এক দেশে এক সুন্দর ছোট্ট মেয়ে থাকে । ফুলের মতো সুন্দর মেয়ে । মা আদর করে ডাকেন, ‘নিনি’।
মা, বাবা আর নিনি । ছোট্ট সংসার । বাবা সারাদিন কারখানায় কাজ নিয়ে ব্যস্ত, বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায় । মাও সারাদিন অফিসে ব্যস্ত । দুপুরবেলা স্কুল থেকে ফিরে রোজ কান্না পায় নিনির । একা একা খাওয়া, টিভি দেখা, হোমওয়ার্ক করা, ছবি আঁকা, বই পড়া । ভালো লাগে নাকি ? খুব কান্না পায় । একা একা ভয়ও করে । যেদিন ঝড়বৃষ্টি হয়, সেদিনগুলোয় তো খুব ভয় করে নিনির । মা ঠিক বুঝতে পারে । বৃষ্টি পড়লেই মা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে তাই ।
এমনি দিনেও বিকেলে বাড়ি ফিরেই মা নিনিকে কোলে করে আদর করবে রোজ, চোখের জল মুছিয়ে দেবে, নিজে হাতে খাইয়ে দেবে, তারপর গল্প শোনাবে, গান শোনাবে, বাগানে গিয়ে ঝারি হাতে গাছে জল দেবে । তখন নিনিকেও জলে ভিজিয়ে দেবে । খুব মজা হয় । তারপর মা আর নিনি হাঁটতে বেরোয় রোজ ।
নিনিদের বাড়িটা একটা পাহাড়ের কাছে । বিকেল হলেই নিনি মায়ের সঙ্গে পাহাড়ের দিকে হাঁটতে যায় । আঁকাবাঁকা রাস্তাটা যে কি সুন্দর । ছায়া ছায়া সবুজ ঝাঁকড়া গাছ দু’পাশে । কোনোটায় থোকা থোকা বেগুনী ফুল, কোনোটায় হলুদ, কোনোটায় গোলাপি । কখনো পলাশে লালে লাল, কখনো সাদা শিমুলে আকাশ ঢাকা পড়ছে এমন । লাল লাল কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মা বলবে,‘দ্যাখ নিনি,ঠিক যেন আকাশে আগুন লেগেছে ।‘
মোটেই আগুন মনে হয় না নিনির । আকাশটা এমনিই লাল হয়ে থাকে সর্বক্ষণ, কারখানার লাল ধোঁয়ায় । তবে কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো সেই লাল আকাশে দিব্যি লাগে, মানতেই হবে ।
সব গাছে ফুল নেই, লম্বা লম্বা ছুঁচের মত পাতার সরলগাছ, বড় বড় পাতার শালগাছ, হাল্কা সোনালি সবুজ পাতার সোনাঝুরি গাছ । সেই সঙ্গে কত ফলের গাছ । আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আমলকি, ডুমুর । শেষ বিকেলে গাছে গাছে দল বেঁধে বেঁধে পাখি উড়ে আসে । লম্বা ল্যাজঝোলা পাখি, ছোট্ট টোপর মাথায় পাখি, কালো চকচকে কাক, ছোট্ট কালো কোকিল । সবুজ পাতার মতো টিয়া পাখি, সাদা ফুলের মতো দোয়েল পাখি । চড়াই, বুলবুলি, দুর্গাটুনটুনি, মৌটুসি । কত কত যে পাখি । চলা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে নিনি । পাহাড় পর্যন্ত যাওয়া হয় না, তার আগেই ঝুপ করে সন্ধে নেমে আসে ।
বাবা বলেছে, একটা রবিবার সকাল সকাল পাহাড়ে নিয়ে যাবে । সে আর হচ্ছেই না । রবিবার বাবা মা দুজনেরই বাড়িতে কত কাজ ।
আজকাল নিনি বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলে খেলতে যায় । এক একদিন সবাই মিলে দল বেঁধে পাহাড়ের রাস্তায় যায় । এমনিতে বন্ধুদের পাহাড়ে যেতে ইচ্ছে করে না । ওরা বলে, পাহাড়ের চেয়ে পার্ক ভালো । কিন্তু নিনিকে যে পাহাড়টা বড্ড টানে ।
মায়ের কাছে অরুণ-বরুণ-কিরণ মালার গল্প শুনেছে নিনি । পাহাড়ে গিয়ে লোভ করলে পাথর হয়ে যেতে হবে । মা বলে, পাহাড়ে গেলেই লোভ না করা শেখা যায় । নিনির খুব ইচ্ছে করে তাই । নিনি একলা একলাই বনের রাস্তায় যায় তখন ।
