সেদিন ছিল রাখি, স্কুল ছুটি। দুপুরে মাংস-ভাত খেয়ে দাদুর বড় আরাম চেয়ারে বসে কার্টুন দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আর স্বপ্নে পৌঁছে গেলাম এক অদ্ভুত জায়গায়। দেখলাম একটা শুঁয়োপোকা তার খেলনা রকেট নিয়ে বসে বসে খেলছে একটা বাগানে। শুঁয়োপোকাটা সবুজ রঙের। আর পাশেই একটা স্ট্যান্ড ফ্যান চলছে ও দড়িতে কে একটা তোয়ালে শুকোতে দিয়েছে। তো হঠাৎ শুঁয়োপোকাটার খুব খিদে পেলো, ও তার ইচ্ছে হলো একটা টমেটো খায়। ঘরে টমেটো নেই, তাই সে চললো বাজারে। বাজারে তার এক আর্মাডিলোর সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। টমেটো কিনে দুজনে মিলে বাড়ি ফিরে আসলো। দুজনে বাগানে বসে টমেটো খেতে খেতে হঠাৎ ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো। দৌড়ে দুজনে একটা কাঠের গুঁড়িতে আশ্রয় নিল। সারারাত খুব বৃষ্টি হল। পরের দিন ভোর বেলায় বৃষ্টি কমল ও এক সুন্দর বড় রামধনু দেখলো দুজনে আকাশে। আর বাগানে তাকিয়ে দেখলো যেখানে দুজনে টমেটো খাচ্ছিল, তার কিছু বীজ ফেলেছিল সেইখানে। দুজনে অবাক হয়ে দেখলো টমেটো বীজ থেকে লাল লাল জবা ফুল বেরিয়েছে। দুজনে একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে মাথা চুলকোতে থাকলো।
তখনই গেল আমার ঘুম ভেঙে। আমি ঘুম চোখে বসেই মুচকি মুচকি হাসতে থাকলাম, আমার দেখা আজগুবি স্বপ্নের কথা ভেবে।
গল্প লিখেছেঃ
অনভ্রা এম দাশ
দ্বিতীয় শ্রেণি, দিল্লি পাবলিক স্কুল ( নর্থ) , কলকাতা
গ্রাফিকঃ মিতিল