আজ বুবুনের জন্মদিন। সব বারের মতোই সকালে মার কাছে অনেক আদর খেয়ে আর একটা ক্যাডবেরি পেয়ে স্কুলে গেল বুবুন।এবারের জন্মদিনটা একটু অন্যরকম হবে।ছোটবেলা থেকেই বুবুনের ইচ্ছে ছিল জন্মদিনের দিন ক্লাসের সবকটা মেয়েকে লজেন্স দেবে।এইবার তা পূর্ণ হবে। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার সময় ঘটল এক অঘটন। আকাশ কালো মেঘে ভরে গেল।মেঘ গুড়গুড় করতে শুরু করল; শুরু হল অঝোর ধারায় বৃষ্টি।ভেজা জামা দেখে মা বকবে বলে ছাতাটা খুলতেই হল।যাওয়ার পথে অনেকগুলো জলভরা গর্ত পেল বুবুন।ভাবল,ভাগ্যিস মা আজকে আমাকে স্কুলে দিতে আসেনি।ভেবে গর্তগুলোর ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে এগোতে লাগল।এগোতে গিয়ে রাস্তার ধারের বাচ্চাগুলোর দিকে চোখ পড়ল ওর।কি সুন্দর বৃষ্টিতে ভিজছে আর হাসছে। বুবুন ভাবল, কি মজা ওদের, আমিও যদি অমন করতে পারতাম!
স্কুলে যেতে একটু দুঃখই পেতে হল বুবুনকে।বৃষ্টি হওয়ার জন্য ক্লাসটা বেশ ফাঁকা।তাই অনেক লজেন্স বেঁচে গেল।ছুটির সময় মা গাড়ি করে নিতে এলেন।লজেন্সের কথা শুনে মা বললেন এতো লজেন্স তো আমরা একা খেতে পারি না; নিজের চারপাশটা দেখ আর ভাব কি করা যায়।হঠাৎ বুবুনের মনে পড়ল সকালে দেখা ওই বাচ্চাগুলোর কথা।ওরা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে ঠিকই,কিন্তু লজেন্স তো খেতে পারে না।প্রথম দিকে একটু লজ্জা হলেও মাকে বলেই ফেলল কথাটা।মা শুনে খুব খুশি হলেন।গাড়ি থামিয়ে বুবুন চলল লজেন্স বিতরণ করতে।এখন জন্মদিনের দিন স্কুলের বন্ধুরা সবাই না আসলেও, বুবুনের কোনো দুঃখ নেই। লজেন্স দেওয়ার জন্য ওর এই বন্ধুরা তো আছেই।
ছবি ও গল্পঃ শ্রীতমা সরকার
নবম শ্রেণী
সেন্ট জন ডায়োসেশন গার্লস এইচ এস স্কুল, কলকাতা
শ্রীতমা বই পড়তে, লিখতে, আঁকতে, ছবি তুলতে ও ম্যাজিক শিখতে ভালবাসে।