সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে

হিমালয়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম প্যাঙ্গটের হোটেলমালিক মোহিত আগরওয়াল ও 'চিন্তন' সংস্থার উদ্যোগে সে গ্রামের মানুষজন সচেতন হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁদের গ্রামকে প্লাস্টিকজনিত দূষণ থেকে বাঁচানোর।
মে মাসের শুরুর দিকে এক উইকএন্ডে ডেইলি মেল সংবাদপত্র আর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত তিনদিনের এক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রিটেনের রাস্তাঘাট, বাগান চত্বর, সমুদ্রতট এইসব জায়গা আবর্জনামুক্ত করতে ঝাঁটা বালতি হাতে নেমে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা, সবাই। 

প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধেরাজেশ্বরী সিং
ছবি সৌজন্যঃ ডিএনএ ইন্ডিয়া

ভাদোদরার রাজেশ্বরী সিং, তাঁর নিজের শহর থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, আজ পরিবেশ দিবসের দিনে তাঁর যাত্রা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। তাঁর এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো যাত্রাপথে তিনি চারটি রাজ্যের যে ২২ টি শহরের মধ্যে দিয়ে গেছেন, সেখানকার মানুষজনকে প্লাস্টিকজনিত দূষণ সম্পর্কে জানানো, এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার যথাসম্ভব কম করার জন্য তাঁদের উৎসাহ জোগানো।

প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে

কেরালা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গত দশ মাস যাবৎ শুরু হয়েছে 'শুচিত্ব সাগরম '(Clean Sea) নামে একটি কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সেখানকার মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরার সময়ে জালে আটকানো প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন তীরে, সেই প্লাস্টিককে রিসাইকেল করে অন্যান্য কাজে লাগানো হচ্ছে, ইতিমধ্যেই ২৫ টন বর্জ্য তাঁরা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তাঁদের এই উদ্যোগ সমুদ্রদূষণ রোধ ও সামুদ্রিক প্রাণীদের প্লাস্টিকজাত দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য একটা বেশ বড় পদক্ষেপ।

এই যে চারটি কর্মসূচির কথা বললাম, তাদের মধ্যে যোগসূত্র কিন্তু একটাই, প্লাস্টিক দ্রব্যজাত দূষণ রোধ করার চেষ্টা।
আমরা রোজকার জীবনে অগণিতবার প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করি, যার মধ্যে অনেকগুলোই হলো একবার ব্যবহারযোগ্য, এই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ব্যাগ, কাপ ইত্যাদি নদীনালায় বয়ে গিয়ে শেষ অব্দি সমুদ্রে পড়ে, অতিরিক্ত মাত্রায় দূষণের কারণে সামুদ্রিক জীবজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার প্রভাব ডাঙার জীবজগতের ওপরেও প্রবলভাবে দেখা যায়।

এসো, একবার দেখে নিই, এই মুহূর্তে প্লাস্টিক পদার্থ থেকে হওয়া পরিবেশ দূষণের ছবিটা ঠিক কেমন :

প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে

আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। রাষ্ট্রসংঘ আয়োজিত নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালিত হচ্ছে সারা বিশ্ব জুড়ে।
১৯৭২ সালে স্টকহোম কনফারেন্স অন দ্য হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট-এর প্রথম দিনে প্রথমবার 'পরিবেশ দিবসে ' এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর দু'বছর পর ১৯৭৪ সালের ৫ জুন প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়, মূল ভাবনা বা থিম ছিলো 'Only One Earth'. এরপর ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন দেশকে প্রতি বছরের পরিবেশ দিবসের আয়োজক দেশ হিসাবে নির্দিষ্ট করার প্রথা শুরু হয়। সেই প্রথা মেনেই এবারের পরিবেশ দিবসের আয়োজক দেশ হলো ভারত।

প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে

এবারের পরিবেশ দিবসের মূল ভাবনা 'Beat Plastic Pollution', অর্থাৎ প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ করা হোক। সারা পৃথিবীর পরিবেশ সচেতন মানুষজন অংশ নিচ্ছেন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (single-use plastic) থেকে হওয়া পরিবেশ দূষণের প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে, জনবহুল এলাকা, অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা থেকে প্লাস্টিকজাত আবর্জনা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, শিল্পক্ষেত্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজনও যাতে সচেতন হন, চেষ্টা করেন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার যথাসাধ্য কম করার, সেবিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজার।

 

ছবিঃ উইকিপিডিয়া এবং ইউটিউব

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা