টিপ টিপ বৃষ্টি
টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে বাইরে, আর মেঘের দল ছুটে আসছে আমার দিকে। আমি দুহাত দুদিকে ছড়িয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি...সামনে ছোট্ট একটা পাহাড়ের গ্রাম। চোখ বন্ধ করলেই স্বপ্নটা আমাকে যখন তখন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতো। আর আমি আলসেমি করে চোখ বন্ধ করে থাকতাম।
সামনে ছোট্ট একটা পাহাড়ের গ্রাম...
মা বলতেন, "টুকনু পড়ার সময় তুমি পড়ো...আর খেলার সময় খেলো।" রাগে গজগজ করতে করতে সহজপাঠ খুলে বসতাম। তুমি কি সহজ পাঠ পড়েছো? কার লেখা বলোতো? হুম ঠিকই ভেবেছো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
"বাদল করেছে। মেঘের রঙ ঘন নীল। ঢং ঢং করে ন-টা বাজলো। বংশু ছাতা মাথায় কোথায় যাবে? ও যাবে সংসার-বাবুর বাসায়।"
আমার চমক ভাঙলো। কারণ স্কুলের মিড-ডে মিলের ঘন্টা পড়লো। জয়ন্তী রাভা, বিকাশ রাভা তাদের আরো সব বন্ধুরা এবার মাঠে দঙ্গল বেঁধে খিচুড়ি খাবে। আমিও লোভে লোভে তাদের সঙ্গে বসে পড়লাম।
সবাই দঙ্গল বেঁধে খিচুড়ি খাওয়া...
এরা সবাই থাকে জঙ্গলে ঘেরা একটা গ্রামে। বাজার করতে যেতে হয় অনেক দূরে। অসুখ করলে ডাক্তার দেখানোর কথা অনেকে ভাবতেই পারে না। আমার বেশ ভালো লাগলো গ্রামটাতে গিয়ে। ওদের সাথে কথা বলে। খিচুড়ি খাওয়া শেষ হলে জয়ন্তীরা আবার যখন পড়তে গেলো আমি নিজে নিজেই গ্রাম দেখতে বেরোলাম। আর মাঝপথে সেই টিপ টিপ বৃষ্টি নেমে এলো। ছাতাটা তখন আমার নাগালের বাইরে। একজন রাভা মহিলা আমাকে ভিজতে দেখে তার কাঠের বাড়ির নীচে বসতে বললো। রাভাদের বাড়ি কেমন হয় জানো তো সব বাড়ি কাঠের পাটাতনের ওপর। অনেকে বলেন এটা তাঁদের প্রাচীন রীতি আবার অনেকের বিশ্বাস একটু উঁচুর জন্য হাতির হাত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচা যাবে। দেখতে পেলাম বন থেকে ফিরছেন মহিলারা। তাঁদের সবার মাথায় জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে আনা কাঠের বোঝা।
জঙ্গল থেকে কাঠের বোঝা নিয়ে ফিরছেন...
বাড়ি ফিরে এই কাঠ জ্বালিয়ে কেউ রান্না করবেন আবার কেউ বা হাটে বিক্রি করে সেই টাকায় চাল, ডাল, তেল, নুন কিনবেন।
আরে পায়ের বুড়ো আঙুলে কেউ যেন ঠুকরোচ্ছে। দেখলাম মুরগীর ছানার মতো কি যেন একটা ...সেটাকে কোলে তুলে নিতে আমলা রাভা বললো "দাদা ওটা ময়ূরের ছানা"।
ময়ূরের ছানা...
আমি তো অবাক ছানাটাকে কোলে নিয়ে ঘুরলাম সারা গ্রাম। দেখলাম আরো একটা অলস ময়ূর বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির মাচার নীচে। কত বললাম একটু নাচ দেখাও তো বাছা...কিছুতেই নড়লো না।
অলস ময়ূর...
ওদিকে জঙ্গলের পথ ধরে জয়ন্তীর গ্রামের বড়রা যাচ্ছিলেন মাছ ধরতে আমিও তাদের সঙ্গে চললাম।
জঙ্গলের পথ ধরে মাছ ধরতে যাওয়া...
জলপাইগুড়ি জেলার চিলাপাতার জঙ্গলে যদি কোনো দিন যাও তাহলে আন্দু বস্তি,কোদালবস্তি,কুরমাই বনবস্তি অবশ্যই ঘুরে এসো। খুব ভালো লাগবে। আর তার সাথে তো থাকবেই নল রাজার গড়। গড়ের কথায় পরে আসছি,তোর্সার জলে আমিও নামলাম মাছ ধরতে। বর্ষার সেই ঠান্ডা জলে পা দিতেই মনটা খুশিতে ভরে উঠলো।
তোর্সার জলে মাছ ধরা...
