বৃষ্টি ভারী দুষ্টু মেয়ে----
একটুও নয় ভালো,
খেলতে গেলেই গোমড়া মুখে
আকাশ করে কালো।
আমরা সবাই খেলতে গেলেই
তারও খেলা চাই,
বোঝে না সে তাকে নিয়ে
খেলার উপায় নাই।
হুড়মুড়িয়ে দৌড়ে আসে
ভিজিয়ে দিয়ে সব,
ওমনি মোদের পণ্ড খেলা,
সাঙ্গ কলরব।
মাঠে মাঠে ছুটে ছুটে
শ্রান্ত হলে পরে,
ঠোঁট ফুলিয়ে ফেরে আপন
আকাশ দেশের ঘরে।
কিন্তু তখন বিকেল শেষে
সাঁঝেরবেলা নামে,
খেলার মজা শেষ কালেতে
পড়ায় গিয়ে থামে।
দুষ্টু মেয়ের চোখ এড়িয়ে
খেলতে গেলে খেলা,
সেইদিন খুব আনন্দেতে
কাটে সারা বেলা।
ভরসা এটাই,সারা বছর
পায়না তো সে ছাড়,
গ্রীষ্ম এবং বর্ষা কালেই
যত্তো অত্যাচার!
বাকি সময় মা রেখে দেয়
ঘরের কোণে বেঁধে,
দুষ্টুমি আর অবাধ্যতার
বিষম অপরাধে।
তোর জন্য বৃষ্টি জানিস
কষ্টও হয় ভারী!
তোর সঙ্গে ভালই হতো
খেললে লুকোচুরি।
কিন্তু কি করি বলতো???
মা যে আছে ঘরে,
ছাড়বে নাতো খেলতে আমায়
একদিনেরও তরে।
যখন আমি বড় হবো----
বকবে না কেউ আর,
খেলতে যাবো তোকে নিয়ে
সাত সাগরের পার।
ছবিঃ চান্দ্রেয়ী সেন