শ্যু হাউজ বা জুতো বাড়ি
১। শ্যু হাউজ বললেই প্রথমে মনে পড়ে ইংরেজি চার লাইনের এই ছড়াটি —
'There was an old woman who lived in a shoe.'
-By Mother Goose
She had so many children, she didn't know what to do.
She gave them some broth without any bread;
And whipped them all soundly and put them to bed.
- এই শ্যু হাউজ-এ থাকা বুড়ি যে মোটেও খুব ভালো ছিল তা মনে হচ্ছে না বাপু!
২। তবে ১৯৩৫ সালে প্যারামাউন্ট পিকচার্স একটা ছোট্ট অ্যানিমেটেড মুভি বানায় এই জুতো বাড়ির বুড়ি আর তার ছানাপোনাদের নিয়ে — সেটাতে বুড়ির ছানাদের দুষ্টুমি দেখলে মনে হয় মাঝেমধ্যে একটু বকুনি না দিলেই নয়। নিজেই দেখে নাও এই লিংকেঃ
https://www.youtube.com/watch?v=uWDgJrOQb6Q
৩। শ্যু হাউজ কিন্তু শুধুকল্পনার জগতের ব্যাপার নয়। এই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জুতোর আকৃতির বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
৪। বিশ্বের সম্ভবত প্রথম জুতো আকৃতির বাড়িটি তৈরি করেন মাহ্লোন হাইন্স্ নামের এক জুতো বিক্রেতা। উত্তর আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার হেলাম শহরে,১৯৪৮ সালে তিনি এই পাঁচতলা বাড়িটি বানান। এই বাড়িটি ২৫ ফুট উঁচু, ৪৮ ফুট লম্বা। এই 'জুতো'-র সামনের দিকে রয়েছে বসার ঘর আর গোড়ালির দিকে রয়েছে রন্নাঘর।
৫ । ভারতে মুম্বই এর মালাবার হিল্স্ অঞ্চলে অবস্থিত কমলা নেহ্রু পার্কে রয়েছে এমন এক 'জুতা ঘর'। ১৯৫২ সালে পন্ডিত জহরলাল নেহ্রু মুম্বই-এর ছোটদের আনন্দের জন্য এই পার্ক তৈরি করেন। তবে হাইন্স্-এর বানানো বাড়ির মত এই বাড়িতে কেউ থাকতে পারে না। এটা শুধুই ছোটদের আনন্দ দেওয়ার জন্য বানানো।
ছবি এঁকেছেঃ
অভিজয় রায়
প্রথম শ্রেণি, আশা ইন্টারন্যাশ্নাল স্কুল, পুণে, মহারাষ্ট্র
ছবির সঙ্গে তথ্যঃ ইচ্ছেকলম