কি কি মাছ ধরা পড়লো? আরে সবই ছোট ছোট চিংড়ি। না সেগুলোর ছবি তোলা হয়নি। কারণ তার আগেই আমাকে চলে আসতে হয়েছিলো নল রাজার গড়ে। ফেরার সময় দেখলাম বর্ষার তোড়ে ভাঙছে পাড়। পড়ে যাচ্ছে বড় বড় গাছ। মনে মনে বললাম আরো অনেক অনেক গাছ লাগাতে হবে আমাদের...আরো অনেক অনেক সবুজ চাই।
পাড় ভাঙছে তোর্সা নদীর...
চিলাপাতা এক দুর্ভেদ্য অরণ্য। কোন এক সময়ে নল রাজারা এখানে থাকতেন। চুপি চুপি একটা গল্প শোনাই তোমাকে। এই জঙ্গল থেকে কেউ কিছু নিয়ে যেতে পারে না।
জঙ্গলের মধ্যে নল রাজার গড়...
এমনকি গাছের পাতাটা পর্যন্ত না। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী কেউ যদি এই অরণ্য থেকে কিছু নেয় তাহলে তার সংসারে অমঙ্গল হয়।
কেউ পাতা পর্যন্ত তুলে আনতে পারে না...
ঝিম ধরা পরিবেশে যখন ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে কানে তালা লেগে যাচ্ছে তখন আমার গাইড আমলা বলে উঠলো,"এবার বেলাবেলি বেড়িয়ে পড়ুন স্যার...পথে হাতির ভয়।" সি সি লাইন থেকে ফেরার পথে আবার টিপ টিপ বৃষ্টি। আরে ওকি...ওমা... তোর্সাতে স্নানে নেমেছে বুনো হাতি।
তোর্সাতে স্নানে নেমেছে বুনো হাতি...
এখানে আমি অনেক দিন থেকেছি। কাজ করেছি, তাই কেউ কেউ আমাকে চেনে। ক্ষিদে পেয়েছে ভেবে আমলার মা আমাদের যত্ন করে খেতে দিলেন। কি জানো? আমলার বাড়ির উঠোনে হওয়া আনারস। ফেরার পথে আমলাকে বললাম,"অনেক ধন্যবাদ আমলা। এতো মিষ্টি আনারস আমি এর আগে খাই নি।" আমলা তখন আমাকে ঝুড়ি ভরা আনারস দেখালো। আমি ছবি তুললাম। আর মনে মনে বললাম ইস...এগুলো যদি ইচ্ছামতীর সবার সাথে বসে ভাগ করে খাওয়া যেত।
ঝুড়ি ভরা আনারস...
ওদিকে পিঁপ পিঁপ শব্দে এস এম এস আসতে শুরু করলো। সবসময় তো এখানে আর ফোনের কানেকশান থাকে না ,দেখি চাঁদের বুড়ি লিখেছে,"আসার সময় কাঁঠালের কিছু ছবি এনো।" কাঁঠাল আমারও খুব প্রিয়। আরে এই তো আমার সামনেই গাছ ভর্তি কাঁঠাল। ক্যামেরা ক্লিক করলো।
গাছ ভর্তি কাঁঠাল...
সাধন রাভা এসে বললেন,"চলুন দাদা নাচের আসর বসেছে। আপনাকে সবাই ডাকছে।" গিয়ে দেখলাম এলাহি ব্যাপার। জয়ন্তী...অমল সবাই সেজে গুজে রেডি ওরা জঙ্গলে কাঠ কাটতে যাবার নাচ দেখাবে।
কাঠ কাটতে যাবার নাচ
হঠাত ঘুমটা ভেঙে গেলো। ঝোড়ো হাওয়ায় জানলাটা দড়াম দড়াম করে পড়ছে। ঘুমচোখে মশারী তুলে জানলা বন্ধ করতে যাবো আর কোথা সেই অনেক চেনা ভালো গন্ধটা আমার মনটাকে খুশিতে মুড়ে দিলো।
আমার মুখে বৃষ্টির ছাঁট এসে লাগলো। চোখ কচলে দেখলাম জানলার পাশে কদম ফুলের গাছটা ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।
জানালার বাইরে কদম গাছ...
হঠাত মনে পড়ে গেলো আজ তো বৃক্ষরোপণ উতসব। অনেকদিন আগে কবিগুরু তাঁর শান্তিনিকেতনে গাছ লাগানোর মহোতসব শুরু করেছিলেন। আমাদের পাড়াতেও ছেলে মেয়েরা আজ রাস্তার ধারে গাছ পুঁতছে আর গান গাইছে "আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল/মানবের স্নেহ সঙ্গ নে/চল আমাদের ঘরে চল..."। আমিও ওদের সাথে এতোক্ষণ গাছ পুঁতেছি...গান গেয়েছি। কাদা জল,বৃষ্টিতে আমার হাত পা ঠান্ডা। বিকেলের ট্রেনে তিনু মাসি এলেন উত্তর চব্বিশ পরগণার আড়বেলিয়া গ্রাম থেকে। ঝোলার মধ্যে বড় বড় দুটো তাল। দিদা পাঠিয়েছেন। চুপি চুপি বলি মা এখন তালের বড়া ভাজছে। আর আমি হ্যাংলার মতো বাটি, চামচ নিয়ে রান্না ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। ওই বুঝি আবার টিপ টিপ বৃষ্টি এলো।...
