হঠাৎ সেদিন মেঝের প’রে
উপুড় ঝুড়ি আপনি ঘোরে।
ঘুরছে ঝুড়ি এঘর-ওঘর
বলছে সবাই, "জাপটিয়ে ধর।"
হুকুমটা কে দিচ্ছে, কাকে?
পালাতে চায় সবাই আগে।
ঘটছে একি দুপুরবেলা-
ঘরের মাঝে ভূতের খেলা!
হুড়মুড়িয়ে বাইরে এসে
দরজা দিলাম জোরসে ঠেসে।
ঘরের ভিতর ছিল ভোলা
ঘুমালে পরে যায় না তোলা।
জানলা দিয়ে বলছি সবাই -
"ওরে ভোলা, পালিয়ে আয়।"
সবাই মিলে ডাকার চোটে
হঠাৎ যে তার ঘুমটা ছোটে।
ঘুমের ঘোরে উঠল বসে
তড়াক্ করে এক নিমেষে,
রগড়ে নিয়ে চোখ দু’খানা
দেখছে ভোলা ব্যাপারখানা।
ডাইনে-বাঁয়ে আগে-পিছে
চলছে ঝুড়ি নিজে নিজে!
ঘুরছে ঝুড়ি আপন মনে
থমকাল ঠিক ঘরের কোণে।
বলছে সবাই সাহস দিয়ে -
"ধর দেখি তুই, দৌড়ে গিয়ে।"
চলল ভোলা গুটি-গুটি
আমরা ভয়ে গুটি-সুটি।
কেউ বলছে,"করবে মাটি -
লাগবে ভোলার দাঁত-কপাটি।"
খপ্ করে সে ধরল চেপে -
উঠল ঝুড়ি একটু কেঁপে।
ঝুড়ির নিচে হাঁচড়-পাঁচড়
কী জানে কে কাটছে আঁচড়!
বাধিয়ে নিয়ে এক আঙুলে
ধরল ঝুড়ি একটু তুলে।
নিচ্ছে ভোলা বেজায় ঝুঁকি,
ঝুড়ির নিচে কী দিচ্ছে উঁকি?
সুড়ুৎ করে পাশ-কাটিয়ে
পালায় পুষি লেজ গুটিয়ে।
ছবিঃ শিল্পী ঘোষ