খরগোশ ও কচ্ছপের রেস
কথা মত খরগোশ ও কচ্ছপের চলছিল রেস,
কচ্ছপ ধীরে ধীরে,খরগোশ দ্রুত চলে বেশ।
অনেক দৌড়ে সে পিছন মুড়ে দেখে,নেই কচ্ছপ,
বহু পেছনে হবে,সে তো চলে,ধীরে--থপ থপ।
শান্ত বাতাস ছিল,গাছের শীতল ছায়া ছিল,
তন্দ্রা তাকে ডাক দিলো,ঘুম তাকে ঘিরে নিলো।
ঘুমল নিশ্চিন্ত মনে বৃক্ষতলে খরগোশ,
কচ্ছপ দেখে খরগোশ পড়ে নিদ্রাতে বেহোশ।
কচ্ছপ বড় পরিশ্রান্ত,
দীর্ঘ পথ দৌড়ে সে বড় ক্লান্ত।
ভাবল,খরগোশ আছে ঘুমিয়ে,
আমিও জিরিয়ে নিই,ওর পাশটিতে গিয়ে।
সে হাই তুলল কয়েক বার,
একটু পরেই ঘুম জুড়ে এলো চোখে তার।
কচ্ছপ ঘড়ঘড়--নাক ডাকে বারবার,
খরগোশ জেগে বলে,‘এ শব্দ কোথাকার?’
দেখে কচ্ছপ বেঘোরে নিদ্রামগ্ন,
খরগোশ ভাবে,এটাই তার ছোটার লগ্ন।
ছুটে চলে খরগোশ,ঘুমায় কচ্ছপ,
সীমানা শেষের দর্শকেরা করে‘হৈ হৈ’রব!
কচ্ছপ তখনো ঘুমে,খরগোশ জিতল,
অলস খরগোশের ঘুমের বদনাম কথা—
এবার তা হলে মিটল!
তাপসকিরণ রায়।
জবলপুর, মধ্যপ্রদেশ
- বিস্তারিত
- লিখেছেন তাপস কিরণ রায়
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
পিকনিকে চল
কুয়াশারঙ জড়িয়ে চাদর
শীত কি তোকে করল আদর?
মিঠেল হেসে সূয্যিমামা
গায়ে দিল শীতের জামা
বলল কি, চল, পিকনিক করি চল?
শীতের পাখি দিল কি ডাক?
রাঙামাটির পথের ও বাঁক?
পায়েস-পিঠে-নলেন গুড়ে
ইচ্ছেরা সব চলল উড়ে
বলল কি, চল, পিকনিক করি চল?
কিন্তু পথের ধারে ওই যে ছেলে
ধুলোর মাঝে কে গেছে ফেলে
ওর গায়ে নেই কাপড়-ঢাকা
রঙবেরঙের স্বপ্নে আঁকা
কেউ বলে নি, চল, পিকনিকে চল?
অনেক খিদে ওর দু চোখে
গাড়ি থামিয়ে তুই কি ওকে
দিবি তোর ওই শীতের জামা
বলবি, ওরে, কান্না থামা,
চল, তুইও আমাদের পিকনিকে চল?
