গেল। পরের দিন থেকে সে আচার্যের কথামত সকালের সংগ্রহ গুরুকে সমর্পন করে বিকালেও ভিক্ষা করতে লাগল। কিন্তু তাতেও আচার্য সন্তুষ্ট হলেন না। তিনি বললেন, বিকালের ভিক্ষা হল গৃহস্থের উপর জুলুম করা। ব্রহ্মচারীর উচিত নয় গৃহস্থকে কষ্ট দেওয়া। তাই সে যেন এরূপ কাজ থেকে নিবৃত্ত হয়।

নিরুপায় উপমন্যু ভেবে পেল না এবার সে কি করবে। সে গাছের ফল খেয়ে খিদে মেটাতে চেয়েছিল, কিন্তু আচার্য বলেছেন, পাখিরা ওই ফল খেয়েই পেট ভরায় তাই সেটাও খাওয়া চলবে না। বনের মধ্যে দুপুরবেলা গরুগুলি যখন ভরপেটে নিদ্রালুভাবে জাবর কাটছে, তখন খিদের জ্বালায় সে ছট্‌ফট্‌করে ভাবছিল, এখন সে কি খাবে। যেখানে সে বসেছিল, সেখানে অনেক আকন্দ ফুলের গাছ ছিল। তার মনে হল, এই পাতা তো কেউ খায় না। এটা খেলে হয়ত গুরু কিছু বলবেন না। সে চার পাঁচটা পাতা ছিঁড়ে চিবোতে লাগল। ব্যাপার হল, আকন্দ পাতা খেতে তো বিস্বাদ বটেই, বিষাক্তও হয়। ফলে উপমন্যু সেই পাতা খাবার খানিকবাদে তার চোখ অন্ধ হয়ে গেল। এই অবস্থায় চলতে চলতে সে হঠাৎ একটা কূপের মধ্যে পড়ে গেল। সৌভাগ্যবশতঃ কূপটিতে জল ছিল না। ফলে সে ডুবে গেল না বটে, কিন্তু বেশ আঘাত পেল। ভয় পেয়ে সে গুরুদেব, গুরুদেব বলে চেঁচিয়ে উঠল।

সন্ধ্যা নেমে এসেছে, গরুগুলি সব ঘরে ফিরে এল, অথচ উপমন্যু ফিরল না। গুরুমা তাঁর স্নেহের বাছার জন্য আকুল হয়ে উঠলেন। আচার্যকে তাড়না করতে লাগলেন ওর খোঁজ করার জন্য। আচার্যও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছিলেন, শেষ পর্যন্ত থাকতে না পেরে কয়েকজন শিষ্যকে সঙ্গে নিয়ে বনের দিকে রওনা হলেন। বনে ঢুকে সবাই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে উপমন্যুর নাম ধরে ডাকতে লাগল। শেষে একজন আচার্যকে ডেকে বলল, " গুরুদেব, এদিকে আসুন। মনে হল যেন উপমন্যুর গলা শুনলাম।" সবাই দৌড়ে গেল সেই কুয়োটার কাছে। ভয়ে জড়সড় উপমন্যু তখন ক্লান্ত হয়ে গুরুদেব বলে থেকে থেকে ডুক্‌রে উঠছিল। আচার্যের গলা শুনে সে সর্বশক্তি দিয়ে চীৎকার করে উঠল।

আচার্য তাকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, " বৎস, ভয় নেই । আমি এসে গেছি, এখুনি তোমায় উদ্ধার করব। কিন্তু তুমি বলত, কিভাবে তুমি এই কূপের ভিতর পড়ে গেলে?" উপমন্যু জানাল, আকন্দ পাতা খেয়ে তার চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছে। না দেখে চলতে গিয়ে সে কূপের ভিতর পড়ে গেছে। শুনে আচার্য মন্ত্র পড়ে দেবতাদের চিকিৎসক অশ্বিনীকুমারদের স্মরণ করলেন। তাঁরা এসে উপমন্যুর চক্ষুরোগ সারিয়ে তাকে সুস্থ করে ঋষি ধৌম্যের সামনে উপস্থিত করল। আনন্দে গুরু শিষ্যকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।

