বিনুমামার গল্প আগেও দু'একটা শুনিয়েছি। এটাও তাঁর। ছেলেবেলায় দারুণ ডানপিটে ছিলেন। নানা গল্পে ঝুলি ভরতি। কাছে পেলেই আমরা ছেঁকে ধরতাম। বড়ো একটা নিরাশ করতেন না তিনি। সেবার বড়দিনের ছুটিতে এসেছেন। রাত্রে ঘিরে ধরলাম সবাই। 'বিনুমামা গল্প বলো।'
বেজায় শীত সেদিন। ঘরের ভিতরেও হাড়ে কাঁপুনি দিচ্ছে। রাতের খাওয়ার পর বিনুমামা গায়ে শাল জড়িয়ে আরাম কেদারায় সবে মৌজ করে বসেছেন। আমাদের তাগাদা পেয়ে বললেন‚ 'এমনই এক শীতে সেবার দেশের বাড়িতে দাদু অর্থাৎ ঠাকুরদা আর ঠাকুরমার কাছে বেড়াতে গেছি। এমন দু'এক বছর অন্তর যেতাম তখন। কিন্তু সেবার এক দারুণ ব্যাপার হয়েছিল রে।'
'কী ব্যাপার মামা?' একসাথে সবাই ঝুঁকে পড়লাম। বিনুমামা অবশ্য তখনই উত্তর দিলেন না। আমরা দেখতে পেলাম মানুষটার দুই চোখ ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের ঘোরে। কতদিন আগে ফেলে আসা সেই ছেলেবেলার দিন গুলোয়। তারপর হঠাৎই শুরু করলেন‚ 'সেদিন এমনই এক শীতের রাত্তিরে এক পেট নতুন গুড়ের পিঠে–পায়েস খেয়ে লেপের তলায় ঘুমচ্ছি‚ দরজায় মৃদু টোকা পড়ল।
'গ্রামের ছেলে ষষ্ঠীর সঙ্গে তখন বেজায় ভাব। লম্বা চওড়া ডানপিটে ছেলে। ডুব সাঁতারে বড় পুকুর এক দমে পার হয়ে যেতে পারে। দেশের বাড়িতে গেলে বেশিরভাগ সময় ওর সঙ্গেই কাটে। আগেই বলে রেখেছিল‚ আজ অনেক রাতে আসবে। উঠে দরজা খুলে দিতেই ষষ্ঠী ইশারায় ডাকল। এই ভয়ানক শীতের রাতে বাইরে যেতে বলছে। কী উদ্দেশ্য কিছুই বুঝতে পারলাম না। তবু গায়ে সোয়েটারের উপর চাদর জড়িয়ে দরজা টেনে দিয়ে বের হয়ে পড়লাম। শুধু বললাম‚ কী ব্যাপার রে? কোথায়?
'উত্তরে ষষ্ঠী শুধু ঠোঁটের উপর আঙুল রেখে বলল‚ সে একটু পরেই জানতে পারবি। কোনো কথা নয় এখন।
'গ্রামে পৌষ মাসের হাড় কাঁপানো শীত। ঝকঝকে আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটা নেই। সামান্য হালকা কুয়াশা। জ্যোৎস্নার আলোয় ঝকঝক করছে চারদিক। অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাম পার হয়ে মাঠের পথে। ধান কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ফাঁকা মাঠ। একটু পরেই এসে পড়লাম মাঠের মাঝে বড় এক পাটকাঠি গাদার কাছে। সেখানে আরও কয়েকজন আমাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। চাঁদের আলোয় তাদের সবাইকেই চিনলাম। গজেন‚ ভাদু‚ প্রাণেশ আর উপেন। এই গ্রামেরই ছেলে সবাই। আলাপ আছে। আমাদের দেখে সবাই গাঝাড়া দিয়ে উঠল। গজেন বলল‚ গুরু‚ ব্যাপার কী বলো দেখি? হঠাৎ এভাবে ডেকে আনা?
'ষষ্ঠী ছেলের দলের সর্দার। গজেনের কথায় বুঝলাম‚ শুধু আমাকে কেন‚ সে অন্য কাউকেই কিছু বলেনি। উত্তরে ষষ্ঠী চোখ মটকে অল্প হাসল‚ বলিনি কী সাধে‚ যা পেট পাতলা ছেলে তোরা। কী বলতে কাকে কী বলে ফেলবি‚ তার ঠিক আছে। আজ কুঠিবাড়ির বাগানে ভূষণ্ডিজ্যাঠার খেজুর রসের ব্যবস্থা করা হবে। হি—হি।
'ষষ্ঠীর সেই কথায় দু'একজন তো প্রায় খাবি খাওয়ার জোগাড়। আর আমি তো ছিটকে পড়েছি প্রায় আকাশ থেকে। ডজন খানেক খেজুর গাছ দাদুদের বাড়িতেই। ভোর সকালে গাছি নামিয়ে দিয়ে যায়। রস কত খাবে খাও। তার জন্য এই রাতে বেরোবার দরকার কী! হাঁ করে তাকিয়ে আছি। আমার সেই মুখের দিকে তাকিয়ে গজেন হেসে বলল‚ চুরি করে খেজুর রস খাওয়ার মজা অন্য রকম রে বিনু। মালুম হলেই বুঝতে পারবি। তার উপর ভূষণ্ডিজ্যাঠার খেজুর গাছের।
'আসলে একে তো কুঠিবাড়ির বাগানের বেজায় বদনাম। অমাবস্যার রাতে নাকি ভূতের আখড়া। তার উপর ভূষণ্ডি ভট্টাচার্য গ্রামের ডাকসাইটে মানুষ। বেজায় প্রতিপত্তি। কিন্তু হলে কী হবে‚ যেমন হাড় কৃপণ‚ তেমন বদরাগী মানুষ। ছুটোছুটি খেলতে গিয়ে কেউ যদি তাঁর বাড়ির উঠোনে ভুল করেও উঠে পড়ে‚ কিংবা খড়গাদার পিছনে ঘাপটি মেরে থাকে‚ নজরে পড়লে আর দেখতে হবে না। বাপান্ত করে খানিক চেঁচামেচি তো বটেই‚ তারপর নালিশ পৌঁছে যাবে বাড়িতে। সে আর এক হেনস্তা। পাশের মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে একবার ডাকসাইটে হারু ঘোষের সট উড়ে এসে পড়েছিল তাঁর বাড়িতে। সেই বল ফেরত পেতে রীতিমতো সালিশি বসাতে হয়েছিল। ছেলেরা সবাই তাই হুঁশিয়ার হয়ে থাকে।
'সেই ভূষণ্ডি ভট্টাচার্যর কুঠিবাড়ির বাগানে গোটা কয়েক বোম্বাই আম আর ভাল জাতের খেজুর গাছ আছে। বেশ জানি‚ গাছগুলোর উপর ছেলেদের বেজায় লোভ। কিন্তু ভুলেও কেউ ওদিকে মাড়ায় না। শোনা যায়‚ বাড়ির কাছে হবার জন্য এই রাতবিরেতেও কখনো তিনি টহল দিয়ে যান। সাত্ত্বিক বামুন। নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপেন। ওসব ভূত–প্রেতের পরোয়া করেন না। বরং ভূতই নাকি ওনাকে এড়িয়ে চলে। ত্রিসীমানা মাড়ায় না।
'ষষ্ঠীর কথায় কয়েকজন তাই বেজায় ঘাবড়ে গিয়েছিল। ভাদু বলল‚ বলিস কী রে ষষ্ঠী! ভূষণ্ডিজ্যাঠা সারা রাত্তির ঘুমোয় না‚ তা জানিস? ধরা পড়লে বাবা নির্ঘাত বাড়ি থেকে বের করে দেবেন!