তন্ময় ধর
নতুন দিল্লী
- বিস্তারিত
- লিখেছেন তন্ময় ধর
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
সবুজ পাতা আঁকতে জানি
একটি ফড়িং ধরতে জানি
প্রজাপতির রঙিন পাখা পড়তে জানি
গাছের অবুঝ সবুজ পাতা আঁকতে জানি
হাঁসের ছা-কে খালের লোদও মাখতে জানি
ধরতে জানি শাপলা ফোটার বিলও
রঙিন ডানার চিলও
পড়তে জানি নদীর ভাষা
অবাক করা যদির ভাষা
বুঝতে পারি অবুঝ শিশুর দিলও।
যা ক্ষতিকর রাস্তা থেকে তুলতে পারি
ভাবনা মনে মন্দ যা তা ভুলতে পারি
জ্ঞান সাধনায় প্রশ্নজটও খুলতে পারি
দোলনাতেও দুলতে পারি অলস দুপুরবেলা
সুস্থ্য-সবল শিশু হতে খেলতে পারি সবাই বিকেলবেলা।
- বিস্তারিত
- লিখেছেন মনসুর আজিজ
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
ননীর কাণ্ড
অঙ্কে তার বেজায় মাথা ,
উপপাদ্যে ভর্তি খাতা ।
পেন্সিলটা কানে গোঁজা ,
সবসময়ই চোখটি বোজা ।
বিড়বিড়িয়ে কি যে বলে ,
আপনমনে লিখেই চলে ।
থেকে থেকেই মাথা ঝাঁকায় ,
কাছে গেলেই চোখটি পাকায় ।
আমরা সবাই খেলতে গেলেও ,
উঠবে না সে সন্ধ্যে হলেও ।
কিন্তু একটা আজব ব্যাপার ,
যেই পরীক্ষা অমনি ফিভার ।
যদিবা তাকে পাঠাও ঠেলে ,
সববিষয়েই লাড্ডু মেলে ।
এতো পড়েও এই ফল !
বাড়ীর সবার চোখে জল ।
“ কিরে ননী , আবার ফেল ! ’’
স্যারের ধমক , “ গো টু হেল । ’’
যতই বলো যতই সাধো ,
ননী ফিরে তাকায়ো নাকো ।
আবার খাতা আবার কলম ,
বলতে গেলেই মাথা গরম ।
হাল ছেড়েছে সবাই যখন ,
প্ল্যানটা মাথায়ে এলো তখন ।
খাতাখানা চুরি করে ,
চুপিসাড়ে এলাম ঘরে ।
ধীরে ধীরে খুলে খাতা ,
দেখে আমার ঘুরলো মাথা ।
পণ করেছে গুনবে বসে ,
আকাশে মোট কয়টি তারা !!
মধুমিতা প্রামাণিক
গিরীশ পার্ক , কলকাতা
- বিস্তারিত
- লিখেছেন মধুমিতা প্রামাণিক
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
হঠাৎ এসে ছড়ার দেশে
লাল নদী , ঠিক তারই বাঁকে;
ঘুরতে গেলুম কাজের ফাঁকে।
সঙ্গে আমার ছোট্ট খাতা,
লিখি তাতে মনের কথা।
কোন দেশেতে কেমন মানুষ,
উড়ছে কোথায় রঙীন ফানুস।
ঘুরছে রাখাল আপন মনে,
মিষ্টি বাঁশীর সুরটা কানে।
কোথায় আকাশ আঁকছে ছবি,
লালের আভা , ডুবছে রবি।
নাম না জানা পথের শেষে,
কোথায় যাবো ভাবছি এসে;
এমনি সময় পিছন থেকে,
কে বেশ যেন ডাকল হেঁকে -
“এসছো তুমি নতুন বুঝি!
পাচ্ছো নাকি কাউকে খুঁজি?’’
‘‘হ্যাঁ মানে ঐ , ঘুরতে ঘুরতে’’
শুনল না আর বলল থামতে -
‘‘চুপ কথা নয় বলছি শোনো,
এসছো কোথা তা কি জানো!
বলতে হবে ছড়ায় কথা,
মিল খুঁজি তাই খাটিয়ে মাথা।
ছড়ার দেশের নিয়ম এটা,
নইলে মাথা পড়বে কাটা।
রাজামশাই ভীষণ রাগী,
সদাই নজর কে দেয় ফাঁকি!’’
‘‘ওরেবাবা ! বলছ কি গো!
ঘুরছে মাথা , করছে ভোঁ ভোঁ!
তালমিল সব যাচ্ছি ভুলে,
শূলেই বুঝি দিল তুলে।
আর না বাবা , পালাই এবার;
ভয় বলে ভয় , তাল কাটবার!!’’
মধুমিতা প্রামাণিক
গিরীশ পার্ক , কলকাতা
- বিস্তারিত
- লিখেছেন মধুমিতা প্রামাণিক
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা