তুমি নিশ্চয়ই এখন গরমের ছুটি কাটাচ্ছ? আমার কিন্তু সেই সুযোগ নেই। আমি এখন শহর কলকাতা ছেড়ে অনেক দূরে বসে আছি। বসে আছি ভাবছি। অনেকদিন পর ইচ্ছামতী আমায় তোমার মত বন্ধুদের জন্য লিখতে বলেছে। আর বিষয়ও দিয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তুমি তো জানোই ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তোমাকেও নিশ্চয়ই কম বেশি পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে হয়েছে। তাই তুমিও জানো আজকের দিনে আমরা কতটা পরিবেশ দূষণের মধ্যে বসবাস করছি। কতরকম ভয়ংকর রোগ নিত্য আমাদের শরীরে দানা বাঁধছে । তুমি যে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল আমি জানি। আমি জানি তুমি রাস্তাঘাটে ময়লা ফেলো না, তুমি প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার করনা, তুমি মোবাইল ফোনের ব্যবহার কম কর। তুমি ইতিমধ্যেই হয়ত জেনে গেছ যে রেফ্রিজ্রেটার বা এয়ার কন্ডিশন মেশিন থেকে পরিবেশ কতটা দূষণ হয়। তুমি গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা উষ্ণায়ন সম্বন্ধেও যথেষ্ট জানো আমি জানি। আমি আজ কিছু অন্য ঘটনার কথা তোমাদের বলব। যদিও আমি এসব জানতাম না। যদি না তোমাদের মতই আমার খুদে বন্ধু রফিক এসে গল্পের মত করে আমায় ঘটনা গুলো শোনাতো।
রফিকের বাড়ি আমার অফিসের গ্রামেই। রফিকের ইস্কুলের নাম সাতারাপুর হাই স্কুল। এই এলাকার সবচেয়ে বড় স্কুল। রফিকের স্কুলের নতুন মাস্টারমশাই অনিকেতবাবু রফিকদের পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে দেশদুনিয়ার নানারকমের গল্প বলেন। তাঁর কাছ থেকেই রফিক আর তার বন্ধুরা বিশ্ব পরিবেশ দিবস সম্পর্কে জেনেছে। আর আমি যেহেতু রফিকের বন্ধু, তাই রফিক এসে আমাকে সেইসব গল্প শুনিয়ে গেছে। সেইসব গল্পই আমি আজ তোমাকে শোনাতে বসেছি। সব গল্পগুলোই পরিবেশকে ভালোবেসে, পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য মানুষের লড়াইয়ের গল্প।
রফিক আমাকে প্রথমে বলল জাদুগোরার কথা। ঝাড়খণ্ডের এই ছোট অঞ্চল এখনও পরিবেশে বিষিয়ে দেওয়া ক্ষত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ২০৩২ সালের মধ্যে বছরে ৬৩ গিগাওয়াট নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করেছিল ভারত সরকার। এই শক্তি উপার্জনের জন্য প্রয়োজন ছিল ইউরেনিয়াম নামক ধাতুর। জাদুগোরা হল ইউরেনিয়ামের আকরিক ম্যাগনেশিয়াম ডাইয়ুরেনেটের magnesium diuranate উৎসস্থল। কিন্তু এই উৎস থেকে এই নিউক্লিয়ার শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম খনন ও তা কাজে লাগানোর মাধ্যমে জাদুগোরায় নেমে আসে এক অন্ধকার অধ্যায়। প্রতিটি মানুষের চোখে যা ভয়ের আবহ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ইউরেনিয়াম খনন ও তা কারখানায় নিয়ে গিয়ে আকরিক থেকে ইউরেনিয়াম নিঃসারণের যে প্রক্রিয়া তার ফলে রেডন গ্যাস নিঃসৃত হয়। মানুষের নিঃশ্বাসের সঙ্গে তা যখন দেহে প্রবেশ করে তখন দেহের ভিতরে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটায় । মূলত যাঁরা খননকার্যের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের মধ্যে এটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এবং এই আকরিক যখন খোলা ট্রাকে করে কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার থেকে অনেকটাই রাস্তার দুপাশে গিয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে পড়া আকরিকের প্রকোপে আসেন স্থানীয় অধিবাসীরা। কারখানার আবর্জনা যেখানে ফেলা হয় তার কাছাকাছি অবস্থিত গ্রামগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষত বর্ষার সময় জলের সাথে এই আবর্জনা নদীতে গিয়ে মেশে। ফলত শরীরের ভেতরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা আরও বেড়ে যায় কারন গ্রামবাসীরা নদীর জল পানীয় হিসেবে ও দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহার করে। ভারতীয় চিকিৎসকদের করা একটা সার্ভে থেকে উঠে আসে যে এই পরিস্থিতির ফলে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিশুরা।এই অঞ্চলে ক্যান্সারের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এবং জন্মের সময় অনেক শিশু মাতৃগর্ভেই মারা যায়। যারা জন্মায় তারা বেশিরভাগ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মগ্রহন করে নয়ত সেরিব্রাল পলসির স্বীকার হয়। প্রায় এক লক্ষ টন পারমাণবিক বর্জ্য পদার্থ জমানো রয়েছে জাদুগোরার ইউরেনিয়াম কারখানার আশেপাশে। সুবর্ণরেখা নদীতে গিয়ে এই বর্জ্য পদার্থ মিশেশে, ছড়িয়ে গেছে এই অঞ্চলের ছোটখাটো নদী -নালায়, গাছপালার মধ্যে। এক কথায় এই অঞ্চলের পুরো খাদ্য শৃঙ্খল আজ তেজস্ক্রিয়তার কবলে। এখানে মানুষের গড় আয়ু এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৬২ বছরে। যে সরকারি সংস্থা ইউরেনিয়াম কারখানা পরিচালনা করে, তারা এই সমস্যা সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবে প্রমিত নিরাপত্তা , যা এই অঞ্চলের প্রতিটা মানুষকে দেওয়া দরকার তার কোন দায়ভার নেয়নি। স্থানীয় ভাষায় জাদুগোরার অর্থ হল জাদুর দেশ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, উন্নয়নের নামে এই এলাকার মানুষদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে গেছে।
নিচে রইল জাদুগোরা নিয়ে তৈরি একটি ছোট্ট তথ্যচিত্রের লিঙ্ক। এর ভাষা হিন্দি, কিন্তু সমস্যা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হবে না। ইউরেনিয়াম এর তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে এই অঞ্চলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তা দেখতে পাওয়া যাবে এই তথ্যচিত্রে, সৌজন্যে
এই অবধি বলে রফিক থামল। আমি ওর দিকে জলের গ্লাস বাড়িয়ে দিলাম। ও এক ঢোকে জলটা শেষ করে বলল, এরপরের ঘটনাটা নাকি পরিবেশ রক্ষা করার মত নজির গড়ে দেওয়ার ঘটনা। অনিকেত স্যার নাকি বলেছেন মানুষই যেমন পারে পরিবেশকে ধ্বংস করতে তেমন মানুষই আবার পারে পরিবেশকে রক্ষাও করতে। রফিক শুরু করল-
ওডিশার মুনিগুডা রেলস্টেশন থেকে ৩০ কিলোমিটার যাওয়ার পর যে পাহাড়ি পথের দেখা মেলে সেই পথ দিয়ে আরও খানিকটা উঠে গেলে যে পাহাড়ের রেঞ্জ দেখা যায় তাই নিয়মগিরি। প্রায় ১২ টা গ্রাম অবস্থিত এই পাহাড়ি উপত্যকাকে কেন্দ্র করে। মূলত ডোংরিয়া কোন্ধ উপজাতির মানুষেরা থাকেন এখানে। যাঁরা নিয়মগিরিকে দেবতার মত দেখেন। তাঁরা মনে করে যে তাঁদের আরাধ্য দেবতা নিয়ম রাজা এই পাহাড়েই থাকে। এই পাহাড়কে ঘিরেই তারা তাদের জীবন ধারণ করেন। উপার্জনও মূলত এই পাহাড়কে কেন্দ্র করেই। কিন্তু ওডিশা সরকার যখন