সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
নীল দিঘীটার বাঁকে

হঠাৎ এলাম নীল দিঘীটার বাঁকে,
দিনরাত্রির কাজ গুছিয়ে,পড়াশোনার ফাঁকে।
পদ্ম শালুক, রং বেরং এর হাজার পাখি আসে,
প্রতিবছর শীতের শেষে,মধুর ফাগুন মাসে।
ফুলের মধু খাওয়া, জলে গা ভিজিয়ে খেলা,
সারাটিদিন কিচিরমিচির,সাতটি রংএর মেলা।
নীল দিঘীটার চকচকে জল,শান্ত নরম ঢেউ,
পাখপাখালি প্রজাপতি,বাদ যায় না কেউ।
দাঁড়িয়ে আমি,চুপিসারে রূপকথাদের খুঁজি,
কাজের ভারে,পরীরা সব হারিয়ে গেল বুঝি!
ডাকা হয়না অবসরেও, হোমটাক্সের চাপ,
দিঘীর ধারে দেখছি বসে হরেক পায়ের ছাপ।
নরম কাদা,লালচে বালু,নীল দিঘীটার ধারে,
ইয়াব্বড় শাল সেগুন আর ছাতিম দিঘীর পাড়ে।
এ যে আমার রূপকথা গো,হারিয়ে যাওয়া দেশ,
আজকে বাড়ির ঠিকানা ভুলে হবই নিরুদ্দেশ।
ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি,উড়ছে আমায় ঘিরে,
হারিয়ে যাচ্ছি দিঘীর জলে,রঙীন পাখির ভিড়ে।
যেই না ঘোরায় যাদুছড়ি,লাল নীল জলপরী,
টিক্ টিক্ টিক্,বাজল ছটা,বলছে এলার্ম ঘড়ি।
নিরুদ্দেশের যাত্রা আমার স্বপ্ন হয়েই থাকে।
সত্যি হবে,আসব যেদিন নীল দিঘীটার বাঁকে।।

 

ছবিঃ তৃষিতা মিত্র

কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন কিন্তু অফিসে গিয়ে কাজ পছন্দ করেন না। বরং সংসারের চেনা শব্দের ভেতরেই খুঁজে পান আনন্দের বীজমন্ত্র।তুচ্ছ যা কিছু ,তার ছায়াই ধরা্ দেয় তাঁর মনে।সেগুলি রূপ পায় নানান কলাশিল্পে,কখনও রঙএর ছন্দে,কখনও শব্দে।নিজেকে অবিরত ভাঙ্গাচোরা করে সাহিত্যকর্মীর পবিত্র নিষ্ঠায় এগিয়ে চলেছেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা