সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

আমাদের পাড়ায় বেজায় গরম পড়েছে। এতটাই গরম পড়েছে যে আমার আর ইচ্ছামতীর একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই। ভোরবেলা ঘড়ির কাঁটা পাঁচের ঘর ভাল করে ছুঁতে পারে কি পারে না, সূয্যিঠাকুর অফিস খুলে বসে পড়েন পুরোদমে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাঁর তেজ। এত যে কিসের রাগ- কে জানে বাবা! ইচ্ছামতী আমাকে বলেছে চারিদিকে সব বড় বড় গাছপালা কেটে ফেলে খালি উঁচু উঁচু বাড়ি আর চওড়া রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে, তাই সূয্যিমশাই রেগে-মেগে আগুণ। এদিকে আবার সব পুকুর-জলা বুজিয়েও বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। তাই জলেরও খুব আকাল। আর এইসব মিলে মেঘেদের আনাগোনাও কম।সে তুমি যতই রোজ দুপুরে ঘামতে ঘামতে মনে মনে ভাব- আজ বুঝি উত্তর-পশ্চিমের আকাশ কালো করে কালবৈশাখীর মেঘ ধেয়ে আসবে, বেশ এক পশলা ঝমাঝম বৃষ্টি পড়বে- কোথায় কি!!

সূয্যিঠাকুরের আর ধরিত্রীমায়ের রাগ কমানোর জন্য আমি আর ইচ্ছামতী একটা ছোট বাগান করেছি।আমাদের বাগানের কিছু গাছ থাকে ছায়ায়, ঘরের কোণায়, তারা বেশি রোদ সহ্য করতে পারে না। কিছু গাছ থাকে খোলা জায়গায়, তাদের ঘরে রাখা মানা। সন্ধ্যাবেলা অফিস বন্ধ করে সূয্যিঠাকুর ঘরে ফিরলে আমরা আমাদের গাছেদের জল দিতে যাই। সারাদিন রোদে ঝলসানো গাছ, আর তাদের গোড়ায় শুকনো মাটি জলে ভিজিয়ে দিই। সেই সময়ে, টবের কিনারায় জমে থাকা জল খেতে আসে কখনো বা এক-দুটো কাক, কখনো বা শালিক। আহারে, ওরাও যে সারাদিন গরমে খুব কষ্ট পায়...তাই আমরা টবে একটু বেশি করে জল দিয়ে দিই, যাতে পুরোটা জল মাটিতে শুষে নিতে একটু সময় লাগে, আর পাখিরা সেই ফাঁকে একটু জল খেয়ে নিতে পারে। তুমিও কিন্তু এইভাবে পাখিদের জল খেতে দিতে পার। দেখবে, খুব মন ভাল হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, জল দিয়ে সেখান থেকে সরে আসতে হবে কিন্তু।সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে ওরা আসবেও না, আর তোমার জল দেওয়াও বৃথা হবে।

এবার অন্য কথায় আসি। আজ ২রা মে, কার জন্মদিন জান তো?ইচ্ছামতীর খেলাঘর দেখে তো বুঝেই গেছ , আজ সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। আর তাঁর জন্মদিনে, আমরা সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা সহ প্রণাম জানাই।

তাঁর জন্মদিনে, আজ ইচ্ছামতী পুরনো সংখ্যাগুলি থেকে ফিরে দেখছে তাঁকে নিয়ে নানান লেখা - তাঁর লেখা বই, তাঁর তৈরি করা চলচ্চিত্র- এইসব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছামতীর পাতায় প্রকাশিত বেশ কিছু লেখার লিঙ্ক রয়েছে আজ ইচ্ছামতীর খেলাঘর পাতায়। উলটে পালটে পড়, সত্যজিৎ রায়ের বিষয়ে জানা-অজানা বিবিধ তথ্য পড়ে নাও আরেকবার। এ ছাড়াও এই সপ্তাহে রয়েছে একটু ছোট্ট সুন্দর অনুবাদ কবিতা এবং সিপাহী বিদ্রোহের গল্প। সেগুলিও অবশ্যই পড়।

সব লিঙ্কগুলি এখানে দিয়ে দিলামঃ

গোলাপ কাহিনী
স্বাধীনতার গল্পঃ সিপাহী বিদ্রোহ- পর্ব ২
যখন ছোট ছিলাম
পথের পাঁচালী
গুপী গাইন বাঘা বাইন
সত্যজিতের গোয়েন্দা গল্প
সত্যজিত ও ঋত্বিক
সত্যজিত রায়

এই গরমে খুব সাবধানে থেক, ভাল থেক।



(পুরনো কয়েকটি লেখাতে "সত্যজিৎ" এর বদলে "সত্যজিত" লেখা আছে। এর কারণ, সেই সময়ে ইউনিকোড প্রযুক্তিতে সঠিকভাবে "ৎ" লেখা যেত না।)

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা