দু’জনেই থাইল্যান্ডবাসী। কিন্তু হলে কী হবে? কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। দেখা হলেই দু’জনে আস্তিন গুটিয়ে সোজা বক্সিং রিং-এ। তারপরেই শুরু হয় ঘুসোঘুসি, ঢুসাঢুসি। দু’জনেরই নেহি ছোড়েঙ্গা মনোভাব। সে এক রক্তারক্তি কান্ড। একজনের মাথা ফাটে তো আরেকজনের কপাল ফাটে। সেদিকে কারোর হুঁস নেই। অতএব যুদ্ধ চলতেই থাকে। একজনের ভবলীলা সাঙ্গ হলে তবেই রক্তাক্ত রণক্লান্ত বিজয়ীর দম নেবার ফুরসৎ মেলে। ওদের এই যুদ্ধং-দেহি মনোভাব দেখে কেউ যদি মনে করেন ওরা প্রচন্ড রগ-চটা তা হলে কিন্তু ভুল হবে। বরং ওরা খুবই মিশুকে। অন্যদের সঙ্গে চমৎকার মানিয়ে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে ওদের কোনো অসুবিধা হয় না। এমনকী ওরা স্বজাতি মেয়েদের প্রতিও সহানুভূতিশীল। যত রাগ ওদের স্বজাতের অপর পুরুষের উপর। মুখোমুখি হলেই মাথায় খুন চেপে যায়। তাই দু’জন পুরুষ কখনই একসঙ্গে থাকতে পারে না, তা যতই সে হোক দেশওয়ালি।
যারা অ্যাকোরিয়ামে মাছ পোষেন তাদের কাছে কিন্তু এই মারকুটে মাছগুলো খুবই প্রিয়। তার কারণ এরা দেখতে খুবই সুন্দর। মাত্র পাঁচ-ছয় সেন্টিমিটার লম্বা মাছগুলোর দেহ থেকে ঝালোরের মতো ঝোলানো রঙিন পাখনাগুলো অ্যাকোরিয়ামের ছবিটাই পাল্টে দেয়। তবে সাবধান, কোনো অ্যাকোরিয়ামে যেন একটার বেশি পুরুষ 'ফাইটিং ফিশ' না থাকে।
নিজের প্রতিফলনের সাথে লড়তে ব্যস্ত পুরুষ সায়ামিজ
এই মারকুটে মাছগুলোর আদি নিবাস থাইল্যান্ড— যার অপর নাম 'সায়াম দেশ'। সেই থেকে এই মাছের নাম 'সায়ামিজ'। এদের এই মারকুটে স্বভাব বংশানুক্রম। মাত্র দু'মাস বয়স থেকে এই লড়াকু মনোভাব পুরুষ সায়ামিজদের মধ্যে জেগে ওঠে। এত সুন্দর রূপ অথচ স্বভাব কী বিচিত্র।
ছবিঃউইকিপিডিয়া