নববর্ষের দিন বছরের প্রথম দিন। এই দিনে নিজের বাড়ি ঘর পরিষ্কার করে সুন্দর করে সাজানো হয়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানানো হয়, আগামি দিন গুলি যাতে খুব ভালভাবে কাটে। বাড়ির দরজায়, মন্দিরে বা দোকানে ঢোকার মুখে টাঙিয়ে দেওয়া হয় সবুজ আমপাতা আর সাদা শোলার কদমফুলের ঝালর। বাঙালি জীবনের এক প্রতীক মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকা কুলোর সাথে শোলার কদম আর আমপাতার ঝালরের ছবি এঁকে পাঠিয়েছে ইচ্ছামতীর বন্ধু সুহানী।
সুহানী ব্যানার্জি, ষষ্ঠ শ্রেণী, গার্ডেন হাই স্কুল, কলকাতা
এইদিনে অনেক ব্যবসায়ীই নতুন বছরের জন্য নতুন হিসাবের খাতা চালু করেন। তাই এইদিনে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয়। এই অনুষ্ঠান 'হালখাতা' নামেও পরিচিত। ইচ্ছামতীর বন্ধুদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের ছবি এঁকে দিয়েছে ইচ্ছামতীর বন্ধু সুদীপা।
সুদীপা কুজুর, সপ্তম শ্রেণী, বি ডি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল, কলকাতা
এত আনন্দের দিন, তাই ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। আর বাঙালির খাওয়ায় কি মাছ বাদ থাকতে পারে? ইচ্ছামতীর ছোট্ট বন্ধু হ্রিয় এঁকে পাঠিয়েছে এই মাছের ছবি। এই মাছটা অবশ্য দেখতে এতই সুন্দর যে, ইচ্ছামতী বলেছে, একে খাওয়া চলে না, এর সাথে বরং বন্ধুত্ব পাতাবে সে।
হ্রিয় ভট্টাচার্য, কিন্ডারগার্টেন, হোলি চাইন্ড স্কুল, জলপাইগুড়ি
এইসবের গল্প। বাঘশিকারের গল্পও মন্দ হবে না।বাংলা সাহিত্যে বাঘ নিয়ে গল্পের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এমনকি হীরক রাজার দেশে ছবিতে তো বাঘমামাকে নিয়ে একটা গোটা গানও আছে। তাই দুপুরবেলা সেইসব বাঘের গল্প মনে করিয়ে দিতে একটা খাসা বাঘের ছবি এঁকে পাঠিয়েছে বন্ধু অয়ন।
অয়ন কুমার দত্ত, দশম শ্রেণী, মধ্য হাওড়া শিক্ষালয়, হাওড়া
সারা দুপুর গপ্পো করে এই গরমে বিকেলবেলা একটু ঠাণ্ডা হতে পারলে মন্দ হয়না। তাই বাড়ির বাইরে আইসক্রিমের খোঁজে চলেছে ইচ্ছামতীর বন্ধু ঋত।
ঋত চট্টোপাধ্যায়, ষষ্ঠ শ্রেণী, ডন বস্কো স্কুল, লিলুয়া, হাওড়া
কিন্তু নববর্ষের সন্ধ্যাবেলা নতুন জামা না পরলে কি চলে? তাই নতুন দিনের স্বপ্ন চোখে মেখে, রামধনু রঙ জামা পরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একেবারে তৈরি ইচ্ছামতীর বন্ধু উপাসনা।
উপাসনা মুখার্জি, তৃতীয় শ্রেণী, উদ্গম স্কুল, আহমেদাবাদ, গুজরাত
সুহানী, সুদীপা, হ্রিয়, অয়ন, ঋত, উপাসনার সাথে সাথে, ইচ্ছামতীর হাত ধরে অনেক আনন্দে কাটুক ১৪২১ বঙ্গাব্দের এই পয়লা বৈশাখ। কেমন লাগল, ইচ্ছামতী কথায় আর তার বন্ধুদের ছবিতে সাজানো এই নববর্ষের গল্প? আমাদের জানিও কিন্তু।