অঙ্কু ভীষণ চকোলেট খেতে ভালোবাসে। চকোলেট খেতে পেলে সে আর কিছু চায় না! কেউ ওকে চকোলেট খেতে উপহার দিলে আর রক্ষা নেই। সে সঙ্গে সঙ্গে কাঁউ কাঁউ কর সবটা খেয়ে ফেলবে! ওর মা ওকে যত বলেন, " অঙ্কু অত চকোলেট খেলে দাঁতে পোকা হবে, পেটে কৃমি হবে!" কিন্তু অঙ্কু কিছুই শোনে না!
ইদানীং ওর বাবলাকাকু বিদেশ থেকে বেড়াতে এসেছেন।
উনি সঙ্গে করে বিশাল এক ব্যাগ ভর্তি চকোলেট এনেছেন। সেটা মাকে দিয়ে বললেন, "বৌদি, তোমার সময় হলে এগুলোকে ছোট ছোট গোটা কুড়ি প্যাকেট করে দিও প্লিজ! এখানে যাদের সঙ্গে দেখা করতে যাবো তাদের জন্যে একটা কি দুটো করে প্যাকেট নিয়ে যাবো। মিতাদিদের বাড়িতে অবশ্য অনেকগুলো বাচ্চা। ওদের ওখানে হয়তো তিনটেও নিয়ে যেতে হতে পারে!"
মা তখন রান্নাবান্না আর অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাই পুরো ব্যাগটা ধরে ফ্রিজে রেখে দিলেন। দুদিন পরে মা কাজটা করতে গিয়ে ফ্রিজ খুঁজে দেখেন চকোলেট সব হাওয়া, শুধু প্যাকেটটা পড়ে রয়েছে! মার তো তাই দেখে মাথায় হাত! তবে বুঝতে বাকি রইল না যে কাজটা কে করছে!
অঙ্কু তখন স্কুলে তাই মা খুব লজ্জিত হয়ে কথাটা বাবলাকাকুকে বললেন।
শুনে কাকুর তো হাঁ, "সে কী! অতগুলো চকোলেট তিন দিনেই সাবাড় করে ফেলল! কী সাংঘাতিক!"
"হ্যাঁ, কী করব বলো, এমন দুষ্টু হয়েছে আজকাল যে বলার নয়!"
"তুমি চিন্তা কোরো না বৌদি। চকোলেট খেয়ে ফেলাতে আমার এমন কিছু ক্ষতি হবে না। আমি তো সবার জন্যেই অনেক জিনিসও এনেছি তাছাড়া বাচ্চাদের জন্যে পাড়ার দোকান থেকে মিষ্টি বা চকোলেট কিনে নিতে কোন অসুবিধা হবে না! তবে কাজটা তো অঙ্কু ভালো করেনি তাই ওকে একটু শিক্ষা দিতে চাই। তোমার আপত্তি নেই তো?"
"না, না, তুমি যা ইচ্ছে করতে পারো! আমরা তো ওর দুষ্টুমির ঠেলায় একেবারে নাজেহাল হয়ে গেছি! কোন কথা শোনে না আমাদের! ওই অত চকোলেট খেয়ে দাঁতের বারোটা বেজে যাচ্ছে কিন্তু ওকে আটকানো যাচ্ছে না! টাকা পেলেই চকোলেট কিনে খাবে! আমার ছোড়দা ওকে জামা কেনার জন্যে টাকা দিয়েছিল তাই দিয়েও চকোলেট কেনার পরিকল্পনা করছিল। শেষে আমি বুঝতে পেরে টাকাটা ওর কাছ থেকে নিয়ে নিই। শুধু তাই নয় আজকাল কাউকে কিছু না বলেও টাকা নিতে শিখেছে! কী করব আমি তো বুঝতে পারছি না। ভাত ডাল তরকারি না খেয়ে উনি শুধু চকোলেট খাবেন সারাদিন!"
"হুঁ! সত্যি তো মহা সমস্যা। দাঁড়াও, ভেবে দেখি কী করা যায়!"
একটু পরে বাবলাকাকু অঙ্কুর মাকে গিয়ে ধরলেন, "বৌদি মনে হচ্ছে একটা উপায় পেয়েছি! তুমি মোল্লা নাসিরুদ্দিন আর রাজার গল্পটা শুনেছো?"
"কোনটা?"
