সারাদিন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে যখন তুমি বিরক্ত হয়ে যাবে, আর ইচ্ছে করবে না টিভিতে কার্টুন শো দেখতে, মোবাইলে গেইম খেলতে, একই খেলনা গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে, ঠিক তখনই চাঁদের বুড়ি বলছে তুমি ছবি আঁকো। বেশ ভালো কথা। সেই নীল রঙের চিঠির কথা আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। উত্তরপাড়ার ছাদ থেকে পাশের ছাদের বল্টুকে বলেছি। ওপাশের তিন্নিকে বলেছি। সামনের ছাদের অর্ককে বলেছি। দুটো বিচ্ছু কাক বাসা করার জন্য নীল রঙের চিঠিটা হাত থেকে নেবার ফন্দি করছিল সেটাকে ভন্ডুল করেছি। ছাদে পায়রাদের খাবার জল রেখেছি। গাছেদের ভালো করে চান করিয়েছি। কত কত কাজ করেও আমি এখন কী করবো তাই ভাবছি। আর ঠিক তখনই আমার মাথার ওপর দিয়ে কতদিন পর উড়ে গেল একঝাঁক টিয়া। এদের কখনও আমি আমার উত্তরপাড়ায় ছাদের ওপরে দেখিনি। আমার একটা গ্রামের কথা মনে পড়লো। আমার একটা জঙ্গলের কথা মনে পড়লো। অনেক পুরোনো একটা ইঁদারার কথা মনে পড়লো। আমি তো ছবি আঁকতে পারি না। ছবি তুলি। সেগুলোই পাঠালাম চাঁদের বুড়িকে।
মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া স্টেশনে নামলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। এতো সুন্দর করে সাজানো। দেওয়ালে আঁকা ছবি। চারিদিকে গাছ। মহুয়া ফুলের গন্ধ। আর বেড়াতে যাবার মন কেমন করা ভালোবাসা। বন্ধ ঘরে বসে এখন সেই নির্জন পথ দিয়ে হাঁটতে নিশ্চই ভালো লাগবে। এর চেয়ে বেশি কিছু লিখবো না। কল্পনাই হোক আমাদের সাথী।