এক
দুঃখটা কিছুতেই ভুলতে পারছে না স্বর্ণাভ। স্কুলের আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয় হয়ে গেল! মনের মধ্যে নীরব সংলাপ চলছে অবিরত। এটা কী করে এটা সম্ভব? সেই তো সবচেয়ে ভালো বলেছিল। এতবড় একটা চমক ছিল তার আবৃত্তিতে। স্কুলে আর কখনও কেউ করেছে এই আবৃত্তি? সেই সব সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে ফার্স্ট করা হল কিনা শিঞ্জিনীকে। যদি ধরেও নেওয়া যায়, শিঞ্জিনী খুব ভাল বলেছে, খুব আবেগ দিয়ে, স্বরের ওঠাপড়ায় কবিতার ভাবটিকে প্রকাশ করেছে নিখুঁতভাবে, তবুও বড়সড় একটা খুঁত তো থেকেই যায়। বলতে গিয়ে প্রথমেই হোঁচট খেয়েছে – 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ'কে বলে কিনা 'রবিগুরু কবীন্দ্রনাথ'!
সেদিন ফিফথ্ পিরিয়ডে নোটিস এল তাদের ক্লাসে – 'এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাইতেছে যে প্রতি বৎসরের ন্যায় এই বৎসরেও, আগামী পঁচিশে বৈশাখ সকাল সাত ঘটিকায় আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাড়ম্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপিত হইবে। সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা কাম্য।'
তারপর শুরু হয়ে গেল রবীন্দ্রজয়ন্তীর প্রস্তুতিপর্ব। প্রত্যেক ক্লাসে, যারা অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তাদের নাম নেওয়া হতে লাগল। প্রধানত কবিতা আবৃত্তি এবং মাঝে মাঝে গান। পুরো তালিকা তৈরি হবার পরে সবার নামের পাশে কবিতার নাম অথবা গানের নাম লেখা হল। শিক্ষক, শিক্ষিকারাই ঠিক করে দিলেন কে কী কবিতা বলবে অথবা গান গাইবে। একই কবিতা যাতে অনেকে না বলে, সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হল। প্রশ্ন, বীরপুরুষ, লুকোচুরি, দেবতার গ্রাস, নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ, দুঃসময়, সোনার তরী, পুরাতন ভৃত্য, দুই বিঘা জমি, ১৪০০ সাল, পূজারিণী, এক গাঁয়ে, ভারততীর্থ, কৃপণ – এইসব কবিতা ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট হল। তার মধ্যে 'প্রশ্ন' এবং 'লুকোচুরি'র আবদার খুব বেশি ছিল ক্লাস ফাইভ-সিক্সের ছেলে মেয়েদের মধ্যে। তবে সবাইকে 'প্রশ্ন' করতে এবং 'লুকোচুরি' খেলতে দেওয়া গেল না। ব্যাপারটা একঘেয়ে লাগবে। তদের জন্য অন্য কবিতা নির্বাচন করে দেওয়া হল। বড়দের জন্য বড় কবিতা যেমন দেবতার গ্রাস, পুরাতন ভৃত্য, দুই বিঘা জমি এইসব। শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য পৃথিবী, আফ্রিকা, রূপনারায়ণের কূলে, তোমার সৃষ্টির পথ, শাহজাহান, মুক্তি, ফাঁকি ইত্যাদি।
গানের তালিকাও তৈরি হল। সেই সময়ে মূলত ছাত্রী এবং শিক্ষিকারাই রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। 'আগুনের পরশমণি' , 'আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান', 'এই কথাটি মনে রেখো', 'চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে', 'আমি চিনি গো চিনি তোমারে', 'যে রাতে মোর দুয়ারগুলি' এইসব গান নির্বাচিত হল।
প্রস্তুতির প্রথম পর্যায় ছিল কবিতা সংগ্রহ। সেটি একটু দুরূহ ব্যাপার। না, কবিতাগুলি দুষ্প্রাপ্য কিছু নয়, সহজেই পাওয়া যায় একটিমাত্র বইতেই। কিন্তু সেই একটি বই অর্থাৎ সঞ্চয়িতাই কিঞ্চিৎ দুর্লভ ছিল স্বর্ণাভদের মফস্বলি স্কুলে। লাইব্রেরিতে ছিল একটিই। সেইটি নিয়েই কাড়াকাড়ি। স্কুল ছুটির পর, পালা করে যার যা কবিতা, সেটি খাতায় টুকে নিতে হচ্ছে। একজন লিখলে দশজন পাশ থেকে উঁকি মারছে। মন্তব্যও আসছে কিছু। কোথায় শব্দ হারিয়ে গেল, যতিচিহ্ন পড়ল ইতস্তত, বেঁকে যাচ্ছে লাইন – সবই জানাতে হচ্ছে বন্ধুদের। মাঝে মাঝে নির্দেশ আসছে, 'যে যার জায়গায় গিয়ে চুপ করে বস, এত চেঁচামেচি কিসের? সবাইকে এক এক করে বই দেওয়া হবে......'