"আরে ওই যে রাজার বেগুন খাওয়ার গল্পটা! খিদের মুখে বেগুন খেয়ে একবার রাজা বলেছিলেন যে বেগুনের মতন খাবার হয় না। তাই রোজ তিনি বেগুন খাবেন। তারপর টানা সাতদিন সকাল বিকেল বেগুন খেয়েই তো রাজার কী দুর্দশা হয়েছিল মনে নেই? তখন বলেছিলেন, 'বেগুন অখাদ্য! দূর কর দাও এই বেগুনকে আমার চোখের সামনে থেকে! আমাদেরও সেই ব্যবস্থাই করতে হবে! আজ থেকে অঙ্কু খাবারে শুধুই চকোলেট পাবে! সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার সব খাবারেই ও চকোলেট পাবে, অন্য কিছু খেতে পারবে না। দেখা যাক কী হয় তারপর!"
স্কুল থেক ফিরে অঙ্কু দেখল বাবলাকাকু বসে বসে পোলাও আর চিকেন কারি খাচ্ছেন।
ভারি খুশি হয়ে অঙ্কু বলল, "মা, খেতে দাও। খুব খিদে পেয়েছে!"
বলেই সে চট করে টেবিলে বসে পড়োল। মা ওর খাবারের থালাটা নিয়ে এসে ওর সামনে রাখলেন। ওমা! থালায় মোটেই পোলাও আর চিকেন নেই! রয়েছে তিনখানা চকোলেট!
চকোলেট দেখে আনন্দ হল বটে অঙ্কুর কিন্তু সে পোলাও আর চিকেনও খেতে চায়! তাই সে বলল, "এতা কী মা? আমার জন্যে চিকেন কোথায়?"
মা বললেন, "সরি অঙ্কু! আজ থেকে তুমি সকাল বিকেল শুধুই চকোলেট পাবে, অন্য কিছু নয়। তুমি বাবালকাকুর সব চকোলেট খেয়ে নিয়েছো তাই কাকু বলেছেন এত যে চকোলেট খেতে ভালোবাসে তার সকাল বিকেল সব সময় শুধু চকোলেটই খাওয়া উচিত। সেটাই ওর শাস্তি!"
যাক সেটাই বা মন্দ কী? অঙ্কু তো ভেবেছিল ঐ সব চকোলেট খেয়ে ফেলার জন্যে ওর প্রচুর শাস্তি হবে। কিন্তু এটা তো বেশ মজার! এই রকম শাস্তি আর কজন পায়? বাবলাকাকুর জবাব নেই, ভেবে অঙ্কু তিনটে চকোলেট খেয়ে ফেলল।
বিকেলে বাবা অফিস থেকে ফেরার সময় আইসক্রিম নিয়ে ফিরলেন কিন্তু অঙ্কুর ভাগ্যে সেটাও জুটল না। ওকে আবার সেই চকোলেটই খেতে হল! রাতে চকোলেট দিয়ে ডিনার সেরে শুতে গেল সে কিন্তু মাঝরাতে খিদের চোটে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
ঘুম ভাঙ্গতে অঙ্কু ভাবল, "এই তো সু্যোগ! এখন সবাই ঘুমোচ্ছে, এইবেলা ফ্রিজ খুলে ভালো ভালো খাবারগুলো খাওয়া যাবে!"
পা টিপে টিপে খাবার ঘরে গেল অঙ্কু। ফ্রিজের দরজাটা যেই খুলছে কি তক্ষুনি কে পিছন থেকে ওর ঘাড়টা ধরে বলল, "কী হচ্ছে অঙ্কু! এমনটা তো কথা ছিল না!"
বাবলাকাকু! উনি কী ভাবে জানি ঠিক জেগে রয়েছেন অঙ্কুকে ধরবেন বলে! এ তো মহা ঝামেলা হল! যখন সব খাবার খেতে পেত তখন চকোলেট খাবার জন্যে মন আনচান করত আর এখন শুধুই চকোলেট খেয়ে খেয়ে আর ভালো লাগছে না! একই খাবার সকাল বিকেল সন্ধ্যে মানুষ খেতে পারে নাকি?
অঙ্কু ব্যাজার মুখ করে বলল, "খিদের চোটে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল যে!"
"ও খিদে পেয়েছে? তা বলবি তো! এই নে!" বলে বাবলাকাকু পকেট থেকে একটা চকোলেট বার করে দিলেন ওকে, "ওটা খেয়েও যদি খিদে পায় তাহলে আরও আছে!"
কাকুর হাত থেকে চকোলেটটা নিয়ে কোন রকমে খেল অঙ্কু। মিষ্টিতে গা গুলিয়ে আসছে, আর মোটেই ভালো লাগছে না!
পরদিন শনিবার অঙ্কুদের স্কুল ছুটি। বাবারও অফিস নেই। বাবলাকাকু এসেছেন বলে মা লুচি তরকারি করেছেন। লুচি অঙ্কুর খুব প্রিয় খাবার। একবার খেতে শুরু করলে সে অনেকগুলো খেয়ে ফেলতে পারে একসঙ্গে। কিন্তু হায়! ওর জন্যে তো লুচি নেই। ওর কপালে সেই কয়েকটা মরকুটে মার্কা চকোলেট! এদিকে বাবলাকাকু আর বাবা ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে গরম গরম ফুলকো লুচি খাচ্ছেন!
দুপুরবেলাও মাটন বিরিয়ানি আর আরও অনেক ভালো ভালো খাবার রান্না হল কাকুর কয়েকজন বন্ধু খেতে আসছেন বলে কিন্তু অঙ্কু কিছু পেল না, ওর পাতে কেবল চকোলেট!
"কিরে অঙ্কু? চকোলেট কেমন লাগছে?"
রাগে, দুঃখে অঙ্কু কাকুর বন্ধুদের সামনেই আধ খাওয়া চকোলেটটা কাকুর দিকে ছুঁড়ে মারল! মেরেই ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলে বলল, "নিজেরা সব ভালো ভালো খাবার খাচ্ছ আর আমাকে কাল থেকে শুধু চকোলেট খাইয়ে রেখেছো! আমার খিদে পায় না বুঝি!"
"বারে, এটা আবার কেমন কথা হল? আমি তো ভাবছিলাম চকোলেটই তোর প্রিয় খাবার! চকোলেট থাকলে তুই আর কিছু খেতে চাইবি না! তোকে তো তোর পছন্দের খাবারটাই দিতে চেয়েছিলাম আমরা! তাতে তোর এই দশা হবে তা কী করে বুঝব! যাক এবারে বুঝতে পারছিস তো যে কোন জিনিসই বেশি হয়ে যাওয়াটা মোটেই ভালো নয়? বল আর খাবি চকোলেট?"
অঙ্কু কাঁদতে কাঁদতে বলল, "সরি কাকু! আমি তোমার আনা চকোলেটগুলো সব খেয়ে ফেলেছি বলে অনেক সরি!"
অঙ্কু এখন চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে! চকোলেট দেখলেই ওর ওই শাস্তির কথাটা মনে পড়ে যায়। বাবার বন্ধু অরূপকাকু ওদের বাড়িতে এলে সব সময় ওর জন্যে চকোলেট নিয়ে আসেন। এবারও উনি যখন চকোলেট নিয়ে এলেন তখন ওনাকে প্রচন্ড অবাক করে দিয়ে অঙ্কু বলল, "আমি এখন চকোলেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি কাকু! ওটা বরং আপনি তুলিকে দিয়ে দেবেন!"
১৫০০ শতাব্দির অ্যাজটেক কাহিনি থেকে জানা গেছে যে সেই সময় ক্যাকাও ফলের বীজকে পয়সা হিসেবে ব্যবহার করা হত! ১০০টা বীজ দিলে একটা টার্কি পাখি কিনতে পাওয়া যেত! দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাজটেক এবং মায়া উপজাতিরা মনে করত ক্যাকাওয়ের বীজে জাদুর ক্ষমতা আছে।
প্রাচীন অ্যাজটেক মূর্তির হাতে ধরা ক্যাকাও বিন
চকোলেট যে ঠিক কবে প্রথম তৈরি হয়েছিল সেটা এখনও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না। যদিও কিছুদিন আগেই হন্ডুরাস থেকে পাওয়া খুব পুরনো ঘটি বাটির মধ্যে ক্যাকাও পাওয়া গেছে। পুরনো মানে খুবই পুরনো, যিশু খৃষ্টের জন্মের ১৪০০ বছর আগে! ইতিহাসবিদরা মনে করেন অনেক অনেক বছর আগে থেকেই চকোলেটের অস্তিত্ব রয়েছে পৃথিবীর কোনো না কোনো রকম ভাবে, অ্যাজটেক শব্দ 'জোকোটল' থেকেই নাকি চকোলেট কথাটার উৎপত্তি! জোকটল ছিল ক্যাকাও বীজ থেকে তৈরি এক ধরনের পানীয়র নাম, সেটা নাকি বেশ তেতো আর বিশ্রী খেতে!
ক্যাকাও গাছের কাঁচা-পাকা ফল
ক্যাকাও গাছের পেঁপের মতন দেখতে ফলটাকে দেখে কে বুঝবে যে সেটার ভিতর থেকে বীজ বার করে সেটার ভিতর যে নরম অংশ থাকে সেগুলোকে গুঁড়ো করে দুধ আর চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দারুণ খেতে লাগবে! তবে ক্যাকাও ফলের বীজের যে একটা মাহাত্ব আছে সেটা মানুষ অনেকদিন আগেই আবিষ্কার করে ফেলেছিল। সেই বীজের এককালে ভালোই দাম ছিল। ১৫০০ শতাব্দির অ্যাজটেক কাহিনি থেকে জানা গেছে যে সেই সময় ক্যাকাও ফলের বীজকে পয়সা হিসেবে ব্যবহার করা হত! ১০০টা বীজ দিলে একটা টার্কি পাখি কিনতে পাওয়া যেত! দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাজটেক এবং মায়া উপজাতিরা মনে করত ক্যাকাওয়ের বীজে জাদুর ক্ষমতা আছে। জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ের সব অনুষ্ঠানেই তারা এই বীজ ব্যাবহার করত।
ক্যাকাও এর বীজ, যা থেকে তৈরি হয় চকোলেট
ইউরোপিয়ানরা আমেরিকা জয়ের পর এই ক্যাকাও বীজের কথা জানতে পারে। যদিও প্রথমে সেটার থেকে তৈরি পানীয় তাদের মোটেই পছন্দ হয়নি কারণ তার স্বাদ ছিল তিতকুটে। পরে সেটাতে মধু বা চিনি মেশাতে যে স্বাদটা পাওয়া গেল তাতেই মজে গেল সারা ইউরোপ! কলম্বাস ক্যাকাও বীজের তৈরি পানীয়র স্বাদ পান ১৫০২ সালে, চতুর্থ সফরে। এর পর ১৭০০ শতাব্দিতে চকলেট অথবা কোকো হয়ে উঠল ইউরোপের সব চাইতে পছন্দের পানীয়! ১৮২৮শে হলান্ডের এক ডাচ কেমিস্ট, Coenraad Johannes van Houten নিজের ল্যাবে চকোলেটের গুঁড়ো তৈরি করে ফেলেন। এই গুঁড়ো চকোলেটকে তাই কিছুকাল ডাচ চকোলেট বলা হয়েছিল। সেটা থেকেই সলিড চকোলেট তৈরি হয়।
জোসেফ ফ্রাই
চকোলেটের বার, মানে যে রকম চকোলেট আমরা খেতে অভ্যস্ত সেটা তৈরি করেন জোসেফ ফ্রাই, ১৮৪৭ সালে। ছাঁচে ফেলে চকোলেটকে নানা আকার দেওয়া যায় সেটা তিনিই দেখিয়েছিলেন।
জোসেফ ফ্রাই এর ছাঁচে ফেলা চকোলেটের বিজ্ঞাপন
সুইজারল্যান্ডের লিন্ডট কোম্পানি তাদের তৈরি চকোলেট বাজারে ছাড়ে ১৮৪৫ সালে আর ১৮৬১ সালে ক্যাডবেরি চকোলেটের বাক্স বিক্রি করতে শুরু করে ইংল্যান্ডে। ১৮৭৫ সালে সুইস চকোলেট ব্যবসায়ী ড্যানিয়েল পিটার প্রথম মিল্ক চকোলেট তৈরি করেন। এর কিছুদিন পর বাজারে আসে নেসলে এবং তারও পরে হার্শি। এখন সারা বিশ্ব জুড়ে চকোলেট তৈরির অনেক কারখানা, সম্পূর্ণভাবে মেশিনের সাহায্যে নানা রকমের চকোলেট তৈরি হয় সেখানে। প্রথম দিকে আমেরিকাতে চকোলেট এতটাই প্রিয় ছিল যে সৈনিকরা তাঁদের বেতনের একটা অংশের বদলে চকোলেট নেওয়া পছন্দ করতেন! এখন অবশ্য সেই রকমটা কেউ করে না!
হোয়াইট, ডার্ক এবং মিল্ক চকোলেট
আগেকার দিনের চকোলেট ছিল মিল্ক চকোলেট, অর্থাৎ শুধু কোকো, দুধ আর চিনি থাকত তাতে। ক্রমে চকোলেটে হরেক করম কিছু মেশানোর প্রচলন শুরু হয়। শুকনো ফল, হরেক রকমের বাদাম – কী নেই!
চকোলেটের প্রতি আমাদের ভালোবাসার কোন শেষ নেই। জেন সিব্রুক বলেছিলেন, "স্বর্গে যদি চকোলেট না থাকে তাহলে আমি সেখানে যেতে চাই না!" লিন্ডা গ্রেসন বলেছেন, "বন্ধুর চেয়ে ভালো কিছু হয় না, তবে বন্ধুর কাছে যদি চকোলেট থাকে তাহলে তো কথাই নেই!" আর মাইকেল লেভিনের মতে, "রসায়নের দিক থেকে দেখতে হলে চকোলেট হচ্ছে পৃথিবীর সব চেয়ে শ্রেষ্ট খাদ্য!" আমার তো চকোলেট খেতে খুব ভালো লাগে, তোমার কেমন লাগে?
ছবিঃ উইকিপিডিয়া ও পিক্সাবে