একদিন একটা লোক, রাত্তির বেলা বাড়িতে বসে ভাবছিল, যে সে কী খাবে।
তখন শুনলো দরজায় কে এসে টক টক আওয়াজ করছে।
সে তখন দরজা খুলে দেখলো, সেখানে একটা জিন এসেছে।
সে তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো, "তুমি কথা থেকে এসেছো?"
জিন বললো, "ওই দিকে একটা ম্যাজিক ঝর্না আছে। তার ভেতর থেকে একটা প্রদীপ বেরিয়ে ছিল। সেটা পাথরে ঘষা লেগেছিল। তখন তার থেকে আমি বেরিয়েছি।"
"আমার তো থাকার বাড়ি নেই, তাই তোমার কাছে এসেছি। বলো, তুমি কি চিন্তা করছো?"
তখন লোকটা বললো, " আমি ভাবছি, রাত্তিরে কী খাবো? যা ভাবছি সেটাই দেখছি বাড়ি তে নেই।"
জিন বললো, "বলো, কী খেতে ইচ্ছে করছে?"
লোকটা বললো, "আমি গরম স্যুপ খাবো।"
জিন বললো,"আচ্ছা, আমি এক্ষুনি দিচ্ছি।"
বলে সে একদম গরম গরম স্যুপ রান্না করলো। সেটা এত গরম, যে একটু অপেক্ষা করতে হলো, খাওয়ার আগে।
তারপর স্যুপ খেয়ে ওরা ঘুমিয়ে পড়লো।
রাতে হঠাৎ শোনে, বাইরে কিসের আওয়াজ। লোকটা তো ভাবলো, নিশ্চই পেঁচা ডাকছে।
কিন্তু সকালে উঠে দেখলো, সেটা আসলে একটা টিয়া পাখি।
লোকটা টিয়া কে জিজ্ঞেস করলো, "কী হয়েছে? তুমি ডাকছো কেনো?"
টিয়া বললো, "স্যুপ এর গন্ধ পেয়েছি। আমিও স্যুপ খাব।"
জিন তখন আবার সবাইকার জন্য স্যুপ রান্না করলো। আর সবাইকে বাটি- চামচ করে খেতে দিল।
কিন্তু টিয়া পাখি কি আর চামচ দিয়ে খেতে পারে? তাই সে চামচ দেখেই কাঁদতে লাগলো।
তখন লোকটা বললো, "তুমি কেঁদোনা।" বলে, সে টিয়া পাখিকে স্যুপ টা আস্তে আস্তে খাইয়ে দিল।
টিয়া পাখি তো খুব খুশি। সেদিন থেকে লোকটা, জিনটা আর টিয়া পাখিটা খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলো।
গল্প লিখেছে আর ছবি এঁকেছেঃ
শুভ্রজা চ্যাটার্জী
প্রথম শ্রেণি, সেন্ট জেনেভিভ স্কুল, ব্রাসেল্স, বেলজিয়াম।