এই বছরে আরও চমক আছে। তাদের গ্রামের একটি ক্লাব এবারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে রবীন্দ্র জয়ন্তীর সন্ধ্যায়। সেখানে দুটি নাটক অনুষ্ঠিত হবে। রবীন্দ্রনাথের কবিতাকে নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে। 'মাধো' নাটকে সে মাধোর বন্ধু এবং 'জুতা আবিষ্কার' নাটকে হবুচন্দ্র রাজা। দুই নাটকের রিহার্সালও শুরু হয়েছে। আগে সে কখনও নাটকে অভিনয় করে নি। একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। পার্ট মুখস্থ করতে হচ্ছে। শুধু সংলাপ মনে রাখলেই হবে না, কার পরে কী বলতে হবে, কখন থামতে হবে, কখন পায়চারি, হাত কোথায় থাকবে, মুখ কোথায় – সব মনে রাখা দরকার।
কবিতা এবং দুই নাটকের সংলাপ, এবারে অনেক কিছু মনে রাখতে হচ্ছে স্বর্ণাভকে। কবিতার জন্য যথারীতি পুরস্কার আছে। মাঝপথে ভুলে গেলে চলবে না। খাতা দেখে বলার নিয়ম নেই এখানে।
দুই
পঁচিশে বৈশাখের সকাল। সায়েন্স ল্যাবরেটরি বিল্ডিং এর উঁচু বারান্দায় মঞ্চ তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র এই বিল্ডিংটিকেই পুরোপুরি পাকা বাড়ি বলা যায়। ইঁটের দেওয়াল, কংক্রিটের ছাদ। অন্যান্য বিল্ডিংগুলির টিনের অথবা অ্যাসবেসটসের চাল। বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা ভাবে মাঝখানের আয়তাকার জায়গাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। মাইকের চোঙা লাগানো হয়েছে কয়েক জায়গায়। স্কুল প্রাঙ্গণের প্রবেশপথের ধারের প্রাচীন বটগাছের নিচে সিমেন্টের বাঁধানো চাতাল। সেই বটগাছের উঁচু ডালে মাইকের চোঙা। তাছাড়া স্কুলের পিছনের দিকে, স্কুল এবং হোস্টেলের মাঝে যে প্রশস্ত পথ, যার দুধারে দেবদারু গাছের সারি – সেই দেবদারু গাছেও লেগেছে চোঙা।
স্বর্ণাভর উৎসাহ এবং উত্তেজনা এবারে অনেক বেশি। এবারে সে নিজে অংশগ্রহণ করছে। গতবছর সে কবিতা আবৃত্তিতে নাম দেয় নি। অনেক লোকের সামনে তাকে বলতে হবে ভাবলেই, তার মধ্যে কেমন এক আড়ষ্টভাব এসে যায় অজান্তেই। এই বছর আর এড়িয়ে থাকা গেল না। তার মা তাকে বুঝিয়েছে, 'একবার সাহস করে বলেই দেখ না। ক্লাসেও তো সবার সামনে গড়গড় করে পড়া মুখস্থ বলিস, তখন তো আটকায় না। যদি ভুলেও যাস, স্যারেরা ঠিক মনে করিয়ে দেবেন। একবার বলে ফেলতে পারলে দেখবি, কী রকম এক আনন্দ হয়! কত লোক তোর কবিতা শুনবে, হাততালি দেবে, তোর নাম জানবে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের বিশ্বকবি। তাঁর জন্মদিনে কিছু বলা মানে কবিকেই শ্রদ্ধা জানানো। তাঁর গল্প, কবিতা, গান তোর ভাল লাগে না?'
স্বর্ণাভকে স্বীকার করতেই হয় যথেষ্ট ভাল লাগে। সুতরাং কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য তাকে স্কুলের কবিতা প্রতিযোগিতা এবং ক্লাবের নাটকের দলে নাম লেখাতে হয়।
টেবিলের উপরে কবিগুরুর ফোটো। ফুল, মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ধূপ জ্বলছে। হ্যালো, মাইক্রোফোন টেস্টিং, ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, ঙ ঙ ঙ ঙ করে গোঙানির আওয়াজ হল কিছুক্ষণ। মাইকের ভল্যুম ঠিক করা হল। হেডস্যার সংক্ষিপ্ত প্রারম্ভিক ভাষণ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন। প্রথমেই গান গাইল ক্লাস ফাইভের টিয়া মণ্ডল। উদ্বোধনী সংগীত – 'সবারে করি আহ্বান......'
এক এক করে মাইকে নাম ঘোষণা হতে লাগল। ছাত্র-ছাত্রীরা মঞ্চে এসে কবিতা অথবা গান পরিবেশন করতে লাগল। স্বর্ণাভ মঞ্চের নিচে শতরঞ্জিতে বসে খুব মনোযোগী হয়ে সব শুনছে। মনোযোগী এবং উৎকর্ণ। কারণ কখন তার নাম ঘোষণা হয়ে যাবে ঠিক নেই। প্রস্তুত থাকতে হবে।
কত কবিতা বলা হল। ক্লাস এইটের প্রদীপদা বলল 'বীরপুরুষ'। তাকে সত্যিই বীরপুরুষ মনে হচ্ছিল স্বর্ণাভর – যখন চিৎকার করে বলল –'এমন সময় 'হা রে রে রে রে রে/ ঐ যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে...' যেন কবিতার মধ্যে গল্প। কিছু বাক্য, কিছু সুর যেন মাথার ভেতরে গেঁথে যেতে লাগল। যেমন 'দুই বিঘা জমি'তে গরীব মানুষের জমি নিয়ে নিল জমিদার। 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতায় পুরনো চাকর কত ভালবাসে তার মনিবকে। তারপর 'দেবতার গ্রাস' কবিতায় বিকাশদার গলায় যখন রাখালের আর্তস্বর 'মাসি! মাসি! মাসি!...' বলে স্কুল প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে গেল পঁচিশে বৈশাখের সকালে, গায়ে কাঁটা দিল তার।
তিন
তাদের ক্লাসের প্রতিমা গাইছিল – 'তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা/ ওই-যে সুদূর নীহারিকা......' তার রেশ কাটতে না কাটতেই হঠাৎ মাইকে নাম ঘোষণা হল – এবারে কবিতা আবৃত্তি করে শোনাবে ক্লাস সিক্সের স্বর্ণাভ রায়চৌধুরী। তাকে মঞ্চে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
নিজের নাম শোনামাত্র স্বর্ণাভর বুকটা ধড়াস করে উঠল। বুকের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয়ে এল। হাতে পায়ে যেন জোর নেই কোন। কোনদিকে না তাকিয়ে, মঞ্চের নিচের আসন ছেড়ে এগিয়ে এসে, তিনধাপ সিঁড়ি বেয়ে সে মঞ্চের উপরে উঠে এল। মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, 'নমস্কার, আমার নাম স্বর্ণাভ রায়চৌধুরী। আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ থেকে একটি কবিতা শোনাচ্ছি।'
পেছন থেকে একজন স্যার বললেন, 'স্বর্ণাভ, আরও জোরে বলতে হবে।' সে বলতে শুরু করল –
"Where the mind is without fear and the head is held high;
Where knowledge is free;
Where the world has not been broken up into fragments by narrow domestic walls…….."
