বাংলাদেশ। ভারতের প্রতিবেশী, পশ্চিমবঙ্গের কোল ঘেঁষে থাকা ভারতের ছোট্ট প্রতিবেশী দেশ। এক সময়ে তো ছিল ভারতেরই অংশ, কিন্তু এখন এক সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র। ইচ্ছামতীর অনেক পাঠক বাংলাদেশের, অনেক লেখক বাংলাদেশের। তাই ইচ্ছামতীর সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বেশ ভালই। আর তাই , গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনা, যা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে, নাড়া দিয়েছে ইচ্ছামতীকেও।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা পৃথিবী দেখেছিল বাংলাদেশের ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ারে এক বিশাল আন্দোলন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অপরাধীদের সঠিক বিচার চেয়েছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। সঠিক বিচারের দাবী নিয়ে ধর্ম-বর্ণ-বয়স-নির্বিশেষে কয়েক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন শাহবাগ স্কোয়ারে। তার নতুন নাম হয়েছিল প্রজন্ম চত্বর। প্রজন্ম চত্বরে জমায়েত মানুষেরা চেয়েছিলেন ধর্মনিরপেক্ষভাবে তাঁদের দেশের শান্তি, স্বস্তি, উন্নতি ফিরিয়ে আনতে।
সেই আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৪শে এপ্রিল, ঢাকার সাভার অঞ্চলে, এক বহুতল বাড়ি ভেঙে পড়ে। বেআইনি ভাবে তৈরি এই বাড়িতে ছিল ব্যাঙ্ক, দোকান এবং জামাকাপড় তৈরির কারখানা।আগের দিন বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ব্যাঙ্ক এবং দোকানগুলি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু জনামাকাপড়ের কারখানার দিন-আনি-দিন-খাই শ্রমিকদের রেহাই মেলেনি। তাঁদের কাজে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল। আর সেই সকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এই আট তলা বাড়ি। মারা যান ১০০০ জনেরও বেশি নিরীহ মানুষ। আহত হন আরো বহু মানুষ।
আর তার পিছু পিছু মে মাসের শুরুতে এল সাইক্লোন মহাসেন। উত্তর পূর্ব ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার সহ, বাংলাদেশেও আঘাত হানল মহাসেন। তবে যতটা প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা হয়নি।
এত সব আঘাত সহ্য করেও, ইচ্ছামতীর প্রিয় বাংলাদেশ যে ঠিক আবার সোজা হয়ে দাঁড়াবে , সে বিষয়ে ইচ্ছামতীর একফোঁটাও সন্দেহ নেই। তাই বাংলাদেশের সব বন্ধুদের জন্য রইল ইচ্ছামতীর তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা , আর ঝড়ের মুখেও সোজা দাঁড়িয়ে থাকার জন্য অনেক অভিনন্দন।