লেখা
কল্লোল লাহিড়ী
উত্তরপাড়া, হুগলী
ছবি
কল্লোল লাহিড়ী
ফ্লাওয়ার্সঅফইন্ডিয়া
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: নিয়মিত
প্রথম পাতাঃবর্ষা সংখ্যা ২০০৯
গরমের ছুটির পর স্কুল তো খুলে গেছে অনেকদিন, পরীক্ষাও হচ্ছে নিশ্চয় মাঝে মাঝে। স্কুলের গরমের ছুটি শেষ হয়ে গেলে কি হয়, গরমকালের যেনো আর ছুটিই হচ্ছিলো না। ক্যালেন্ডারের পাতায় আষাঢ় মাস তো কবেই এসে গেছে। অথচ আমার বাড়ির আশ-পাশ থেকে তো গ্রীষ্মকালটা যেতেই চাইছিল না! কি গরম, কি গরম - একেবারে ঘেমে-নেয়ে একশা! আমার বাড়ির পাশের কদম ফুলের গাছটা তো আর অত-শত ভাবেনি। সে যেই টের পেয়েছে আষাঢ় এসেছে, অমনি ওই গরমের মধ্যেই ডাল-পালা ভরিয়ে ফেলেছে গোল গোল হলুদ-সাদা ফুলে। ছাতের টবে একলা বেলফুলের গাছটাও দুইখানা মনমাতানো গন্ধে ভরা ফুল ফুটিয়ে ফেললো।
এদিকে আমি তো "আয় বৃষ্টি ঝেঁ-এ-পে-এ-এ, ধান দেবো মে-এ-পে-এ-এ" গানটা রোজ গাইছি। গাইতে গাইতে এইতো মাত্র কিছুদিন আগে শেষমেষ বর্ষারানী এলেন -ঝিরঝির,ঝুরঝুর,ঝমঝম - কত রকমের বাজনা বাজিয়ে, আকাশ ছাই ছাই রঙের মেঘে ঢেকে, শুকনো পৃথিবীকে ধারাস্নান করালেন। আর অমনি চারিদিকটা কেমন বদলে গেলো। মাটির থেকে উঠে এলো একটা মন-কেমন করা সোঁদা গন্ধ। যে গাছপালাগুলি এতোদিন ধুলোয় ঢাকা পড়ে ছিলো, সেগুলি ধুয়ে মুছে চকচকে হয়ে গেলো। আর তোমার স্কুলে যাওয়ার সঙ্গী হলো রঙচঙে রেইনকোট, বড়দের মাথায় উঠলো ছাতা। ইচ্ছামতীর গত সংখ্যার গল্প "ইস্কুলে ভূত" এর সমুর মতো তুমিও নিশ্চয় রাস্তায় জমা জলে লাফ-ঝাঁপ দিয়ে বাড়ি ফেরো? আমার কাছে লুকিও না - আরে, মা যতই বকুন, আমি তো জানি, মা নিজেও ছোটবেলায় একই কাজ করতেন। আর তোমাকে চুপিচুপি বলি, আমার ছোটবেলায় আমিও করতাম মাঝে মাঝে...আচ্ছা বলো, বর্ষাকালে যদি জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে হাতটাকে নাই ভেজালাম, তাহলে আর বৃষ্টি পড়ে লাভ কি হলো? আর রাস্তার ধারে বয়ে যাওয়া জলে যদি একটা কাগজের নৌকা না ভাসাও তাহলেই বা চলে কি করে? বড়রা এইসব কিছু বোঝেননা, খালি ঠাণ্ডা লেগে যাবে বলে বকাবকি করেন। তবে একটা কথা, যদি খুব জোরে জোরে বৃষ্টি হয়, তাহলে বেশি না ভেজাই ভালো। তবে যদি ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হয়, তাহলে নাহয় একটু জল ঘাঁটাই যেতে পারে। আর তারপরে ইলিশমাছ ভাজার সাথে গরমাগরম খিচুড়ি হলে তো কথাই নেই - ঠাণ্ডা- সর্দি আর ধারকাছ ঘেঁষবে না।
তুমি নিশ্চয় এতক্ষনে ভাবছো- চাঁদের বুড়ি বেশ লোক! একে তো এত্তো দেরি করে বর্ষা সংখ্যা নিয়ে এলো, আর এসে থেকে খালি নানান গল্প করছে। আসলে কি জানোতো, আমার বাড়ির আশেপাশে তো বর্ষা অনেক দেরীতে এলো, আর ইচ্ছামতীও বললো বৃষ্টির হাত না ধরে যাবোনা...তাই আমরাও এলাম সময়ের কিছু পরে। গত কয়েকদিনের কয়েকটা ঘটনায় আমাদের মনও একটু খারাপ ছিল। সেই যে গত মে মাসে শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে একদিন আকাশ-পাতাল কাঁপিয়ে এলো সাইক্লোন, যার নাম 'আয়লা' -ভেঙ্গে দিলো কত অসহায় মানুষের ঘর-বাড়ি, ভাসিয়ে নিয়ে গেলো সবকিছু। সেই ঝড়ে ভেঙ্গে গেলো সুন্দরবন অঞ্চলের নদীর বাঁধ, আর চাষের জমিতে ঢুকে পড়ল নোনা জল। এর ফলে কি হল বলতো - ওই জমিগুলিতে আগামি কয়েকবছর আর চাষ করা যাবে না। ফলে আর ফসল ও ফলবে না, ফলে চাষীভাইদের উপার্জনও থাকবে না। নতুন নতুন উপার্জনের খোঁজে হয়ত বা ঘর ছাড়তে হবে তাঁদের। তারপর এইতো মাত্র কিছুদিন আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন সঙ্গীতজগতের দুইজন বিশ্ববিখ্যাত তারকা। প্রথমে গেলেন বর্ষীয়ান ভারতীয় সরোদ শিল্পী উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেব। আর তারপরে চলে গেলেন পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী - মাইকেল জ্যাকসন। তুমি কি আলি আকবর খাঁ সাহেবের সরোদ বাজানো শুনেছ? বা মাইকেল জ্যাকসনের সেই বিখ্যাত গান -'হিল দ্য ওয়ারল্ড'? - যে গানে তিনি বলেছিলেন সারাটা পৃথিবীকে সাজিয়ে তুলতে হবে সবার ভালো থাকার জন্য - এখনকার প্রজন্ম, আগামি প্রজন্ম, সবার জন্য...।জানোতো- সঙ্গীত হল এমন এক শিল্প, যেটা কিন্তু ভাষার ব্যবধান ঘুচিয়ে মানুষকে কাছাকাছি করে দেয়। উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেব এবং মাইকেল জ্যাকসন - দুইজনে সঙ্গীতের দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার সাধনা করতেন, কিন্তু দুজনেই ছুঁয়েছিলেন সারা পৃথিবীর মন। তাঁদের দুজনের উদ্দেশ্যে রইল আমাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
এবার আমার কলম থামাই। তুমি বরং ইচ্ছামতীর পাতাগুলিকে উল্টে-পাল্টে দেখো এবার। সব নিয়মিত বিভাগ গুলিই আছে এবারো। পড়তে ভুলোনা রাসকিন বন্ডের অনুবাদ গল্প। আর "ইচ্ছে মতন" বিভাগে অবশ্যই পড়ো ইচ্ছামতীর বন্ধু ঋদ্ধির লেখা গল্পখানা।
শেষ করার আগে ইচ্ছামতীর নতুন বন্ধুদের জন্য কিছু পুরানো দরকারি কথা আরেকবার বলে নিই। এই ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে Unicode font ব্যবহার করে। তোমার কম্প্যুটার এ Unicode font না থাকলে, বা ব্রাওজার বাংলা বর্ন ঠিক ভাবে দেখাতে না পারলে, এই পাতার ওপরের বাঁ দিকের দ্বিতীয় লিঙ্কটা ভালো করে পড়ে নাও। এই ওয়েবসাইট সবথেকে ভাল দেখা যাবে Firefox Browserএ। Internet Explorer 6 & 7 browser দুটি একটি অক্ষর ঠিক করে দেখাতে পারছে না। তাই আমরা "উত্সব", "হঠাত্" এই সব শব্দে 'খন্ড ত' এর বদলে 'ত ' ব্যবহার করেছি। না হলে দেখতে খারাপ লাগছে। যাঁরা সব খুব গম্ভীর চশমাআঁটা পাঠক, ভুল বানান দেখলেই রেগে যান, তাঁরা নিশ্চয় আমাদের ওপর এই কারণে রেগে যাবেন না।
ভালো থেকো। তোমার জন্য রইলো আমার আঁচলভরা স্বর্নচাঁপা, কাঁঠালীচাঁপা, কামিনী, যুঁই, গন্ধরাজ আর হাস্নুহানার সুগন্ধ।
চাঁদের বুড়ি
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: নিয়মিত