ছোট্ট- মেজ-বড় যত খোকা খুকুর দল,
আমরা যাব ঠাকুর দেখতে, যাবি সাথে চল-
সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা-রাতে-বা হোক ভরদুপুর-
ইচ্ছামতী-চাঁদের বুড়ি দেখবে দুগ্গা ঠাকুর।
দেখ না কেমন আকাশখানা মনমাতানো নীল,
সাদা মেঘের গায়ে কেমন রোদ্দুর ঝিলমিল,
শিউলিফুলের গন্ধে কেমন মন করে আনচান,
রেডিওতে শোনায় কেমন আগমনী গান;
হঠাৎ বৃষ্টি ফিরিয়ে আনছে বাদল দিনের রেশ?
মন্ডপেতে সাজসজ্জার কাজ হয়েছে শেষ?
আর যে বেশি নেইরে সময় ব্যস্ত কুমোরটুলি
শেষ মূহুর্তে মা'কে সাজায় দক্ষ হাতের তুলি;
পুজোর দিনে নতুন সাজে সাজছে যখন সবাই,
ছোট্ট সোনা ইচ্ছামতী কেনই বা বাদ যায়?
ইচ্ছামতী পরবে কিনা জরি পাড়ের শাড়ি?
রোসো বাপু,জানতে পারবে আর ক'টা দিন পর-ই!
এদিকে তো ইচ্ছামতী করেছিল আবদার
পুজোর সময় বন্ধুকে তার দেওয়া চাই উপহার !
উপহার খুঁজতে বুড়ি গেল বহুদূর-
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সাত সমুদ্দুর!
সমুদ্দুরের তলে কিংবা তেপান্তরের মাঠে,
নীল আকাশের কোণ থেকে বা একলা গাঁয়ের বাটে,
খুঁজে খুঁজে আনল বাছাই মণিমুক্তো কত,
হারানো ফুল, লুকানো বীজ, পালক-নোলক যত;
সেসব দিয়েই তার উপহার ইচ্ছামতী সাজায়,
চরকা কেটে চাঁদের বুড়ি রঙিন সুতো জোগায়,
সেই সুতোতেই উপহারের হচ্ছে গাঁথা মালা,
আর ক'টা দিন, তারপরেতেই, হাতে পাওয়ার পালা !
ছবিঃত্রিপর্ণা মাইতি