ভারতে সরকারিভাবে 'লকডাউন' শুরু হয় ২৩শে মার্চ বিকেল থেকে। করোনাভাইরাস-এর ছড়িয়ে পড়া আটকাতে হঠাৎ করেই সবাই ঘরবন্দী; স্কুলে আওয়া, কাজে বেরোনো, বন্ধুদের সঙ্গে খেলা, গল্প করা সব বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের সব বন্ধুদের মন ভালো করতে, ইচ্ছামতীর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় — আমরা আমাদের ফেসবুক পাতায় শুরু করব 'ইচ্ছেমতন আঁকিবুকির আসর'। এই আসরে ছোট থেকে বড়, সবার সাদর আমন্ত্রণ রয়েছে। ফেসবুকে ইচ্ছামতীর নিজস্ব পাতায় এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয় গত ২৩শে মার্চ। তারপরে, ২৪শে মার্চ থেকে নিয়মিত আমাদের 'লকডাউন স্ক্র্যাপবুক'-এ যুক্ত হয়ে চলেছে সব বয়সী বন্ধুদের আঁকা ছবি, বা হাতের কাজের ছবি।অনেক সময়ে ছোট্ট বন্ধুদের সাহায্য করছেন তাদের মা কিংবা বাবা। আর হ্যাঁ, এই 'লকডাউন স্ক্র্যাপবুক'-এ ছবি এঁকে বা হাতের কাজ করে সেই ছবি তুলে পাঠাচ্ছেন অনেক বন্ধু, যারা কাগজে কলমে 'সাবালক' — আমরা তো প্রথমেই বলে দিয়েছি না, যে এই ইচ্ছেমতন আঁকিবুকির আসরে সব্বার যোগদান চাই।
ফেসবুকে ছবিগুলি পোস্ট করার পাশে পাশে আমরা ছবিগুলিকে আমাদের ওয়েবসাইটে এই পাতাতেও পোস্ট করছি। তবে ওয়েবসাইটে আপডেট ফেসবুকের থেকে কিছুদিন পরে হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া আছে যে ছবিগুলি ইন্স্টাগ্রাম-এ ও পোস্ট করা হবে। কিন্তু আপাতত আমরা আমাদের ইন্স্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে 'লকডাউন স্ক্র্যাপবুক' থেকে কোনোও ছবি পোস্ট করছি না।
আর একটা কথা — অন্যান্য সময়ে আমরা 'ইচ্ছেমতন' বিভাগে ছবি এবং লেখা প্রকাশ করে, প্রেরকের নাম, স্কুল, ক্লাস উল্লেখ করে থাকি। কিন্তু 'লকডাউন স্ক্র্যাপবুক'-এর ক্ষেত্রে আমরা শুধুই শিল্পীর নাম দিচ্ছি। অন্য কোনোও তথ্য দিচ্ছি না। দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন এই অপরিচিত সময়ে, আমাদের সবার একটাই পরিচয় - আমরা সবাই নিজের এবং অন্যদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গৃহবন্দী; আমরা সবাই একে অপরের বন্ধু।
তোমার ইচ্ছে হলে আমাদের কাছে পাঠাও তোমার এবং /অথবা তোমার প্রিয়জনের আঁকা ছবি। আর এই 'লকডাউন স্ক্র্যাপবুক' পছন্দ হলে, অবশ্যই শেয়ার করো তোমার বন্ধুদের সাথে।