বেদান্ত গ্রুপের সহযোগিতায় এই পাহাড় থেকে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের জন্য বক্সাইট খনন করে বের করে আনতে থাকে তখন এই গ্রামের মানুষরা বেঁকে বসেন। মূলত অত্যাধিক পরিমানে বক্সাইট খনন করার ফলে পাহাড়ের পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছিল তেমনি এই পাহাড়কে ঘিরে থাকা প্রায় ১১২টি গ্রামেরও ক্ষতি হচ্ছিল। এছাড়াও আদিবাসীদের কাছ থেকে জমি জোড় করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একসময় এইসবের বিরুদ্ধে নিয়মগিরির মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা নিয়মগিরিকে বাঁচাতে গড়ে তুলেছিল ‘নিয়মগিরি সুরক্ষা সমিতি’। যদিও সরকার আদিবাসীদের এই লড়াইকে কোণঠাসা করে দেওয়ার জন্য ‘নিয়মগিরি সুরক্ষা সমিতি’কে জঙ্গী সংগঠন বলে আখ্যা দিয়েছিল ও ব্যাপক হারে এই সংগঠনের নেতৃত্ব স্থানীয়দের গ্রেপ্তার করে মুচলেকা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে চেষ্টা বিফলে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে জল জঙ্গল জমিনের এই অসম লড়াই নিয়মগিরির মানুষরা লড়ে গিয়েছিল। তাই তাদের আরাধ্য দেবতা নিয়ম রাজা তাদের হতাশ করেনি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল যদি সব কটা গ্রামের গ্রাম সভা এই খনন কাজ করার সপক্ষে ভোট দেয় তবেই খনন কাজ চালানো যাবে নয়ত বন্ধ করে দিতে হবে।কিন্তু সব কটা গ্রাম সভা এই খনন কাজ যাতে না চালানো হয় তার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। এই ভোটের পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ওড়িশা সরকারের মাইনিং ডিপার্টমেন্ট সাথে সহযোগিতায় বেদান্ত স্টারলাইট কোম্পানি যে বক্সাইট খনন শুরু করেছিল তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের লড়াইয়ের নৈতিক জয় হয়। জল জঙ্গল জমিন এর অধিষ্ঠাতা নিয়ম রাজা আবারো তার ভক্তদের সঙ্গে পাহাড়ের কোলে সুস্থ ভাবে থাকার অধিকার পান।
নিচে দেওয়া রইল ২০০৯ সালে, নিয়মগিরি এবং তার সন্তানদের নিয়ে নির্মিত একটি ছোট্ট তথ্যচিত্রঃ
রফিক এতদূর বলে চুপ করে যায়।নিয়মগিরির মানুষের জয়ের গল্প তার মুখে যে অল্প হাসি এনে দিয়েছিল সেটা মুছে যায়। একটউ পরে সে অনিকেত স্যারের বলা তিন নম্বর গল্পটা বলতে শুরু করে। এই ঘটনাটা মাত্র কয়েকদিন আগের, তুমিও নিশ্চয়ই এতদিনে জেনে গেছ। যদি না জানো তবে এই ঘটনার কথা আমি তোমাকে বলি শোনো। রফিক এটা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিল, আমি তাকে শান্ত করিয়ে আর কিছু বলতে বারণ করি। কারন এটা আমার জানা ছিল।
তামিলনাড়ুর তুতিকরিন একটা সমুদ্রের তীরে অবস্থিত শহর। যার বর্তমান নাম থুত্থুকোডি। এখানেই সরকারী সিদ্ধান্তের পর বেদান্ত স্টারলাইট কোম্পানি কিছু বছর আগে তাদের তামা গলানোর কারখানা ( copper smelting plant)নির্মাণ করে। পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু নিয়মবিধি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এই কারখানা নির্মানের সময় যাতে পরিবেশ দূষিত না হয় ও ইকোসিস্টেমে কোন প্রভাব না পরে। যেমন সমুদ্র থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে এই কারখানাটি নির্মাণ করার কথা ছিল, কিন্তু মাত্র ১৪ কিমি দূরেই নির্মান করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় পরিবেশ পর্ষদ দূষণ নিয়ন্ত্রনের ছাড়পত্র দেয়নি। যার জন্য প্রায় ১৫ দিন কারখানাটি বন্ধ ছিল। এই কারখানাটি থেকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং তা মারাত্মক ব্যাধির জন্ম দিচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই দাবী নিয়ে বেশ কিছু মাস আগে স্থানীয়রা কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ শুরু করে। তারা নিয়মিত ধর্না মিছিল মিটিং সবই করছিল। সাথে চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ। এই অবস্থান বিক্ষোভের ১০০ দিন উদযাপন হিসেবে তারা তাদের বেশ কিছু কর্মসূচি ঠিক করে। তার মধ্যে প্রধান ছিল জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও ও অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো। এই মর্মে তারা তাদের কর্মসূচি শুরু করে। এরপর বিক্ষোভকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জনতা পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের গুলিতে প্রায় ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারায়। স্নাইপার দিয়ে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। সরকার দাবী করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রনের জন্য গুলি করা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় ছিল না। কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিন পরেই সরকারের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে ওই কারখানা থেকে থেকে দূষণ ছড়াচ্ছিল, তা যেন অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কারখানাটি বন্ধ। কিন্তু ১৫টা মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর জানা যায় যে আসলেই দূষণ হচ্ছিল। যদি আগে এটা নিয়ে বিবেচনা করা হত তাহলে হয়ত ১৫ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ যেত না।
আমাদের যেমন সকলের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে তেমনি পরিবেশের ওপরও আছে। আমাদের বেঁচে থাকা অনেকটা পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। কলকাতার কাছে যশোর রোডের দুই পাশের গাছগুলো কেটে ফেলার বিরুদ্ধে মানুষ পথে নেমেছে। গাছ কাটা আপাতত স্থগিত। ভাঙড়ে বিদ্যুৎ কারখানার নির্মাণের বিরুদ্ধে মানুষ একজোট হয়েছে। এরকম উদাহরন অনেক আছে। তোমরা আজ অনেকেই হয়ত ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার কথা জানো। কীভাবে আজও প্রায় ৩৩ বছর পরও মানুষ এক বিভীষিকার মধ্যে আছে।, একটা শহর কীভাবে একটা রাতের মধ্যে সব কিছু হারিয়ে ফেলেছিল। রফিক আজ এই সব ঘটনা গুলো জেনে গেছে। সে এবং তার বন্ধুরা মিলে পরিবেশ দিবসের দিন সারা গ্রাম জুড়ে পরিবেশ নিয়ে মানুষের কিভাবে আরও সচেতন হওয়া উচিত তার প্রচার চালাবে। রফিকরা ওদের স্কুলে ইকো ক্লাব খুলেছে আর সমস্ত ক্লাস রুমের বাইরে ছোট ছোট টবে গাছ লাগিয়েছে। সেই নিয়েও ওদের মধ্যে অনেক মজা ঠাট্টা নাকি হয়েছে। মাটি কাটতে গিয়ে কে নাকি কাদায় মুখ থুবড়ে পরে সারা গায়ে কাদা মাখামাখি করে আসার পর কেউ তাকে চিনতেই পারেনি। আমার সঙ্গে এরকম আরোও নানা গল্প করে রফিক ফিরে গেল স্কুলে। আজ টবের গাছগুলোকে জল দেওয়ার ভার ওর ওপর।
অন্যান্য ছবিঃ উইকিপিডিয়া