বই এর পাহাড় চারদিকেতে
রিঙ্কি শুধু হাওয়া,
রোজ তার বায়না একই
পড়তেই না চাওয়া।
মা ডাকে 'রিঙ্কি সোনা,
এমন করলে হয়?’
রিঙ্কি বলে 'অত পড়া,
মাথায় কারো সয়?’
কী করা যায়, কী করা যায়?
মা-মায়েতে ভাবে।
রিঙ্কি জানে- মা নিশ্চয়ই
বুদ্ধি খুঁজে পাবে।
মা বলে 'রিঙ্কি সোনা,
আমার কথা শোন্,
বই এর মাঝেই খুঁজে পাবি
অনেক গুপ্তধন।'
'বাংলা বল্, আর ভূগোলই বল্,
ইতিহাস, বিজ্ঞানে
দারুণ দারুণ গল্প আছে,
কেউ মন দিয়ে যদি শোনে।'
'রইল পড়ে অঙ্ক
সে তো জলের মত সোজা,
ধাপে ধাপে বুঝে নিলেই
খুঁজে পাবি মজা।'
'ইংরেজীটা আরো সোজা
গ্রামারই যে চাবি,
ভালো করে বুঝে নিলেই
লিখতে শিখে যাবি।'
রিঙ্কি বলে, 'গল্প আমার
ভারী ভালো লাগে’,
মা বলে 'আয় তোকে
গল্প বলি আগে।'
এমনি করে খেলার ছলে
অনেক কঠিন পড়া,
গল্পের মত সহজ ভাবে
হয়ে গেল সারা।
অঙ্কগুলোও নিজে নিজে
কেমন মিলে গেল,
ইংরেজীটাও সহজ লাগায়
রিঙ্কি খুশী হল।
কঠিন নয় কোনোকিছুই
কঠিন আমরা করি,
সহজ করে বুঝিয়ে দিলেই
দিব্যি মাথায় ধরি।
পড়াশোনায় ভয় নেই তো
ভয় থাকে শুধু মনে,
মনের ভয়টা কাটিয়ে দিলেই
মন বইয়ের কথা শোনে।
ছবিঃ ডাল-ই এ আই