পরদিন উপমন্যুকে আর গরু পরিচর্যায় বের হতে হল না। পরিবর্তে সেদিন সব ছাত্ররা আশ্রমপ্রাঙ্গণের বড় অশোক গাছটির তলায় সমবেত হল। নির্দিষ্ট সময়ে গুরু এলেন উপমন্যুকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি বললেন, " তোমরা ভাবছিলে গুরুদেব কত নিষ্ঠুর। উপমন্যুর সাথে কি ব্যবহারই না করলেন। কিন্তু এগুলি আসলে ছিল ওর জন্য পরীক্ষা। ওকে দেখ, যত কষ্টই হোক না কেন, সে আমার বাক্য অমান্য করেনি। আমার জন্য ওর মনে কোন ক্রোধ নেই। ওর সততা,গুরুর জন্য এই শ্রদ্ধাবোধ এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা ওকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করেছে। তাই আজ আমি ওকে ব্রহ্মবিদ্যা দান করব। শিষ্যকে কাছে টেনে এনে মন্ত্রদ্বারা অভিষেক করে আচার্য আয়োদ্‌ধৌম্য তাকে শেখালেন শিক্ষার শেষ অধ্যায় পরমকাঙ্খিত ব্রহ্মবিদ্যা। উপমন্যুর চোখে তখন আনন্দের অশ্রু।

এবার শোনো দ্বিতীয় ছাত্রটির কথা। নাম তার আরুণি। যেদিন উপমন্যু গোধন রক্ষার ভার পেয়েছিল, সেদিনই আরুণিকে আচার্য ভার দিয়েছিলেন দান হিসেবে পাওয়া কৃষিজমির রক্ষণের দায়িত্ব। জমিটার অবস্থা ভাল ছিল না। সুফলা তো নয়ই, চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলও কাছাকাছি পাওয়া যায় না। হয়তো সেজন্যই বিস্তৃত জমি প্রায় পতিত অবস্থায় পড়ে ছিল। জমি দেখে আরুণি বুঝল, এখানে শস্য ফলানোর জন্য কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। তার সঙ্গীরা হতাশ হয়ে পড়লেও, সে দমল না। প্রতিদিন জমি কুপিয়ে, আগাছা পরিষ্কার করে, দূরের নদী থেকে জল বয়ে নিয়ে এস জমিতে সেচন করে অনেক দিনের চেষ্টায় সে ফলনযোগ্য একটি কৃষিজমি তৈরী করতে সক্ষম হল।

এবার বীজ বোনার পালা। শুভদিন দেখে বর্ষার শুরুতে সবাই মিলে হৈ হৈ করে বীজ বোনাও হল। প্রতিদিন আরুণি যখন ক্ষেতে এসে পৌঁছায়, তার চোখে পরানো থাকে স্বপ্নের মায়াকাজল। এত পরিশ্রম করেছে সে! এবার শীতকালে সে গুরুকে একটি ফসলভরা ক্ষেত উপহার দিতে পারবে।

সেদিনও আরুণি এসেছিল ক্ষেত পরিদর্শনে। ক্ষেতটির উপর তার বড্ড মায়া। ধানের বীজ থেকে সদ্য অঙ্কুরিত চারা গাছগুলির সবুজ আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শুরু থেকে বৃষ্টি ভাল হওয়াতে জমিতে প্রয়োজনমত জল রয়েছে। তৃপ্ত মনে সে কিছু ফলমূল সংগ্রহ করে আশ্রমে ফিরে গেল। কিন্তু ভাগ্যদেবী অলক্ষ্যে বসে হাসছিলেন।

দুপুরের পর থেকেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছিল। গরুগুলি হাম্বারবে বুঝিয়ে দিচ্ছিল বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে বই কমবে না। আশঙ্কায় আরুণির ঘুম আসছিল না। অনেক রাত্রে রাত-পাহারার লোকেরা এসে খবর দিল, জলের তোড়ে ক্ষেতের একদিকের আলপথে ভাঙন ধরেছে, জল বেড়িয়ে যাচ্ছে। তড়াক্‌ করে লাফিয়ে উঠে সে বাইরে এল, তারপর সেই মানুষদের সঙ্গে দৌড় দিল ক্ষেতের দিকে।

