যা গরম পড়েছে, দিনের বেলা বাইরে খেলতে যাওয়া তো দূরের কথা, স্কুলে যেতেই অবস্থা কাবু, তাই তো? আর বিকেলের দিকেও, সূর্য না ডুবলে স্বস্তি কই? তাই ইচ্ছে না থাকলেও দিনের মধ্যে অনেকটা সময় ঘরের ভেতর থাকতে হচ্ছে। এইরকম ঘরে থাকলেই কিরকম মনে হয় না, ফ্রিজ খুলে মা'কে না জানিয়ে একটু আইসক্রিম খাই, বা এক প্যাকেট চিপস্ কুড়মুড়িয়ে খেয়ে ফেলি? - কি , একদম ঠিক কথা বলেছি তো? আসলে আমারও তো ওইরকম মনে হয় ! - তা ঐ আইসক্রিম বা চিপস্ এর সাথে তাল মেলাতে তোমার জন্য এবার এক্কা-দোক্কার পাতায় রইল কিছু খুচরো খবর--- খেলার জগতের নানার মজাদার তথ্য।
ফুটবল খেলার আরেক নাম 'সকার' কেন?
-'সকার' (soccer) শব্দটা আসলে এসেছে ইংল্যান্ড থেকে। সত্যি বলতে কি, ইংল্যান্ডেই আধুনিক ফুটবল খেলার গোড়াপত্তন হয়। ইংল্যান্ডে দুই রকমের ফুটবল খেলা হত - রাগবি ফুটবল আর অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল। রাগবি ফুটবল খেলাকে ছোট করে বলা হত 'রাগার' আর অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলকে বলা হত 'অ্যাসক'। এই 'অ্যাসক' ই মুখে মুখে পরিবর্তিত হয়ে আরো সহজ শব্দ -'সকার' হয়ে যায় ! অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল পরে যখন আমেরিকাতে চালু হয়, তখন প্রথম থেকেই 'সকার' নামে পরিচিত হয়।
খেলার দুনিয়া দ্রুততম বস্তুগুলির মধ্যে একটা হল ব্যাডমিন্টন খেলার শাট্ল্। একটা উড়ন্ত শাট্ল্ এর গতি ঘন্টায় ১৮০কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
আধুনিক ব্যাডমিন্টন খেলার জন্ম কিন্তু বৃটিশ ভারতবর্ষে! সেই সময়ে ইংল্যান্ডের এক জনপ্রিয় খেলা ছিল ব্যাটলডোর অ্যাণ্ড শাটল্কক। এই খেলায় ব্যবহার হত ছোট র্যাকেট, যাকে বলা হত ব্যাটলডোর। ভারতে বসবাসকারি বৃটিশরা এই খেলায় দুইদলের মাঝখানে একটা নেট বা জাল লাগিয়ে নেন। এই খেলা সবথেকে জনপ্রিয় ছিল বৃটিশ ভারতের সেনাবাহিনীর অন্যতম অবস্থান পুনা শহরে। তাই এই খেলার আরেক নাম ছিল 'পুনা'। অবসরপ্রাপ্ত বৃটিশ অফিসাররা দেশে ফেরত যাওয়ার সময় এই খেলাও নিয়ে যান। তখন এই খেলার নিয়ম কানুন কাগজে-কলমে তৈরি হয়। ১৮৭৩ সালে, গ্লস্টারশায়ার-এর ব্যাডমিন্টন হাউসে এই খেলা আধুনিক রূপে শুরু হয়, এবং তখন থেকে ব্যাডমিন্টন নামে পরিচিত হয়।
সারা বিশ্ব জুড়ে টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে স্পোর্টস্ বা খেলার অনুষ্ঠান এর দর্শক সংখ্যা সবথেকে বেশি। সামার অলিম্পিক্স, বিশ্বকাপ ফুটবল আর ফর্মূলা ওয়ান রেসিং দেখেন সবথেকে বেশি সংখ্যক দর্শক।
প্রথম আধুনিক অলিম্পিক গেমস্ খেলা হয় গ্রীসে, ১৮৯৬ সালে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১১ জন পুরুষ প্রতিযোগি, কিন্তু কোন মহিলা যোগ দেন নি।
প্রাচীন অলিম্পিকে জয়ীদের জন্য পুরষ্কার ছিল অলিভ পাতার মুকুট, সোনা বা রূপো নয়। যখন আধুনিক অলিম্পিক শুরু হল, তখন জয়ীদের দেওয়া হত রূপোর মেডেল। আট বছর পরে, সেন্ট লুইস অলিম্পিকে, প্রথম সোনার মেডেল এর প্রচলন হয়। আজকাল যে সোনার মেডেল দেওয়া হয়, সেগুলি আদতে সোনার পরত দেওয়া স্টার্লিং রূপোর মেডেল।
উইম্বল্ডন্ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রায় ৬৫০ টি ম্যাচ খেলা হয়। এই খেলাগুলিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪২,০০০ বল ব্যবহার করা হয়।
একটি বেসবলের বলে সবসময় ১০৮টি ফোঁড় থাকে, ক্রিকেট বলে থাকে ৬৫-৭০টি, আর ফুটবলে থাকে ৬৪২টি ফোঁড়।
তথ্য সংকলনঃ
মহাশ্বেতা রায়
পাটুলী, কলকাতা