সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

ছোট্ট- মেজ-বড় যত খোকা খুকুর দল,
আমরা যাব ঠাকুর দেখতে, যাবি সাথে চল-
সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা-রাতে-বা হোক ভরদুপুর-
ইচ্ছামতী-চাঁদের বুড়ি দেখবে দুগ্‌গা ঠাকুর।

দেখ না কেমন আকাশখানা মনমাতানো নীল,
সাদা মেঘের গায়ে কেমন রোদ্দুর ঝিলমিল,
শিউলিফুলের গন্ধে কেমন মন করে আনচান,
রেডিওতে শোনায় কেমন আগমনী গান;

হঠাৎ বৃষ্টি ফিরিয়ে আনছে বাদল দিনের রেশ?
মন্ডপেতে সাজসজ্জার কাজ হয়েছে শেষ?
আর যে বেশি নেইরে সময় ব্যস্ত কুমোরটুলি
শেষ মূহুর্তে মা'কে সাজায় দক্ষ হাতের তুলি;

পুজোর দিনে নতুন সাজে সাজছে যখন সবাই,
ছোট্ট সোনা ইচ্ছামতী কেনই বা বাদ যায়?
ইচ্ছামতী পরবে কিনা জরি পাড়ের শাড়ি?
রোসো বাপু,জানতে পারবে আর ক'টা দিন পর-ই!

এদিকে তো ইচ্ছামতী করেছিল আবদার
পুজোর সময় বন্ধুকে তার দেওয়া চাই উপহার !
উপহার খুঁজতে বুড়ি গেল বহুদূর-
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সাত সমুদ্দুর!

সমুদ্দুরের তলে কিংবা তেপান্তরের মাঠে,
নীল আকাশের কোণ থেকে বা একলা গাঁয়ের বাটে,
খুঁজে খুঁজে আনল বাছাই মণিমুক্তো কত,
হারানো ফুল, লুকানো বীজ, পালক-নোলক যত;

সেসব দিয়েই তার উপহার ইচ্ছামতী সাজায়,
চরকা কেটে চাঁদের বুড়ি রঙিন সুতো জোগায়,
সেই সুতোতেই উপহারের হচ্ছে গাঁথা মালা,
আর ক'টা দিন, তারপরেতেই, হাতে পাওয়ার পালা !


ছবিঃত্রিপর্ণা মাইতি

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা