বেড়াল: কাঠবেড়ালী,পোড়া কপাল,
সুখ কোথা বল তোর !
তোর দুঃখে পরাণ ফাটে --
তুই দুখী বড় ঘোর !
কাঠবেড়ালী: ভাই,আমার জন্যে দুঃখ কেন এত?
আমি আছি তো বেশ--
হাসছি,খেলছি,ঘুরছি,ফিরছি--
মনে নেই কো ক্লেশ।
বেড়াল: ঘুরে তো বেড়াস বাইরের বনে
ভয়ের সে যে রাজ্য,
ঝড়ে,বর্ষায়,ঠাণ্ডা,খরায়
কত যে করিস সহ্য!
কাঠ বেড়ালী: ভালই আছি,স্বাধীন আছি,
ভয় কিছু তো লাগবেই,
শত্রু,মিত্র,ভালো,মন্দ--
সব কিছু তো থাকবেই!
বেড়াল: বনেতে জন্তু,বিষধর সাপ--
পারে যে তোকে মারতে,
আমি নিরাপদ,নেই কো বিপদ,
কখনো চাই না হারতে।
কাঠবেড়ালী: ঘরের বাইরে তোমারও শত্রু
কুকুরের দলবল,
সুযোগ পেলেই খাবে যে কামড়ে,
সেথা তুমি দুর্বল।
বেড়াল: নিরামিষ আর আমিষ খাদ্যে
জিভে পাই বড় স্বাদ !
ঘরের ইঁদুর,করি সব দূর
কিছুই রাখি না বাদ।
কাঠবেড়ালী: আমি খাই ফল,আমি খাই ফুল,
বনের লতাপাতা কুটো,
খাদ্য আমিষ,আমার কাছে বিষ
সুখে খাই দুই মুঠো।
বেড়াল: আমার মালিকের ফলের গাছের
ফল তুই খুঁটে খাস,
চুপি চুপি চুরি এ কাজ তোরই,
করিস সর্বনাশ।
কাঠবেড়ালী: আর,খিদে না পেলেও করো তুমি চুরি--
মাছ কিম্বা দুধ,
ঘরের কর্ত্রী,ভয়ের মূর্তি
পিটিয়ে তোলে সে সুদ।
বেড়াল: না,না,ছোট বড়,সবাই করে
হাত বুলিয়ে আদর,
কোমল গায়ে আমি,গা ঘেঁষি সবার,
করি ঘড় ঘড় স্বর।
কাঠবেড়ালী: আমিও খেলি শিশুদের সাথে,
ছোট ছোট লাফে চলি,
কখনো লুকাই পাতার আড়ালে,
লুকোচুরি খেলা খেলি।
বেড়াল: ঠিক আছে,ভাই,ভালো সবাই,
যে আছে যার জায়গায়।
কাঠবেড়ালী: কেউ ছোট নয়,কেউ বড় নয়,
কাজ নেই আর রাগায়।।
তাপসকিরণ রায়
জবলপুর, মধ্য প্রদেশ