আবার মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে । এখন চলবে কিছুক্ষণ । তেলেভাজার অর্ডার দিলো ভুডুলমামা । আই-ফোনটা টেবিলে রেখে, সোফায় গা এলিয়ে ভুডুলমামা টিভিটা খুলে দিলো । মা বলে, 'এল সি ডি স্ক্রিনে'র আলো - 'এল সি ডি স্ক্রিনে'র বাংলা কি 'তরল স্ফটিক প্রদর্শন পর্দা' ? যাই হোক - তার আলো চোখের রেটিনায় ধরা পড়লেই টিকলির আর আমার মাথাটা নাকি সেদিকে ঘুরে যায় । তাই হল । টিভিতে প্রোগ্রাম, 'রিফ্লেকসন' । পর্দায় চলছে দুই নেতার মধ্যে ... একে কি তর্ক-বিতর্ক বলা যায় ? বেচারা 'হোস্ট্' কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না । না ! আর দেখা যায় না ! ভুডুলমামা রিমোটের বোতাম টিপল ।
ভুডুলমামা একটু অদ্ভুত লাগবে শুনতে ।
তবুও -
বলতো দেখি, ভেবে চিন্তে ।
হায়েনা ।
হ্যাংলা, জিব তার
ঝোলে মুখ থেকে বেড়িয়ে ।
আয়নায় দেখে তা
লজ্জায় মুখটাকে
কেন ফেলে না সে লুকিয়ে ?
গিরগিটি ।
হরদম রঙ সে তার
বাদলায় ।
মুশকিল হয় কি
চিনতে নিজেকে,
যখন প্রতিচ্ছবি
ধরা পড়ে আয়নায় ?
বাদুর।
রক্ত চোষে, কদাকার ।
অন্য কিছুই
মুখে তার রোচে না ।
আয়নায় দেখে নিজেকে,
আতঙ্কে মূর্ছা
কেন সে যায় না ?
বিছে ।
বিষাক্ত দাঁড়া
সর্বদা উঁচিয়ে ।
হঠাৎ দেখে যদি নিজেকে
আয়নার পিছনে
বুকটা কি কাঁপে তার,
সটকান -
দাঁড়াটা নামিয়ে ?
টিকলি জঙ্গলেতে আয়না !
কোথায় পাবে হায়েনা ?
তাছাড়া - ওরা বন্য ।
তবে, [একটু ভেবে] সহজ নয় উত্তর ।
আসল প্রশ্নটা যে অন্য ।
এই মুহূর্তে ভুডুলমামার মোটা গোঁফে তলায় একটা হাসি কল্পনা করে নেওয়া যেতে পারে । টিকলির দিকে তাকায়, উত্তর দেয় না । দরজায় ঘণ্টা । নিশ্চয় গরমা-গরম ডেলিভারি নিয়ে হাজির তেলেভাজার দোকানের ঘেঁটু । ভুডুলমামা পকেট থেকে 'ওয়ালেট'টা বার কারে আমার দিকে ছুড়ে দেয় ।
শিব শঙ্কর বসু,
এপেক্স, নর্থ ক্যারোলাইনা
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র