উপমন্যু ও আরুণি

ক্ষেতের পাশে তখন অনেক লোকের ভীড়। প্রত্যেকেই নিজের ক্ষেতের নিরাপত্তার জন্য চেষ্টা করছে। আরুণি গিয়ে তার ক্ষেতের ভাঙা আলটা দেখল, তারপর পাগলের মত এপাশ-ওপাশ থেকে মাটি কেটে ভাঙা জায়গাটা জোড়া দিতে চেষ্টা করল। কিন্তু জলের স্রোতের কাছে মাটির বাঁধ কি থাকে? তার পরিশ্রম কোন কাজেই লাগল না। অন্যান্য ক্ষেতের লোকেরা কিছুক্ষণ এইরকম ব্যর্থ পরিশ্রম করার পর রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে গেল। কিন্তু আরুণি গেল না। কিছুতেই কিছু করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সে আলের উপর ভাঙা জায়গাটাতে কাত হয়ে শুয়ে পড়ল।

রাত শেষ হয়ে আসছে। সবাই বাড়ি ফিরে এল, কিন্তু আরুণির দেখা নেই। সে যখন বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল, তখন থেকেই গুরুমা জেগে বসে আছেন। শেষে আর না পেরে আচার্যকে গিয়ে বললেন আরুণির সন্ধান করতে। আচার্যও শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষেতের কাছে গিয়ে আরুণির নাম ধরে ডাকতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর দুর্বল গলায় উত্তর এল, " গুরুদেব, আমি এখানে।" বিস্মিত আচার্য বললেন, "তুমি ওখানে কি করছ? শীঘ্র উঠে এস।" কিন্তু এতক্ষণ জলে ভিজে তার আর নিজে থেকে ওঠার ক্ষমতা ছিল না। শিষ্যরা ধরাধরি করে আপাদমস্তক কাদামাখা আরুণিকে আশ্রমে নিয়ে এল। গুরুমা তার অবস্থা দেখে কাঁদতে লাগলেন; তারপর ভাল করে স্নান করিয়ে খাবার খাইয়ে গরম কাপড় ঢেকে শুইয়ে দিলেন।

দীর্ঘ ঘুমের পর আরুণি সুস্থ হয়ে উঠে আচার্যের কাছে সব খবর জানাল। সকলেই শুনে ধন্য ধন্য করতে লাগল। আচার্য বললেন, "অন্য শিষ্যরা যখন এই কাজে ইতস্ততঃ করছিল, তখন তুমি স্বেচ্ছায় এই ভার গ্রহণ করেছিলে। অমানুষিক পরিশ্রমে তুমি সেই নিষ্ফলা ক্ষেতকে ফলবান করেছো, আর আজ যা করেছ, তা তুলনাহীন। ক্ষেত থেকে উঠে এসেছিলে বলে আজ থেকে তুমি উদ্দালক নামে পরিচিত হবে। পরীক্ষায় তুমি সফল হয়েছ। এবার বহুপ্রার্থিত ব্রহ্মবিদ্যার অধিকারী হও। আমি তোমায় সর্বান্তঃকরণে আশীর্বাদ করি এবার জীবনেও সফল হও।" সমস্ত আশ্রমিকদের হর্ষধ্বনির মধ্যে আরুণি ঋষি আয়োদ্‌ধৌম্যের চরণে প্রণত হল।

উৎসঃ মহাভারত


ছবিঃ অনুভব সোম

শুক্তি দত্ত ভালবেসে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। রূপকথা, প্রাচীন সাহিত্য, দেশবিদেশের লোকসাহিত্য, গল্পকথা পড়তে ভালবাসেন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা বা শিশুদের সেই গল্প শোনাতেও ভালবাসেন। প্রধানতঃ শিশুমনস্তত্ত্ব ও তাদের শিক্ষাসংক্রান্ত কাজে দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন। সেটা শুধু পড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি শিশু সাহিত্য, লোকসাহিত্য প্রভৃতিকে তাদের মূল্যবোধ বিকাশে কাজে লাগাতে চান।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা