খেলাঘরখেলাঘর

রঙে রঙে রঙীন
কেমন করে লাগলো ও রঙ পরীর ডানার প্রান্তে-
তাতাই গেল ঘোড়ায় চড়ে সেই কথাটাই জানতে।
ঘোড়া তো নয়, সে পক্ষীরাজ, নীল আকাশে ছুটলো
রামধনুরঙ সাতটি ঘোড়ার বন্ধু এসে জুটলো।
মিহিসুরের চিঁহি ডাকে বললে তারা, তাই কি,
সত্যি বলো, সে রঙ তোমার সত্যি করেই চাই কি?
ছুঁয়ে দেখো, সে রঙ আছে তোমার চোখের মধ্যে
স্বপ্নে লেখা ঘুমেল আলোর রুলটানা এক পদ্যে।
শুনেই তাতাই সে রঙ ছুঁতে চোখদুটো যেই মেললো,
সুয্যিমামা ভোরের হাসি অমনি হেসে ফেললো।


আবার রাতে তাতাই যখন ঘুমে দু’চোখ বুজলো
তারার দেশের হরেক পরী সে রঙ এসে খুঁজলো।
লাগিয়ে নিলো সে রঙ তারা তাদের ডানার প্রান্তে,
সাতটি ঘোড়াও নিলো সে রঙ সূর্যের রথ টানতে।
ফুল আর পাখি বললো, আরো গহীন স্বপন আঁকতে
ভোরের আলোয় ও রঙ মেখে ওরাই যাবে ডাকতে।
শিশিরকণা, রামধনু আর মেঘ বললে, তাই তো,
নতুন সাজে সাজতে আমার ও রঙটুকুই চাই তো।
তাতাই বলে, এসব শেষে রঙ যদি হয় শেষ!
সুয্যিমামা উঠলো হেসে- থাকবে যে তার রেশ।।

 

তন্ময় ধর
নতুন দিল্লী

জন্ম হুগলী জেলার কোন্নগর নবগ্রামে। বর্তমানে পেশাসূত্রে দেরাদুনে। পেশায় বিশ্বব্যাংকের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা। কৈশোরের শেষ থেকে ছড়া-কবিতা লিখছেন বিভিন্ন মুদ্রিত কিশোর পত্রিকায় এবং পরে বিভিন্ন ওয়েব পত্রিকায়।