ইচ্ছামতী শরত সংখ্যা ২০০৯ কেমন লেগেছে ? পাঠকরা সরাসরি জানিয়েছেন ইচ্ছামতী ব্লগের এই পাতায় :
সুমন্ত পাল
নিউ ব্যারাকপুর
প্রিয় চাঁদের বুড়ি,
... এই এক্ষুণি ইচ্ছামতী-র [বর্ষা সংখ্যা ২০০৯] পাতা উল্টোলাম। প্রথম পাতাটা এত সুন্দর আর মনোরম কি বলব। হ্যাঁ, এক কথায় ছোটদের একটা সুন্দর অনলাইন পত্রিকা। যা দেখলাম তাতে অনেককে এই পত্রিকার কথাটা বলব বলে ঠিক করে ফেলেছি।
'খন্ড ত' এর বদলে 'ত ' ব্যবহার নিয়ে কিছ বলার নেই, কিন্তু বানানে ভুল ধরা মানেই সে গম্ভীর প্রকৃতির লোক এই সরলীকরণ কেন।
শোনো চাঁদের বুড়ি, তোমার লেখা ইলশেগুঁড়ির ভিতরে মাথা বাড়ানোর মতো, আর সেই করে মাথা যদি ভিজে যায় তাহলে সেই মাথা আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেওয়ার মতো। অর্থাৎ আমাদের কাছে তুমি কিন্তু সত্যিই বেশ লোক হয়ে উঠেছো। তবে ‘এতক্ষণে’ নিশ্চয়ই তোমার এই বানানের দিকে চোখ গেছে। আর আয়লা এসে মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙে দিল বলেই তো তারা অসহায় হয়ে পড়ল, তার আগেই কি তারা অসহায় ছিল বলতে চাও।
আমার দিদাকে যদি তোমার লেখাটা পড়াতাম তাহলে দিদা বলত তোমার সোনার দোয়াত কলম হোক। বাচ্চাদের জন্য ভালো লেখা নজরে পড়লেই দিদা সেই লেখক লেখিকার প্রতি এই বলে তাঁর স্নেহ প্রকাশ করতেন। জানো, তোমার লেখা আমাকে এক মুহুর্তে তাঁর কথা মনে করালো। তিনি তো সেই কবেই ছোট্ট তারা হয়ে গেছেন, তবু তাঁর কথা মনে করেই আমাদের বাড়ির বাগান থেকে তুলে এনে, একটা ‘স্বর্ণচাঁপা’ তোমার বর্ষা সংখ্যার পাশে রাখলাম।
তুমি ভালো থেকো।
মঞ্জুশ্রী রায় চৌধুরী
কলকাতা
সুজনবতী 'ইচ্ছামতী' ইচ্ছা দিয়ে ঘেরা-
রাঙা আলো, আতর, আদর স্বপ্নসাজে মোড়া।
অঢেল রূপো, মাণিক্যতে ভরা তোমার ঘর-
কোন বিভাগটা কার চে' আগে কার চেয়ে সে পর
এই ধাঁধানো নদীর বাঁকে উড়ছি প্রশ্ন সাথে
তুমি সাজিয়ে দিও 'ইচ্ছামতী' কিশোরকণা হাতে।
তোমার আঁকা, তোমার লেখা , তোমার সজ্জা দেখে
ভরল আমার মন নদীজল স্নিগ্ধ আলো মেখে।