'শুনে ষষ্ঠী তো হেসেই অস্থির‚ আরে বাবা ধরা পড়লে তবে তো! খবর নিয়েছি‚ একে তো এই পৌষের শীত‚ তারপর ভরা পূর্ণিমা। ভূষণ্ডিজ্যাঠার পুরোনো বাতের ব্যথা চাগাড় দিয়েছে। সকাল থেকে সমানে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। এবার বুঝলি তো। রাতভর জেগে থাকলেও বিছানা ছেড়ে আজ আর নড়তে হচ্ছে না।
'যুক্তি মন্দ নয়। ষষ্ঠী কাজে নেমেছে আটঘাট বেঁধেই। গোটা কয়েক পাটকাঠি ভেঙে নিয়ে সবাই চলতে শুরু করলাম। শেষ রাত। পূর্ণিমার মস্ত চাঁদ তখন পশ্চিম আকাশে অনেকটাই ঢলে পড়েছে। মাঠের আল ধরে চলেছি। ভিতরের উত্তেজনায় শীত তখন প্রায় উধাও। ভাদু গায়ে চাদরটা খুলে গলায় জড়াতে জড়াতে বলল‚ হঠাৎ কেমন গরম দিতে লেগেছে‚ তাই না ষষ্ঠীদা!
'ষষ্ঠী জবাব দেবার আগেই পাশ থেকে গজেন বলল‚ তবে না আনলেই পারতিস। মালুম পেতিস ফেরার পথে রসটা পেটে পড়ার পরে। হুঁ—হুঁ বাবা‚ এ হল ভূষণ্ডিজ্যাঠার খেজুর গাছের রস। ওফ‚ গাছ তো নয় যেন তালগাছের গুঁড়ি। ওফ‚ হারাধন গাছি সারা সকাল রস জ্বাল দিয়ে নতুন পাটালি তৈরি করে। ভূষণ্ডি ভটচার্য সব হাটে বেচতে পাঠিয়ে দেয় রে! আজ টের পাবেন। হি—হি।
'ইতিমধ্যে মাঠ পার হয়ে বাগানে ঢুকে পড়েছি। ভিতরে গাছপালার কারণে কিছু অন্ধকার। শোনা যায় অন্ধকার রাতে নাকি ভূতের আসর বসে এই বাগানে। গোড়ার দিকে তাই বুক ঢিপঢিপ করছিল। কিন্তু একটু পরেই কেটে গেল সেটা। সরু পথ ধরে একসময় পৌঁছে গেলাম যথাস্থানে। বাগানের প্রান্তে উঁচু-মতো একটা জমিতে জাঁদরেল গোটাকয়েক আম গাছ। তারই মাঝে সারি দিয়ে কিছু খেজুর গাছ। সব মিলিয়ে গোটা দশেক। ষষ্ঠী গাছগুলোর উপর সামান্য চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল‚ খবরদার‚ ভূষণ্ডিজ্যাঠার গাছ। হাতেনাতে ধরা না পড়লেও সকালে যদি টের পায়‚ রস চুরি হয়েছে‚ যা মানুষ‚ ঝামেলা হতে পারে। তাই প্রতিটি গাছের ভাঁড় থেকে খানিকটা করে রস তুলে নেওয়া হবে। কিচ্ছুটি আঁচ করতে পারবে না।
'এরপর চাদরের তলা থেকে আসল অস্ত্রটি বের করল ষষ্ঠী। একটা লম্বা রবারের নল। খুব লম্বা গাছ হলে ওই নলের একমাথা নিয়ে একজন গাছে উঠে রসের কলসির ভিতর ডুবিয়ে দেয়। এবার নীচ থেকে একজন নলের অন্য প্রান্ত মুখের ভিতর নিয়ে সামান্য বাতাস টেনে ছেড়ে দিলেই হুড়–হুড় করে রস আপনা থেকেই নেমে আসতে থাকে নল দিয়ে। যত উঁচু গাছ‚ রস বেরিয়ে আসবে তত বেগে। গাছের ভাঁড় গাছেই ঝোলানো রইল। নামাবার ঝক্কি নেই। বুদ্ধিটা ষষ্ঠীর। নলটাও জোগাড় করেছে সে। পুরোনো একটা গড়গড়া থেকে।
ইতিমধ্যে গজেন কাছের এক চারাগাছ থেকে একটা কলসি খালি করে নামিয়ে এনেছে। রস ওতেই জমা করা হবে। সব ব্যবস্থা করে ষষ্ঠী নিজেই গাছে উঠে পড়ল। দেখতে দেখতে গোটা তিনেক গাছের রস নামিয়ে দেওয়া হল। আর তারপরেই যা হল, কী বলব।'
একটানা বলে বিনুমামা থামলেন। হাঁ করে শুনছিলাম সবাই। রুদ্ধশ্বাসে বললাম‚ 'তারপর কী হল মামা?'
