ঘরের দোতলা থেকে দক্ষিণদিকের কার্ণিশে যে এক চিলতে ব্যালকনি রয়েছে,সেখান থেকেই আমার মনের রোদ্দুর আমার সাথে দেখা করে।বাড়ির দুধারে বড়ো বড়ো ফ্ল্যাট আছে বটে তবে আমাদের বাড়ির পাশে গোঁসাই দাদুর একটা সুন্দর বাগান বাড়ি আছে,সেখানে প্রত্যহ বহু পাখির আনাগোনা হয়।মা-বাবুই পাখি এসে বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দেয়।এ এক অতি মধুর দৃশ্য। আদিগন্ত আকাশ আর রৌদ্রের উন্মাদনা মনের জানালাকে আলোকিত করে দেয়।আমার বাড়ির পূর্বদিকে একটা বড়ো পুকুর আছে, যেখানে কচুরিপানার সমারহে সবুজাচ্ছন্ন এবং আমাদের পশ্চিমের জানালা সর্বদা বড়ো ফ্ল্যাটের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়।মেঘে ঢাকা পরা সূর্য মিঠা রৌদ্রের ওড়না দিয়ে মনের আঙিনায় আনন্দের উচ্ছাসকে জাগিয়ে তোলে।গোঁসাই দাদুর বাগানে দুটো তালগাছ ছিল বটে গলা জড়াজড়ি করে,কিন্তু কপাল এতই খারাপ যে,সে আজ সঙ্গীহীন এক নিথর গাছ।গত কয়েক মাস আগে আম্ফানে তার সঙ্গী উপড়ে পড়েছে।আমার ব্যালকনির কানাঘেঁসে রাখা লাল গোলাপের কুঁড়ি ফুটেছে আজ বড়োই আনন্দে রয়েছি,এই বাঁধাধরা পরিস্থিতিতে।আমাদের একটা ছোট্ট শিউলি গাছ আছে।সন্ধ্যে হতেই সেই শিউলির গন্ধে বাড়িটা যেন মেতে উঠে।অপূর্ব গন্ধের সমারহে শারদীয়া মা যেন তাঁর কোলের আঁচলে এই পৃথিবীকে তাঁর বুকে টেনে নিয়েছে।
লেখা ও ফটোগ্রাফঃ
অনুরাগ মণ্ডল,
সপ্তম শ্রেণি , কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল
এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ইচ্ছেমতন বিভাগের 'মনের জানলা ' লেখালিখির খেলার অংশ হিসাবে।