এই তৃতীয় লাইনটি বলতে পারার পরে তার মনে জোর এসে গেল। গড়গড় করে বলে চলল, "......into that heaven of freedom, my Father, let my country awake." এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল স্বর্ণাভ। যাক কোন গোলযোগ হয় নি। ভালই বলেছে মনে হল তার। ওই তো সবাই হাততালি দিচ্ছে। স্যারেরাও বললেন খুব ভাল হয়েছে। ইংরেজি কবিতা আগে কেউ বলে নি এখানে। এটাই ছিল স্বর্ণাভর চমক।
তাদের ক্লাসের এ সেকশনের শিঞ্জিনী বলল, 'রবিগুরু কবীন্দ্রনাথের' ভারততীর্থ কবিতাটি। বলেছিল খুবই আবেগ দিয়ে। শুধু এই প্রাথমিক বর্ণ বিপর্যয় বাদ দিলে বেশ ভালই বলেছিল। সে কি পুরষ্কার পাবে? অনুষ্ঠান শেষ হল। পুরষ্কার ঘোষণা হবে কয়েকদিন পরে। স্বর্ণাভ বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া করে সন্ধ্যের নাটকের পার্টগুলো একটু ঝালিয়ে নিল। বিকেল বিকেল বেরোতে হবে। মেক আপ করতে হবে। অনেক কাজ আছে।
হবুরাজার ভূমিকায় দাপিয়ে অভিনয় করল স্বর্ণাভ। গায়ে জমকালো জরি দেওয়া রাজপোশাক, পায়ে শুঁড়ওয়ালা জুতো, মাথায় মুকুট। এখন আর কোন ভয়ডর নেই। সে রাজা, সে অধীশ্বর। গবুমন্ত্রী রূপী জন্মেজয়কে ধমক দিয়ে বলল, '.........শীঘ্র এর করিবে প্রতিকার/ নহিলে কারও রক্ষা নাহি আর।' তারপর সারা নাটকে নানা চরিত্রের আনাগোনা। বেচারা জন্মেঞ্জয়কে ভারি চিন্তান্বিত থাকতে হয় পুরো নাটক জুড়ে। একেবারে শেষে এসে যখন চামার কূলপতি বলে, নিজের দুটি পা ঢাকলেই ধুলোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, পুরো পৃথিবী চামড়া দিয়ে মুড়ে দেওয়ার দরকার নেই – তখনই কেবল গোবুরায়ের প্রতাপ দেখা যায় – 'এ বুদ্ধিটা আমারও ছিল মনে – কেমনে ব্যাটা পেরেছে সেটা জানতে।' নাটক শেষ হলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া যা পাওয়া গেল, তা অভূতপূর্ব! তাদের প্রাণখোলা হাসি আর মুহুর্মুহু হাততালি থেকে আগেই বোঝা যাচ্ছিল, নাটকটি তারা সত্যিই খুব উপভোগ করেছে।
তবে স্বর্ণাভর এই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। দু'দিন পরে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ফলাফল বের হতে জানা গেল, সে দ্বিতীয় হয়েছে, শিঞ্জিনী প্রথম। নিজের মনে তার অবিরাম চিন্তা চলতে লাগল, সে কেন প্রথম হতে পারল না, সে ইংরেজি কবিতা বলেছে। শিঞ্জিনী 'রবিগুরু কবীন্দ্রনাথ' বলে কী করে প্রথম হয়? বেশ কিছুদিন চুপচাপ গুমরে মরল সে। কাউকে কিছু বলল না। তারপর কালের নিয়মে একদিন ভুলে গেল সব। ভুলে গেল মানে দুঃখটা ভুলে গেল, কিন্তু ঘটনাটা ভুলল না।
আজ পঁয়ত্রিশ বছর পরে, মাঝবয়সে এসে অন্য এক অনুভব হয় তার। সেদিন যা বলেছিল, তা ছিল শুধুই চমক। মুখে বলছে, 'Where the mind is without fear…' কিন্তু এদিকে ভয়ে পা কাঁপছে। সেই দৃপ্তভাব নিশ্চয়ই ফুটে ওঠে নি, তার সেদিনের ভীরু উচ্চারণে। 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির...' এই ভাবনা তো শুধু চমক দিয়ে, আবৃত্তি করে, পুরষ্কার পাওয়ার জন্য নয় – এ হল মানুষের চিরজীবনের সাধনা! আজও কি সে পেরেছে তা অর্জন করতে? তাছাড়া ভেবে দেখলে, 'রবিগুরু কবীন্দ্রনাথ' কথাটাও ভুল কিছু নয়। তিনি রবি, তিনি গুরু। আর কবি (রাজ) যখন, কবি (ইন্দ্র) হতেই বা আপত্তি কিসের?
ছবিঃ আবির