হঠাৎ এলাম নীল দিঘীটার বাঁকে,
দিনরাত্রির কাজ গুছিয়ে,পড়াশোনার ফাঁকে।
পদ্ম শালুক, রং বেরং এর হাজার পাখি আসে,
প্রতিবছর শীতের শেষে,মধুর ফাগুন মাসে।
ফুলের মধু খাওয়া, জলে গা ভিজিয়ে খেলা,
সারাটিদিন কিচিরমিচির,সাতটি রংএর মেলা।
নীল দিঘীটার চকচকে জল,শান্ত নরম ঢেউ,
পাখপাখালি প্রজাপতি,বাদ যায় না কেউ।
দাঁড়িয়ে আমি,চুপিসারে রূপকথাদের খুঁজি,
কাজের ভারে,পরীরা সব হারিয়ে গেল বুঝি!
ডাকা হয়না অবসরেও, হোমটাক্সের চাপ,
দিঘীর ধারে দেখছি বসে হরেক পায়ের ছাপ।
নরম কাদা,লালচে বালু,নীল দিঘীটার ধারে,
ইয়াব্বড় শাল সেগুন আর ছাতিম দিঘীর পাড়ে।
এ যে আমার রূপকথা গো,হারিয়ে যাওয়া দেশ,
আজকে বাড়ির ঠিকানা ভুলে হবই নিরুদ্দেশ।
ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি,উড়ছে আমায় ঘিরে,
হারিয়ে যাচ্ছি দিঘীর জলে,রঙীন পাখির ভিড়ে।
যেই না ঘোরায় যাদুছড়ি,লাল নীল জলপরী,
টিক্ টিক্ টিক্,বাজল ছটা,বলছে এলার্ম ঘড়ি।
নিরুদ্দেশের যাত্রা আমার স্বপ্ন হয়েই থাকে।
সত্যি হবে,আসব যেদিন নীল দিঘীটার বাঁকে।।
ছবিঃ তৃষিতা মিত্র