বন্ধু তুমি দেখছ কি ভাই উল্টে ছবির খাতা?
আমার ছবি আঁছে যে এই পৃথিবীতেই পাতা !
ঐ যেখানে ধানের ক্ষেতে
বৃুলবুলিরা উঠছে মেতে,
এ যেখানে তাল-নারিকেল খুলছে সবুজ ছাতা।
তোমরা জানো ছবি থাকে দেয়ালেতেই ঝোলানো,
আমার ছবি কুঞ্জলতায় মঞ্জু হাওয়ায় দোলানো
প্রজাপতির পাখনা-পুটে
জ্যান্ত ছবি উঠছে ফুটে,
কাঁচা রোদের সোনার তুলি দিকে দিকে বোলানো ।
ঐ যেখানে পাহাড়তলির নির্ঝরিণী গান ধরে,
রূপের লহর মেখে গায়ে হয়তো পরী স্নান করে ।
গহন-বনের ফাঁকে ফাঁকে
আলোক-ছায়া নকশা আঁকে,
নদীর ঘাটে একটি মেয়ে রাঙা মাটির ঘট ভরে।
মেঘরা কখন বাজনা বাজায় শুনলে বাদল-নূপুর,
ছন্দপাগল আকাশ-বাঁতাস সন্ধ্যা সকাল-দুপুর,
ধু-ধু-ধু পথ ! কদম ঝরে !
ময়ূর নাচে পেখম ধরে !
ছল-ছল-ছল মাঠ ভরা জল! টাপুর-টুপুর-টুপুর !
বসন্তে ভাই ফুল বাতাসে কত রঙের জল্পনা,
বকুল চাঁপা গোলাপ নিয়ে ফুলকারী আর কল্পনা
শীতকালে দূর কুহেলিকায়
আবছা স্বপন-ছবি লিখায়,
শরৎ-মেঘের পাতলা ভেলায় শিল্পী চাঁদের আল্পনা।
অনস্ত এই রূপের নাটে মন হল ভাই শ্রীমন্ত,
চিত্র আমার গায় গীতিকা — চিত্র আমার জীবন্ত!
ছবির খাতা বন্ধ কর,
ডাকছে গোপন চিত্রকর,
বাইরে গেলেই বুঝবি সবাই — চিত্রশালা ভুবন তো!
ছবিঃ ডাল-ই এ আই সিস্টেম