'সেটাই তো গল্প।' বিনুমামা অল্প হেসে শুরু করলেন আবার‚ 'তিনটে গাছের রস নামিয়ে ষষ্ঠী তখন সবে চতুর্থ গাছের অর্ধেক উঠেছে। আমরা কলসি নিয়ে নীচে অপেক্ষা করছি। ষষ্ঠী নেমে এলে সবাই একসঙ্গে রসের কলসিতে পাটকাঠি ডুবিয়ে চোঁ–চোঁ করে টান লাগাব। এমন সময় বাগানের সরু চলার পথের দিকে তাকিয়ে সবার চোখ তো ছানাবড়া হবার জোগাড়। গজেন মুহূর্তে আমাকে টেনে নিয়ে পিছনে একটা ঝোপের ভিতর সেঁধিয়ে গেল। বাকিরাও ততক্ষণে গা–ঢাকা দিয়েছে।
'কী ভয়ানক! অদূরে বাগানের পথের বাঁকে খোদ ভূষণ্ডি ভট্টাচার্য! বাঁ হাতে কোমর চেপে ডান হাতের লাঠিতে কুঁজো শরীরের ভর সামলে খুট–খুট করে এদিকেই আসছে। বাড়ি খুব দূরে নয়। পূর্ণিমার বাতের ব্যথাও তাঁর রাতের টহলদারি ঠেকাতে পারেনি!
'সে যে কী অবস্থা‚ বলে বোঝাতে পারব না। বুকের ভিতর সমানে হাতুড়ি পিটছে। ভূশণ্ডি ভট্টাচার্য খুট–খুট করে খানিক এগোচ্ছেন আর কুঁজো শরীর থেকে ঘাড়টা যথাসম্ভব উঁচু করে নাকমুখ কুঁচকে চশমার ভিতর দিয়ে তাকাচ্ছেন। ফুটফুটে জ্যেৎস্নায় এদিকে বাগানের ভিতর ভালই পরিষ্কার। শেষ রাত হলেও হালকা কুয়াশা তেমন জমাট বাঁধেনি। তবু ছানি পড়া চোখে গাছের মাঝখানে ষষ্ঠীকে এখনো দেখতে পাননি তিনি। ওদিকে ষষ্ঠী অবশ্য ইতিমধ্যে ব্যাপার বুঝে যথাস্থানে স্থির হয়ে গেছে। নইলে এতক্ষণে ঠিক নজরে পড়ে যেত। কিন্তু সে আর কতক্ষণ। বেচারার যে এখন পালাবারও উপায় নেই। মাথাটা ঝিমঝিম করতে শুরু করেছে। বোধহয় ভ্যা করে কেঁদেই ফেলতাম। এমন সময় হঠাৎ বুকের হাড় পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিয়ে খোনা গলায় কারা চেঁচিয়ে উঠল: কেঁডা রে কেঁডা‚ তাঁমুক খাঁয়া যাঁ‚ তাঁমুক খাঁয়া যাঁ।
'ভ–ভূত! গলা দিয়ে সামান্য গোঙানির মতো আওয়াজ বেরুল‚ তারপরেই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলাম। আর কিচ্ছুটি মনে নেই।
'জ্ঞান ফিরল বরফ শীতল ঝাপটা মুখে এসে লাগতে। চোখ মেলে দেখি সেই গাছতলায় আমাকে ঘিরে গজেন‚ ভাদু‚ প্রাণেশ‚ উপেন সবাই। গজেন রসের কলসি থেকে আঁজলা করে রস নিয়ে আমার চোখে–মুখে ঝাপটা দিচ্ছে। কোনোমতে বললাম‚ ভূ—ভূত!
আমার কথায় ওরা তো হেসেই খুন। থামতেই চায় না। গজেন বলল‚ কলকাতার মানুষ এমন ভীতু!
কলকাতার বদনাম শুনে ততক্ষণে কিছু চাঙা হয়ে উঠেছি। উঠে বসতেই মনে পড়ল ভূষণ্ডি ভট্টাচার্যর কথা। সিটিয়ে গিয়ে বললাম‚ কিন্তু ভূষণ্ডিজ্যাঠা?
'পালিয়েছে!
'পালিয়েছে মানে?
'গজেন বলল‚ ওঃ‚ তুই চোখ উলটে পড়ে গেলি‚ সেই দারুণ দৃশ্য যদি দেখতিস! ভূতের ডাক শুনে বেতো কুঁজো ভূষণ্ডিজ্যাঠা লাঠি-টাঠি ফেলে তড়াক করে লাফিয়ে উঠেই যেভাবে সোজা হয়ে উলটো দিকে দৌড় লাগাল‚ হলফ করে বলতে পারি‚ ওনার পিঠের কুজ নির্ঘাত ভাল হয়ে গেছে রে! সেরে গেছে পূর্ণিমার বাতও।
গজেন থামতেই ওদিক থেকে ষষ্ঠীর গলা পাওয়া গেল‚ বিনুর জ্ঞান ফিরেছে রে গজেন?
তাকিয়ে দেখি হাতে গোটা একটা রস ভরতি কলসি নিয়ে ষষ্ঠী আসছে। কাছে এসে সেটা নামিয়ে দিয়ে বলল‚ আচ্ছা ভিতুর ডিম তো তুই! আমরা এখানে এতগুলো ছেলে‚ হলই বা কুঠিবাড়ির বাগান। ভূত বাবাজির সাধ্য কী! ভূশণ্ডি ভটচার্যকে যখন দেখতে পেলাম‚ তখন গাছের মাঝখানে। পালাবার উপায় নেই। তাই অন্য মতলব করতেই হল। ওইভাবে খোনা গলায় ডাক ছাড়তে শুরু করলাম। নির্জন বাগানে চারপাশ থেকে যা প্রতিধ্বনি উঠল‚ বেজায় ঘাবড়ে গিয়ে বুড়ো গায়ত্রী–মন্ত্র ভুলে লাঠি-টাঠি ফেলে যেভাবে দৌড়‚ কোথায় লাগে গাঁয়ের দৌড় চ্যাম্পিয়ন হারু ঘোষ। যা ভয় পাইয়ে দিয়েছি‚ মরে গেলেও ভূশণ্ডি ভট্টাচার্য জীবনে আর রাত্তিরে বাগান-মুখো হচ্ছেন না। হুঁ—হুঁ বাবা এসব হল বুড়োমানুষদের তামাক খাওয়ার ব্যাপার। তোরা নেহাত কচিকাঁচার দল‚ বুঝবি কী র্যাঁ!
ষষ্ঠীর কথায় সবার সঙ্গে আমিও হেসে উঠলাম।
ছবিঃ পার্থ মুখার্জি