মাঝে মাঝে বন্ধুরাও বনের কাছে ছুটে আসে । পাহাড়ে যাবার ইচ্ছে না হলেও বনের মধ্যেটায় খুব ভালো খেলা জমে যে । ঝাঁকড়া গাছের জঙ্গলে এলেই লুকোচুরি খেলতে ইচ্ছে হয় । ‘টু উ উ কি’ বলে ডাক দিয়ে পুপলু লুকিয়ে পড়বে মোটা কাঁঠাল গাছটার পেছনে, আর সেই শব্দটা বনের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে কত দূরে চলে যাবে । আওয়াজ শুনে পুপলুকে খুঁজতে গেলেই বোকা হতে হবে ।
খুব মজা ।
সেদিনও বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ের রাস্তায় যাচ্ছিল নিনি । দুপুরবেলা খুব ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল । রাস্তাটায় জল, এদিক সেদিক ভাঙা গাছের ডাল পড়ে আছে, পাতায় পাতায় ভরে আছে রাস্তা, পাখিগুলো বিকেল বিকেল ফিরে এসে বাসা খুঁজে না পেয়ে কিচির মিচির করে খুব হল্লা জুড়েছে ।
এক জায়গায় একটা গর্তমতো ছিল, সেটায় জল ভরে একটা ছোট্ট পুকুর হয়ে গেছে । পিঙ্কি আর বুবুন সেই দেখে বেজায় খুশি । জলে নেমে সে কি হুল্লোড় । মিলি আর প্রিয়ার আবার এসব পছন্দ না । ‘ইস কি নোংরা তোরা’, বলে মিলিদের বাড়ি খেলতে চলে গেল । বুম্বা আর পুপলু ঘুরে ঘুরে কাঁচা আম কুড়িয়ে পকেট বোঝাই করতে লাগল । কেউ পাহাড়ের দিকে যেতে চাইল না ।
নিনির মনখারাপ করছিল । কোনো দিনই কি পাহাড়ের কাছে যাওয়া হবে না ? আজকের আকাশটা কি সুন্দর । বৃষ্টির পর নীল আকাশের গায়ে পাহাড়টার রঙও নীল নীল । ভারি সুন্দর । একা একাই পাহাড়ের দিকে হাঁটতে লাগল নিনি । কোথা থেকে একটা ছোট্ট কুকুর ছুটে এসে ল্যাজ দোলাতে দোলাতে সঙ্গে চলল । ভালোই হল । আর একা একা যেতে হবে না নিনিকে । এখনও অনেকটা বিকেল আছে । আজ নিনি পাহাড় পর্যন্ত যাবেই ।
একটু এগোতেই দেখল, কত পাখির বাসা ভেঙে মাটিতে পড়ে আছে । খুব ঝড় হয়েছিল যে । কি করবে পাখিগুলো ! কাঠবেড়ালিরা এদিক সেদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে, ওদের বাসাগুলো কি হয়েছে কে জানে । যত রাজ্যের ছোট ছোট পোকামাকড় উড়ছে, ছোট ছোট জীবজন্তুরা সবাই ব্যস্ত হয়ে ছুটোছুটি করছে । সবাই কেমন গাছের মধ্যে, বনের মধ্যে ঢুকে থাকত, এখন ভয় পেয়ে বেরিয়ে এসেছে ।
আহা রে । সন্ধে হয়ে আসছে, কোথায় থাকবে ওরা? এই জঙ্গলে বাঘ-সিংহ নেই অবশ্য, কিন্তু শিয়াল আছে, বুনো কুকুরের দল আছে, মাঝে মাঝে মহুয়া খেতে ভালুকও আসে ।
সাবধানে পা ফেলে ফেলে এগোচ্ছিল নিনি ।
আর একটু এগোতেই কুকুরটা জোরে ডাকতে ডাকতে একদিকে ছুটে গেল । কি একটা দেখে খুব জোরে চেঁচাতে লেগেছে, আর জোরে জোরে ল্যাজ নাড়ছে । নিনিও সেদিকেই এগিয়ে গেল ।
ইস্ এক্কেবারে বাচ্চা একটা খরগোশ । সাদা একটা তুলোর বলের মতো, নীল নীল পুঁতির মতো চোখ, লম্বা লম্বা হালকা গোলাপি কান, সে দুটো তিরতির করে কাঁপছে । খুব ভয় পেয়েছে বেচারা । কুকুর আর নিনিকে দেখে ভয় পেয়ে পা টেনে টেনে গাছের আড়ালে লুকোতে চাইছে । পারছে না । আহা রে, নিশ্চয় ওর পা ভেঙে গেছে । খুব কষ্ট হচ্ছে বোধহয়, দু চোখের কোণে জল । নিনি এগোতেই আরো ভয় পেয়ে খরগোশ এমন ছটফট করতে শুরু করল যে নিনিই ভয় পেয়ে গেল । কি বুঝে কুকুরটা নিজে থেকেই দূরে সরে গেল । নিনি খরগোশের মাথায় মুখে হাত বুলোতে লাগল । কি বুঝল কে জানে খরগোশটা, চুপটি করে নিনির হাতের পাতা জিভ দিয়ে চাটতে লাগল ।
এদিক সেদিক দেখে একটা বড় শালপাতা এনে ওকে আস্তে করে তুলে নিল নিনি ।এই জঙ্গলে, এখুনি অন্ধকার নামবে, ওকে একলা রেখে যাওয়া যায় নাকি !
