নীল জ্যাকেট পরনে মার্লি; পাশে বন্ধুর জন্য হাসিমুখে নিজের মাথা কামিয়ে নিচ্ছে ক্যারোলিন
মার্লি প্যাক নয় বছর বয়সী একটি মেয়ে। সে কলোরাডোর ব্রুমফিল্ডে মেরিডিয়ান এলিমেন্টারি স্কুলে পড়ে। প্রায় এক বছর আগে ধরা পড়ে যে সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসা শুরু হয়। এটা তো জান, ক্যান্সারের চিকিৎসার একটা বড় প্রভাব পড়ে মানুষের চুলের ওপর। তাই মার্লিকেও সব চুল কেটে ন্যাড়া হতে হয়।
এক বছর পরে, ন্যাড়া মাথা নিয়ে মার্লি যখন স্কুলে ফিরে আসে, তখন স্কুলে মার্লির সবথেকে প্রিয় বন্ধু ক্যামেরোন ম্যাক্লাফলিন ঠিক করে, মার্লির যাতে মন খারাপ না হয়, তাই সে-ও ন্যাড়া হয়ে যাবে।
বন্ধুর জন্য ক্যামেরোনের এহেন সহমর্মিতা দেখে, তাদের স্কুল ঠিক করে, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যান্সার এবং তার প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এবং ক্যান্সার গবেষণায় সাহায্য করার জন্য, তারা একটা চ্যারিটি শো করবে।
গত ১৬ই এপ্রিল ২০১৬, 'Be Bold, Be Brave, Go Bald' নামের এক চ্যারিটি শো -এর ব্যবস্থা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে কি হয় জান?
স্কুলের ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী, তিনজন শিক্ষিকা, দুজন প্রধাণ শিক্ষক, এবং একজন ছাত্রের মা - সবাই মাথার সব চুল কামিয়ে ন্যাড়া হয়ে যান ।শুধুমাত্র মার্লিকে সাহস যোগানোর জন্যই নয়, এই চ্যারিটি শো'তে একত্রিত সমস্ত চুল বিক্রির সব টাকা তুলে দেওয়া হয় সেন্ট বলড্রিক'স্ ফাউন্ডেশন নামে একটি ক্যান্সার গবেষণাকেন্দ্রের হাতে, যেখানে ছোটদের ক্যান্সার নিয়ে কাজ করা হয়। এই চ্যারিটি শো এর মাধ্যমে মার্লি আর ক্যামেরোনের স্কুল প্রায় ২৫ হাজার ডলার একত্র করতে পারে।
তুমি কি ভাবছি চ্যারিটিতে দেওয়া চুল নিয়ে কি করা হয়? এই সব চুল পরিষ্কার করে,বাছাই করে তৈরি করা হয় পরচুলা বা উইগ। কোন অসুখের কারণে চুল নষ্ট হয়ে গেলে, বা কামিয়ে ফেলতে হলে, ছোট-বড় যেই হোক না কেন, তাদের তো মন খারাপ হয়। তাদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনার জন্য তৈরি হয় এইসব পরচুলা, যা তারা ব্যবহার করে।
মূল তথ্য সূত্র ও ছবিঃ গুড নিউজ নেটওয়ার্ক
সংযোজিত তথ্য সূত্রঃ
টুডে
গুডহাউসকিপিং