খেলাঘরখেলাঘর

   লিলিপুট ব্যাং

লিলিপুটদের কথা সবার জানা। মানুষের ক্ষুদ্রতম রূপ। এইটুকু,প্রায় এক ইঞ্চ উচ্চতার মানুষ। ব্যপারটা দারুন,তাই না !এতো কাল্পনিক গল্প। কিন্তু ব্যাঙেদের লিলিপুট কেমন হবে ! এবং তাদের ডাক কেমন হবে? গ্যাঙর-গ্যাঙর গ্যাং! এ তো সবার জানা। এ তো বড়ো ব্যঙেদের ডাক !! কিন্তু একেবারে এইটুকু ক্ষুদে ব্যঙেদের ডাক কেমন হবে? সম্প্রতি আ্যমেরিকার দক্ষিণ নিউ গিনির জঙ্গলে ঝরাপাতা ও মসের মধ্যে অদ্ভুত্ ডাক শুনে বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান করে আবিষ্কার করেন পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম ব্যঙেদের অস্তিত্ব। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭.৭ মিলিমিটার। এরা সম্ভবত চারপেয়ে মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে ক্ষুদ্রতম। বিজ্ঞানীরা এদের পেডোফ্রিনি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই গোত্রের দুটি প্রজাতি। এরা হল পেডোফ্রিনি ভেরুকোসা ও পেডোফ্রিনি ডেকট। এদের প্রাপ্তবয়ষ্কদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭.৭ মিলিমিটার এবং খুব ছোটো ছোটো পোকা ধরে খায়। স্ত্রী ব্যাঙ মাত্র দুটি ডিম বহন করে বেড়ায়। তবে একসঙ্গে দুটি ডিম পাড়ে কিনা জানা যায়নি।

 

ব্যাঙের পোষাক পরিবর্তন

আফ্রিকায় একধরনের ক্ষুদে ব্যাঙ প্রতি পাঁচ থেকে সাতদিন অন্তর বাইরের চামড়া খসিয়ে ফেলে। এটা করতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। আর এটা দেখে মনে হবে যেন পুরানো পোষাক খুলে ফেলছে ব্যাঙটা। প্রকৃতপক্ষে এদের গায়ে কিছু পরজীবী জন্মায়। যা ব্যঙেদের অস্বস্তির কারন। তাই এই পরজীবীদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে এই খোলস ত্যাগ পদ্ধতি।

   

লেখাঃ
দেবকুমার বেরা
কলকাতা

ছবিঃ
উইকিপিডিয়া

কাগজে-কলমে গ্রাফিক ডিজাইনার। কিন্তু সে কাজ ছাড়াও ইনি নানা কাজ করেন - মাঝেমধ্যে ইচ্ছামতীর জন্য ছবি আঁকেন, মাঝেমধ্যে ভাল ভাল গল্প লেখেন, আর প্রয়োজন হলেই চাঁদের বুড়িকে নানারকমের সাদাকালো-একঘেয়ে-বিরক্তিকর কাজকর্ম (যেগুলি একটা ব-অ-ড় ওয়েবসাইট চালাতে গেলে করতেই হয়)-সেইসব করতে সাহায্য করেন।