কুকুরটাকে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু খুব হল্লা জুড়েছে আবার । সাবধানে শালপাতা ধরে এগিয়ে গেল নিনি । নিনিকে দেখে ল্যাজ নাড়তে নাড়তে চুপ করল কুকুর ।
‘আয় রে, আমরা বাড়ি যাব । এই যে একে নিয়ে যেতে হবে ।‘ নিনি চেঁচিয়ে ডাক দিল । শালপাতা তুলে খরগোশকে দেখিয়েও দিল । তবু কুকুর সেখানে দাঁড়িয়েই ল্যাজ নাড়তে লাগল । খুব অস্থির । নিনি এগিয়ে গেল ।
একটা পাখির বাসা ভেঙে পড়ে আছে । তার মধ্যে ছোট্ট একটা একলা শালিখ । ভয় পেয়ে উড়ে পালাবার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না । ওর ডানা ভেঙে গেছে । শালপাতার মধ্যে খরগোশের সঙ্গেই আস্তে করে ওকেও তুলে নিল নিনি ।
দুজনেই শান্ত লক্ষ্মী হয়ে রইল, একটুও ছটফট না করে । দু’হাতে কত সাবধানে ধরে আছে নিনি, নিশ্চয় বুঝেছে ওরা । কুকুরটাও কি ভালো, চুপটি করে সঙ্গে সঙ্গে আসতে লাগল ।
আজও পাহাড়ে যাওয়া হল না নিনির ।
আরো কত পাখির বাসা ভেঙে পড়ে আছে কে জানে । কত পাখি, কত প্রাণী এমন অসহায় অবস্থায় আছে কে জানে । পুপলু প্রিয়া বুবুনরা সবাই মিলে যদি তাদের খুঁজে দেখত, কি ভালোই না হত !
কিন্তু বন্ধুরা কেউ রাজি হল না । বুবুন বলল, ‘আমার মা এই সব নিয়ে ঢুকতেই দেবে না ।‘
পুপলু বলল, ‘তুই নিয়ে গিয়েও কি ওদের বাঁচাতে পারবি? তার চেয়ে ওদের এখানেই ছেড়ে দে । ওদের এসব অভ্যেস আছে ।‘
পিঙ্কি বলল, ‘ওদের নিয়ে যাচ্ছিস, ওদের মা এসে খুঁজবে না ? ঠাকুর তখন তোকেই পাপ দেবে ।‘
বুম্বা তো আম কুড়োনো ফেলে এলই না । খেলা ছেড়ে কেউ নিনির সঙ্গে আসতেও চাইল না । কুকুরটা কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত সঙ্গে এল । নিনির সঙ্গে সঙ্গে মাকে ডাকাডাকিও করল । মা এসে ছোট্ট খরগোশ আর শালিখকে সাবধানে ঘরে নিয়ে গেল ।
‘এখন যাও ডাকু, কাল আবার এসো’, কুকুরকে বলল নিনি ।
‘ওর নাম বুঝি ডাকু?’ মা শুনতে পেয়েই বেরিয়ে এসেছে, ‘দাঁড়া, ডাকুকে যেতে বলিস না । ওর খুব খিদে পেয়েছে নিশ্চয় । ওকে খেতে দিই ।‘
মায়ের কথা শুনেই ডাকু জোরে জোরে ল্যাজ নাড়তে লাগল । এইজন্যে মাকে এত ভালো লাগে নিনির । মায়ের সব দিকে খেয়াল থাকে । খাবার সময় ডাকুকে ভালো করে সব বুঝিয়ে বলে দিল নিনি । সত্যি সত্যি খরগোশ আর শালিখের মায়েরা এসে খোঁজ করে যদি ! ল্যাজ নেড়ে নেড়ে সব বুঝে নিল ডাকু ।
তারপর কতদিন ধরে খরগোশ আর শালিখ থাকল নিনির বাড়ি । খরগোশের নাম হল জিনি আর শালিখের নাম চুনী । রোজ সকাল বিকেল আসতে লাগল ডাকুও । একদিন আর ফিরে গেল না । নিনির বাড়ি এখন ডাকুরও বাড়ি ।
খুব মজা এখন ।
ইচ্ছে করে বাবা সুর করে ডাকবে, ‘নিনি নিনি নিনি ... কোথায় গেলি জিনি চুনী ...’
আর অমনি জিনি ছুটে আসবে । ওর পা সেরে গেছে, তবু আর জঙ্গলে যায় নি । চুনীর থাকার জন্যে একটা বেতের ঝুড়ি এনে দিয়েছে বাবা । বেতের ঝুরি উল্টে হাঁটি হাঁটি পায়ে ছুটে আসবে চুনীও । ও এখনও উড়তে পারে না ।
ডাকু সেই সময় চুপটি করে বারান্দার কোনায় বসে থাকবে । ওর রাগ হয়েছে কিনা । বাবা কেন ওকে ডাকে নি ! মা এসে তখন ডাকুকে কোলে নিয়ে আদর করবে । তবু ডাকু গম্ভীর হয়ে থাকবে । তখন বাবা বলবে, ‘ডাকুবাবুর গোঁসা হয়েছে । কড়মড় করে একখানা টোস্ট করে দাও দেখি ।‘ বাবার হাতে টোস্ট খেয়ে তবে ডাকুর মুখে হাসি ফুটবে ।
বাবা বলেছে, ‘নিনি রে, তোর চিড়িয়াখানার একটা নাম দিবি না?‘
চিড়িয়াখানা কথাটা পছন্দ নয় নিনির । চিড়িয়াখানায় তো সবাইকে খাঁচার মধ্যে, লোহার জালের মধ্যে থাকতে হয় । এটা তো নিনির বাড়ি, চিড়িয়াখানা কেন হবে ? বরং মা যে বলে, ‘নিনির সংসার’, সেই কথাটা খুব ভালো লাগে । আজকাল বাবাও ‘নিনির সংসার’ কথাটা বলছে ।
বাড়িতে কেউ এলেই বাবা বলে, ‘নিনি, তোমার সংসারের সবাইকে আলাপ করাও ।‘
জিনিকে দেখলেই সবাই কোলে নিয়ে আদর করে । একটুও দুষ্টুমি না করে শান্ত হয়ে বসে থাকে জিনি । ডাকুও তখন জিনিকে হিংসে না করে চুপ করে বসে থাকে । শুধু ছোট বাচ্চারা কাছে এলে ডাকু ঘাড়ের লোম ফুলিয়ে উঠে দাঁড়ায় । তখন নিনি চুপিচুপি বলে দেয়, ‘বিহেভ ইওরসেলফ ।‘ অমনি ডাকু আবার লক্ষ্মী ছেলে হয়ে বসে পড়ে ।
চুনীকে দেখলেই সবাই বলে,’এই রে ! এক শালিখ ! জোড়াটা কই ?’ তাই চুনী লোকজনের সামনে যেতে চায় না । আজকাল রোজ সকালে একবার আকাশে উড়তে যায় চুনী । ঠিক সময়মতো ফিরেও আসে ।
আসাম থেকে বেড়াতে এসে ছোটমাসি নিনির সংসারের আর একটা নাম দিয়েছে - ‘হাসিকান্না চুনীপান্না ।‘ এই নামটাও খুব পছন্দ হয়েছে নিনির ।
আজকাল আর একা লাগে না নিনির । ঠিক করেছে, একদিন ডাকু চুনী আর জিনির সঙ্গে পাহাড়ে যাবে । ফুলের বাগান, ফলের বাগান, সবুজ ছোলার ক্ষেত, হলুদ সরষের ক্ষেত । তারপর ঘন সবুজ বন । তারপর পাহাড় । মাথার ওপর মস্ত আকাশে সুজ্জিমামা এসে সোনার আলো ঢেলে দেয় । চূড়ার ওপর মেঘেরা এসে পা দুলিয়ে বসে গল্প করে । চুনীর মতো অনেক পাখি, ডাকুর মতো জিনির মতো অনেক প্রাণী । কাঠবেড়ালীদের সঙ্গে সঙ্গে পিঁপড়েরাও ব্যস্তসমস্ত হয়ে ঘোরাফেরা করে ।
সে এক আশ্চর্য সুন্দর জায়গা । পাহাড়ে উঠতে অনেক হাঁটা, অনেক কষ্ট, পায়ে ব্যথা । কিন্তু একবার উঠে পড়লে আর কষ্ট নেই । খোলা গলায় হাসো, আর অমনি পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে সে হাসি ফিরে আসবে তোমার বুকের মধ্যে । সবাই মিলে ভালোবাসায় হাত ধরে অনেকদিন হাঁটলে সেই হাসিকান্না চুনীপান্নার দেশে পৌঁছনো যায় ।
নিনি ঠিক করেছে, একদিন ডাকু চুনী আর জিনির সঙ্গেই পাহাড়ে যাবে ।
আইভি চট্টোপাধ্যায়
জামশেদপুর,ঝাড়খন্ড
অলঙ্করনঃ
ঋতম ব্যানার্জি
কলকাতা