দেশ বিদেশে বেড়াতে কার না ভাল লাগে? অন্যান্য অনেকের মতই আমারও নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দারুণ ভাল লাগে। আমার স্বামীর সাথে কর্মসূত্রে বিদেশে (ইউরোপে ) থাকি। আর বেড়াতে ভালো লাগে বলে সুযোগ পেলেই ইউরোপের নানান দেশে ঘুরে বেড়াই। আজ তিন বছরে ইউরোপের অনেক দেশ ঘুরে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে। ইওরোপের নানা পছন্দের জায়গাগুলির মধ্যে একটির গল্প শোনাব আজ।
দেশটির নাম বেলজিয়াম। পশ্চিম ইউরোপের ছোট্ট এক দেশ , যা ইংলিশ চ্যানেল-এর তীরে অবস্থিত। এর তিন দিক ঘিরে আছে নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও লাক্সাম্বার্গ । বেলজিয়াম এর কাঁচ পৃথিবী বিখ্যাত ও বহুল প্রচলিত। আমাদের বাংলা সাহিত্যের কত গল্পেই আছে বেলজিয়ায়ম কাঁচ দিয়ে তৈরি আয়নার কথা। এছাড়া এ দেশের আরো অনেক কিছুই বিশ্বের বাজারে স্থান করে নিয়াছে, যেমন বেলজিয়াম চকোলেট, বেলজিয়াম বিয়ার।
বাঁদিকে চকোলেটের ফোয়ারা; ডানদিকে হাতে তৈরি লোভনীয় চকোলেটের সমাহার
বিভিন্ন ধরণের বিয়ার পান করার গ্লাস
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস। এটি বিশ্বের অন্যতম জনবহুল ও ব্যস্ত শহর। অন্যদিকে আবার ব্রাসেল্স্ বহু প্রাচীন এবং সুসজ্জিত শহরও। ব্রাসেল্স্ এর রাজপ্রাসাদ প্রাচীন ইওরোপীয় স্থাপত্যের এক অসাধারণ সুন্দর নিদর্শন।
ব্রাসেল্স্ রাজপ্রাসাদ
অ্যাটমিয়াম
সিটি হলের সামনে ফুলের গালিচা
বেলজিয়াম এর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর অ্যাণ্টওয়ার্পেন। এই শহরের বিশেষত্ব হলো এখানে বিশ্বের প্রায় ৮০% হীরের কাটিং হয এবং ৫০% হিরে পালিশ হয, যা পর্যটকদের এবং ব্যবসায়িক আকর্ষণের কেন্দ্রস্থল।
ক্যাথেড্রাল অফ আওয়ার লেডি
মিউজিয়াম আন দে স্ত্রুম
বেলজিয়ামের লাল ট্রাম, মনে করায় দেশকে
সব শেষে বলবো এখানকার রাস্তায় চলতে চলতে হঠাত যখন ট্রামের ঘন্টার আওয়াজে চমকে উঠি,তখন সহজেই মনে পরে যায় কলকাতার কথা। আর একটা কথা যা না বললেই নয়, এখানে মানুষের ভদ্র ব্যবহার আর সরল আচরণ অজ্ঞাত কারণেই মন কেড়ে নেয় বারেবারে।